moyla

সমাবেশ ঠেকাতে এক ট্রাক ময়লা!

রাজধানীর আজিমপুরের মেয়র সাঈদ খোকন ও ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ) আওয়ামী লীগের কর্মী সমাবেশকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা বিরাজ করছে। পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি দেয়ায় কে বা কারা সমাবেশস্থলের সামনে সিটি কর্পোরেশনের ময়লা ফেলে গেছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, আজিমপুরে পার্ল হারবাল কমিউনিটি সেন্টার (ভিকারুননিসা স্কুলের পাশে) শ্মশানের রাস্তায় কে বা কারা ডাস্টবিনের ময়লা ফেলে রেখেছে। সেখানে আজ (বৃহস্পতিবার) বেলা সাড়ে ১১টায় আওয়ামী লীগের কর্মী সমাবেশ ডেকেছে ঢাকা দক্ষিণ মহানগর আওয়ামী লীগ। পাশেই ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র সাঈদ খোকন পাল্টা কর্মসূচি দিয়েছেন।

বিষয়টি নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। সমাবেশস্থলের সামনে হঠাৎ ময়লার ফেলে রাখায় এক পক্ষ অপর পক্ষকে দোষারোপ করছে। দু’পক্ষের মাঝে সংঘর্ষের আশঙ্কায় অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।

জানা গেছে, সম্প্রতি মগবাজার-মালিবাগ-মৌচাক ফ্লাইওভার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শাহে আলম মুরাদের সমর্থকরা মেয়রের দাওয়াতে আগত মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান করে। এর প্রতিবাদে মুক্তিযোদ্ধারা আজ (বৃহস্পতিবার) আজিমপুর পার্ল হারবার কমিউনিটি সেন্টারের সামনের রাস্তায় এক প্রতিবাদ সভা কর্মসূচি দেন। সভায় মেয়রের সম্মতি ছিল বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

এদিকে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিবাদ সভার কথা জানতে পেরে মহানগর (দক্ষিণ) আওয়ামী লীগ হঠাৎ করে বর্ধিত সভা ডাকে। তবে তাদের বর্ধিত সভাস্থল পার্ল হারবারের সামনের রাস্তায় কে বা কারা ময়লা ফেলে যায়। মহানগর নেতাদের দাবি, সমাবেশ ঠেকাতে মেয়রের নির্দেশে ডিসিসির কর্মীরা এসব ময়লা রেখে গেছে।

ম্যাম শুরু করেন : খালেদাকে বিচারক

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ঢাকার বকশীবাজারের আলিয়া মাদরাসা মাঠে স্থাপিত অস্থায়ী আদালতে আত্মপক্ষ সমর্থনের অসমাপ্ত বক্তব্য দিচ্ছেন খালেদা জিয়া। এ নিয়ে পঞ্চম দিনের মতো আত্মপক্ষ সমর্থনের বক্তব্য দিচ্ছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে খালেদা জিয়া আদালতে পৌঁছালে আত্মপক্ষ সমর্থনের অসমাপ্ত বক্তব্য দেওয়ার জন্য তাকে উদ্দেশ্য করে বিচারক বলেন, ‘ম্যাম শুরু করেন’। এরপর খালেদা জিয়া তার বক্তব্য শুরু করেন।

আলিয়া মাদরাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার ৫নং বিশেষ জজ ড. আখতারুজ্জামানের আদালতে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার আত্মপক্ষ সমর্থনের অসমাপ্ত বক্তব্য দেয়া এবং জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাক্ষীকে পুনরায় জেরা করার জন্য আজ (বৃহস্পতিবার) দিন ধার্য ছিল।

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক হারুন-অর-রশিদ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী (পলাতক), হারিছের তখনকার সহকারী একান্ত সচিব ও বিআইডব্লিউটিএর নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।

এছাড়া জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

২০১০ সালের ৫ আগস্ট খালেদা জিয়া ও তার ছেলে তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের উপ-পরিচালক হারুন আর রশীদ। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ খালেদা জিয়াসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়।

মামলায় খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন- মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।

সূত্র: জাগো নিউজ

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin