mossaraf_khon

সংসদ ভেঙে নির্বাচন দিতে হবে: খন্দকার মোশাররফ

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, নির্বাচনকালীন একটা নিরপেক্ষ সরকার হতে হবে। সংসদ ভেঙে নির্বাচন দিতে হবে। ৫ জানুয়ারি জাতীয় থেকে শুরু করে স্থানীয় সরকারের নির্বাচনে জনগণের ভোটের প্রতি যে অনীহা-অনাস্থা তৈরি হয়েছে, সেই আস্থা ফিরিয়ে আনার জন্য ক্ষমতা দিয়ে সেনাবাহিনীকে নির্দিষ্ট দিনের জন্য মোতায়েন করতে হবে। আমাদের নেত্রী আরও বলেছেন যে, নিরপেক্ষ সরকারের রূপরেখা তিনি দেবেন। এটা আমি এখনো বলছি যে, আমরা প্রস্তুতি।

আজ বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে জিয়া পরিষদ আয়োজিত ‘বহুদলীয় গণতন্ত্র: শহীদ জিয়াউর রহমান ও আজকের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপির এ নেতা বলেন, দেশের আসল অবস্থা সরকার জানে। তাদের নিজস্ব গোয়েন্দা সংস্থার তদন্ত রিপোর্টে এসেছে যে, আওয়ামী লীগ আগামী নির্বাচনে ৩০-৪০ এর বেশি আসন পাবে না। সংস্থাগুলো এও বলেছে যে, দিন যতই যাবে, এই সংখ্যা তত কমতে থাকবে।

বিএনপির এই নেতা বলেন, সরকার খালেদা জিয়াকে ভয় পায় বলেই আদালতের বারান্দায় বার বার ঘুরাচ্ছে। জিয়া পরিবারকে হেয় করছে। বিএনপির সিনিয়র নেতাদের থেকে শুরু করে তৃণমূল নেতাকর্মীদের পর্যন্ত হামলা-মামলা দিচ্ছে।

তিনি বলেন, আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেখ হাসিনা সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হওয়ার পক্ষে কোনো যুক্তি তারা দেখাতে পারবে না। কেননা ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচন একটা তথাকথিত নির্বাচন- এটা প্রমাণিত।

বিএনপির এ প্রবীণ নেতা বলেন, আমরা একটা শান্তিপূর্ণ সমাধান চাই। এজন্য আমাদের নেত্রী দেড় বছর আগে ঘোষণা দিয়ে বলেছেন, নির্বাচনকালীন একটা নিরপেক্ষ সরকার হতে হবে। সংসদ ভেঙ্গে নির্বাচন দিতে হবে।

৫ জানুয়ারি জাতীয় থেকে শুরু করে স্থানীয় সরকারের নির্বাচনে জনগণের ভোটের প্রতি যে অনীহা অনাস্থা তা ফিরিয়ে আনার জন্য ক্ষমতা দিয়ে সেনাবাহিনীকে নির্দিষ্ট দিনের জন্য মোতায়েন করতে হবে। আমাদের নেত্রী আরও বলেছেন, নিরপেক্ষ সরকারের রূপরেখা তিনি (খালেদা জিয়া) দেবেন। আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি এবং উপযুক্ত সময়ে এই রূপরেখা দেয়া হবে।

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও জিয়া পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান কবীর মুরাদের সভাপতিত্বে এবং জিয়া পরিষদের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব আব্দুল্লাহিল মাসুদের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের অধ্যাপক ড. এসএম হাসান তালুকদার, বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ প্রমুখ।

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin