moududh_ahmedh

নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন করতে সংবিধান কোনো বাধা না

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেছেন, আমরা চাই সমঝোতার মাধ্যমে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক। যদি সমঝোতা না করে ২০১৪ সালের মতো সরকার নির্বাচন করতে চায় তাহলে জনগণ তা কখনও হতে দেবে না। শুক্রবার নোয়াখালী জেলা শহর মাইজদীর স্থানীয় একটি কমিউনিটি সেন্টারে জেলা বিএনপির নির্বাহী কমিটির প্রথম সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মওদুদ আহমদ বলেন, সংবিধান মানুষের জন্য, মানুষ সংবিধানের জন্য নয়। সংবিধান জনগণের ঊর্ধ্বেও নয়। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন করতে সংবিধান কোনো বাধা হবে না।

তিনি বলেন, দেশ এখন গভীর সংকটের মধ্যে রয়েছে। সমঝোতার মাধ্যমে সরকারকে এ সংকট নিরসন করতে হবে। আমরা ভোটের অধিকার হারিয়েছি, গণতন্ত্র হারিয়েছি, মৌলিক অধিকার হারিয়েছি, আইনের শাসন হারিয়েছি, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নেই, সর্বশেষ বিচার বিভাগের স্বাধীনতা হারিয়েছি। বেগম খালেদা জিয়া এবং জাতীয়তাবাদী দলের নেতৃত্বে এই অধিকারগুলো ফিরিয়ে আনতে হবে।

জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম হায়দারের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুর রহমানের সঞ্চালনায় সভায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লা বুলু, মোহাম্মদ শাহাজাহান, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা জয়নুল আবেদীন ফারুক, যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম ও শামীমা বরকত লাকী উপস্থিত ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রীকে দেশ ছাড়ার প্রস্তুতি নেয়ার পরামর্শ রিজভীর

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশ ছেড়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী। তার দাবি, বাংলাদেশকে লুটপাট করেছেন প্রধানমন্ত্রী ও তার স্বজনরা। এ কারণে তিনি নিস্তার পাবেন না। শুক্রবার রাজধানীতে এক মানববন্ধনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এ কথা বলেন। বিএনপির গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক সেলিম ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার করে তার মুক্তির দাবিতে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।

‘প্রধানমন্ত্রী আপনি আর বেশিদিন নেই’- মন্তব্য করে বিএনপি নেতা বলেন, ‘আপনি আর আপনার স্বজনরা জনগণকে লুটপাট করেছেন। জনগণ এখন তা ধরে ধরে আদায় করবে।’ ‘যদি নৈরাজ্য তৈরি করে দেশ চালান, জনগণ পাল্টা নৈরাজ্য তৈরি করবে। জনগণের হাত থেকে আপনি নিস্তার পাবেন না। আপনাকেও দেশ ছাড়ার প্রস্তুতি নিতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রীর আত্মীয় স্বজনদের পকেট ভারী করতেই বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছে বলেও দাবি করেন রিজভী। যদিও বিদ্যুতের বাড়তি দাম কীভাবে কারও পকেটে যাবে, সেটার ব্যাখ্যা দেননি তিনি। বৃহস্পতিবার এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন ইউনিটপ্রতি বিদ্যুতের দাম গড়ে ৩৫ পয়সা করে বাড়ানোর সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর এ নিয়ে আটবার বাড়ানো হলো দাম।

বিদ্যুতের এই বাড়তি দাম কার্যকর হবে ডিসেম্বর থেকে। আর সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে আগামী ৩০ নভেম্বর হরতাল ডেকেছে বামপন্থী কয়েকটি দল। বিএনপি এ নিয়ে এখন অবধি আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া দেয়নি। তবে মানববন্ধনে রিজভী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘আপনি আবারও বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি করছেন গরিব- দুঃখী মানুষের পকেট কেটে আপনার আত্মীয় স্বজনের পকেট ভারী করার জন্য।’ ‘আপনি ব্যাংক, শেয়ারবাজার খেয়েছেন এখন মানুষের শেষ সম্বলটুকু কেড়ে নিতে চান। আপনার আত্মার শান্তির জন্য দাম বৃদ্ধি করছেন।’

পৃথিবীর অন্য দেশেও গুম হয়-জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্য বাংলাদেশে গুমের পেছনে গুমের ঘটনায় সরকার প্রধানের দায় স্বীকার হিসেবে দেখার কথাও জানান রিজভী। বলেন, ‘গতকাল (বৃহস্পতিবার) সংসদের অষ্টাদশ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথিবীর অন্য দেশেও গুম হয় মন্তব্য করে নিজেই গুম করেন বলে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। এই বক্তব্যের মাধ্যমে তিনি গুমকে স্বীকৃতি দিলেন। গুমের দায় স্বীকার করে নিলেন। তিনি রাষ্ট্রের পক্ষে গুম করেন।’

‘শেখ হাসিনা সংসদে বলেছেন, গুম হয়ে আবার ফিরেও আসে। তার মানে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গেলেই গুম করা হয়। তার নির্দেশে গুম হয়। স্বার্থের হিসেব মিললে ফিরে আসার সুযোগ দেয় আর স্বার্থের হিসাব না মিললে চিরতরে গুম হয়ে যায়, যেমন ইলিয়াস আলী।’ বিএনপি প্রতিশোধে বিশ্বাসী নয় মন্তব্য করে রিজভী বলেন, ‘আইনের অধীনে বিচার হবে। কিন্তু আপনি গুম করেছেন, গুমের দায়ও স্বীকার করেছেন। তাহলে এই নৈরাজ্যের জবাব জনগণ আপনাকে দেবে।’

‘প্রধানমন্ত্রী, আর এই দু:শাসন চলবে না। আর করতে দেয়া হবে না’ মন্তব্য করে বিএনপি নেতা বলেন, ‘আপনার দিন শেষ হয়ে আসছে। যদি নৈরাজ্য তৈরি করে দেশ চালান তাহলে জনগণও পাল্টা নৈরাজ্য তৈরি করবে।’ মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন শিক্ষক, কর্মচারী ঐক্যজোটের অতিরিক্ত মহাসচিব জাকির হোসেন।

ঢাকাটাইমস

লুটেরা সরকার সবখানেই ব্যর্থ: বি. চৌধুরী

বিকল্পধারা বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট ও সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক ডা. এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেছেন, ‘বর্তমান সরকার লুটেরা সরকার। ভোটারবিহীন এ সরকার ক্ষমতায় এসে যেসব ওয়াদা দিয়েছিল তার একটিও বাস্তবায়ন হয়নি। প্রশ্ন ফাঁস, দুর্নীতি, মাদক, গুম-খুন ও রোহিঙ্গা ইস্যুতে সরকার চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে।’শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে বাংলাদেশ জনদল (বিজেডি) এর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব বলেন।

বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেন, ‘এটা কোনো সরকার হলো, যে সরকার প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে পারে না, সে সরকার নাকি দুর্নীতি ঠেকাবে? প্রশ্নফাঁস আমাদের লজ্জার। প্রশ্ন ফাঁসের ফলাফল ভবিষ্যতে আরও ভয়াবহ হবে। জাতিগতভাবে দুর্নীতিপ্রবণতা তৈরি করবে।’গুম-খুন ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের সমালোচনা করে বি চৌধুরী বলেন, ‘পৃথিবীর অন্য দেশে গুম হয় খুন হয় মানছি। কিন্তু পার্থক্য হলো, সেসব দেশে খুন হলে খুনি ধরা পড়ে, গুম হলেও উদ্ধার হয়, ফিরে আসে। কিন্তু আমাদের দেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পুরোটাই ব্যর্থ। খুন হলে খুনী থাকে অধরা, বিচার হয় না। আর গুম হলে তো কথাই নেই। ফেরে না অথবা লাশ পাওয়া যায়। কেউ ফিরলেও কথা বলার শক্তি হারিয়ে ফেলে।’

রেহিঙ্গা ইস্যুতে তিনি সরকারের উদ্দেশে বলেন, আপনারা নাকি চুক্তি করে আসলেন? কি চুক্তি জনগণকে জানান না কেন? আমরা কি বুঝি না, জানি না? সই করেছেন কিন্তু তা বাস্তবায়নের টাইম (তারিখ) নাই, জাতিসংঘ মধ্যস্থতা করছে তার নামই নাই! এখন শুনতেছি রোহিঙ্গারা নাকি যাবে না, গেলেও মিয়ানমারে নয়, সেইফ জোনের ক্যাম্পে। তাহলে তাদের উপর যে নির্যাতন চলছে তা কি বন্ধ হবে? এসব ব্যাপারে সরকারের কোনো সফলতা নেই।তিনি বলেন, আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ভারত সহযোগীতা করেছে।

ইন্দিরা গান্ধি আমাদের স্বাধীনতার দাবির পক্ষে সমর্থন আদায়ে ৮টি দেশ ঘুরেছেন। আপনি (প্রধানমন্ত্রী) রোহিঙ্গা ইস্যুতে বিশ্বের ক’টি দেশের সমর্থন পেয়েছেন। চীনকে দূরে সরিয়ে দিয়েছেন। রাশিয়াও পাশে নেই। আর যে ভারতকে নিয়ে আপনাদের দাপট সেই ভারতও সমর্থনও দিলো না। এরপরেও নিজেদের সফল বলেন কি করে?

এ সরকার গণতন্ত্র, সার্বভৌমত্বে বিশ্বাস করে না দাবি করে বিদরুদ্দোজা বলেন, ৮ বার বিদ্যুতের দাম বাড়ালেন? কার স্বার্থে? কি কথা দিয়েছিলেন? ভুলে গেছেন? এমন অবস্থায় সংসদ বহাল রেখে নির্বাচন করে আবার ক্ষমতায় আসার স্বপ্ন দেখেন? সে আশা কখনো পূরণ হবে না।জনগণের মেরে দেয়া টাকা যায় কোথায়? খবর কি আসে না? কোন পণ্যটির দাম সাধারণের নাগালে। বেতন বাড়ান আপনার সরকারি চাকরিজীবীদের, আর ভোগে সাধারণ জনগণ।

১০ টাকায় চাল খাওয়াবেন বলেছিলেন। সে চাল এখন ৭০ টাকা। আমার তো মনে হয়, ‘তুলনা করলে বলবো সোনার চেয়ে চালের দাম বেশি।’বাংলাদেশ জনদলের চেয়ারম্যান ডা. এস এম শাহজাহানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) কমরেড খালেকুজ্জামান, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) এর সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক রতন, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি’র সাধারণ সম্পাদক কমরেড সাইফুল হক, ন্যাপের মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া।

ব্রেকিংনিউজ

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin