শেখ হাসিনার উন্নয়ন দেখে জনগণ আবারও নৌকায় ভোট দেবে বলে মন্তব্য করেছেন নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান। সেই সঙ্গে তিনি জানান, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদকে যারা লালন করে, তাদের বাংলার জনগণ কখনোই ভোট দেবে না।
রবিবার সকালে মাদারীপুরে অফিসার্স ক্লাবের নতুন ভবনের ভিত্তিপ্রস্তুর উদ্বোধন শেষে নৌমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
শাজাহান খান বলেন, আগামী নির্বাচনে প্রার্থীর যোগ্যতা, ব্যক্তিগত জনপ্রিয়তা, রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা, দলের প্রতি আনুগত্য, জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ততা দেখে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা প্রার্থীকে মনোনয়ন দেবেন।
নৌমন্ত্রী আরো বলেন, একাদশ জাতীয় নির্বাচনের জন্য আওয়ামী লীগ সব প্রস্তুতি নিয়েছে। এ জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান।
মন্ত্রী বলেন, দেশের জনগণ জানে, এই সন্ত্রাসী দল ক্ষমতায় এলে তারা দেশটাকে লুটপাট করে ধ্বংস করে দেবে। এ জন্য জনগণ তাদের ভোট দেবে না। ২০৪১ সালের মধ্যে শেখ হাসিনার সরকারের হাত ধরে এই দেশ উন্নত বাংলাদেশ হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুল ইসলাম, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সরোয়ার হোসেন, এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মলয় কুমার চক্রবর্তী, পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী পার্থ প্রতিম সাহা প্রমুখ।
সুশীল সমাজের কড়া সমালোচনা করলেন নৌমন্ত্রী
সুশীল সমাজ শুধু সমালোচনাই করতে জানে মন্তব্য করে নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান বলেছেন, সুশীল সমাজ একটাও ভালো কাজ করেছে এমন কোনো উদাহরণ নেই।
তিনি বলেন, তারা শুধু সমালোচনাই করতে জানে। আর বলেন, ড্রাইভারদের (চালক) সাজা বাড়লেই নাকি সড়ক দুর্ঘটনা কমে যাবে।
শুক্রবার দুপুরে খুলনার সোনাডাঙ্গা বাস টার্মিনালে সড়ক পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের আলোচনা সভায় নৌমন্ত্রী এ কথা বলেন।
সভায় সভাপতিত্ব করেন খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও খুলনা মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি মিজানুর রহমান।
সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সাবেক এমপি আবদুল গাফফার বিশ্বাস, বাংলাদেশ সড়ক পরিহন ফেডারেশনের মহাসচিব ওসমান আলী, শ্রমিক নেতা আবদুর রহিম বক্স দুদু, মোল্লা মুজিবর রহমান।
সুশীল সমাজের উদ্দেশে শাজাহান খান বলেন, দুনিয়ার কোথাও সড়ক দুর্ঘটনায় চালকদের বড় ধরনের সাজার বিধান আছে, তা প্রমাণ করতে পারলে চালকদের ফাঁসি পর্যন্ত দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। কিন্তু এমন আইন যদি দুনিয়ার কোথাও না থাকে তবে এ দেশের চালকরাও বড় ধরনের শাস্তি পেতে পারে না।
সড়ক দুর্ঘটনায় সারা বিশ্বে চালকদের দুই বছরের বেশি সাজা দেওয়ার বিধান নেই বলে উল্লেখ করেন মন্ত্রী।
দেশে সড়ক দুর্ঘটনা কমে গেছে দাবি করে নৌমন্ত্রী আরো বলেন, সরকার কিছু কাজ করেছে যে কারণে দুর্ঘটনা কমে গেছে। এ ছাড়া চালকরা এখন অনেক সচেতন হয়েছেন। তবে তাদের আরো সচেতন হতে হবে।
শাজাহান খান বলেন, আইন আমরাও মানব, কিন্তু যারা আইন প্রয়োগ করবেন, তাদেরও আইন মানতে হবে। শুধুমাত্র আমাদের ওপর আইন চাপিয়ে দেবেন, সেটা হবে না।
মন্ত্রী বলেন, পরিবহন খাত এমন একটা জায়গা, যেখানে চাঁদাবাজি হয়। ট্রেড ইউনিয়ন দখল করা, টার্মিনাল দখল করার একটা প্রবণতা থাকে। এই চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে।
সম্প্রতি আইন মন্ত্রণালয় সড়ক দুর্ঘটনায় চালকদের বিভিন্ন প্রকার শাস্তি ও অর্থদণ্ডের বিধান রেখে আইনের খসড়া তৈরি করেছে।
অনুষ্ঠানে শ্রমিক নেতা ওসমান আলী এই খসড়ার সমালোচনা করে শ্রমিকদের সজাগ থাকার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, এই খসড়া আইনে দুর্ঘটনার জন্য চালকদের ২৫ লাখ টাকা জরিমানার বিধান করা হচ্ছে। আর এই আইন হলে কেউ গাড়ি চালাতে আসবে না।