khaleda_zia

সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্বাচন দিতে হবেঃ খালেদা জিয়া

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, আবার যদি ২০১৪ সালের মতো নির্বাচন হয়, তাহলে দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব অর্থহীন হয়ে পড়বে। শেখ হাসিনার সরকারের অধীনে কোনো সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন হতে পারে না। কাজেই এই সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্বাচন দিতে হবে। তা না হলে সবার জন্য সমান সুযোগ তৈরি হবে না।

বিএনপির চেয়ারপারসনের গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে গতকাল বুধবার রাত নয়টায় অনুষ্ঠিত ২০-দলীয় জোটের বৈঠকে খালেদা জিয়া এসব কথা বলেন। জোটের বৈঠক হলেও এতে শরিক দল বাংলাদেশ লেবার পার্টিকে আসতে মানা করা হয়। বৈঠক সূত্রটি জানায়, প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার পদত্যাগের বিষয়ে খালেদা জিয়া বলেন, তাঁর (সুরেন্দ্র কুমার সিনহা) প্রতি যে আচরণ করা হয়েছে, তা অন্যায়, অনৈতিক এবং সংবিধানবহির্ভূত। তিনি জোটের নেতাদের প্রতি বলেন, সংবিধান অনুযায়ী যদি প্রধান বিচারপতি ও আপিল বিভাগের বিচারপতিদের নিয়োগ দেওয়া না হয়, তাহলে আপনারা প্রতিবাদ জানাবেন।

বৈঠক সূত্রটি আরও জানায়, জোটের নেতাদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির চেয়ারপারসন বলেন, ওদের (ক্ষমতাসীন দল) টাকা আছে, ওরা অনেক কিছু করবে। আপনারা সতর্ক থাকবেন।লেবার পার্টিকে সভায় যোগ দিতে মানা করা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে দলের (একাংশ) চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘পার্টিতে একটু ঝামেলা চলছে। তাই বিএনপির মহাসচিব ফোন করে আমাকে আজকের বৈঠকে না আসতে বলেছেন।’

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে ৫ নভেম্বর লেবার পার্টিতে পাল্টাপাল্টি বহিষ্কারের ঘটনা ঘটে। দলের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান মহাসচিব হামদুল্লাহ মেহেদিকে বহিষ্কার করলে মোস্তাফিজও পাল্টা বহিষ্কার হন। হামদুল্লাহ দলের ভাইস চেয়ারম্যান এমদাদ চৌধুরীকে চেয়ারম্যান ঘোষণা করে নতুন কমিটি দেন। এ অবস্থায় দুই পক্ষই বৈঠকে থাকতে বিএনপির সঙ্গে যোগাযোগ করে।

বিএনপি ও জোটের একাধিক শরিক দলের নেতা জানান, অভ্যন্তরীণ কোন্দলে জোটের ছোট ছোট দলগুলোতে একের পর এক ভাঙন ও পাল্টাপাল্টি বহিষ্কারের ঘটনায় বিএনপি বিব্রত। এ পর্যন্ত জোটের ছয়টি দল ভাঙে। সর্বশেষ লেবার পার্টির আগে ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এনডিপি), ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি), ভাসানী ন্যাপ, ইসলামী ঐক্যজোট ও বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টি—এই ছয়টি দল ভেঙে জোট ছেড়ে যায়। অবশ্য প্রতিটি দলের খণ্ডাংশকে রেখে দিয়ে বিএনপি ২০ দলের নাম বজায় রাখে।

খালেদা জিয়ার সভাপতিত্বে রাত নয়টা থেকে প্রায় দেড় ঘণ্টা বৈঠক হয়। এতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাড়াও বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) আন্দালিব রহমান, খেলাফত মজলিসের মুহাম্মদ ইসহাক, জাতীয় পার্টি (জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, এলডিপির রেদোয়ান আহমেদ, জামায়াতে ইসলামীর আবদুল হালিম, বাংলাদেশ ন্যাপের জেবেল রহমান, জাগপার রেহানা প্রধান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

prothom-alo

খালেদা জিয়ার গাড়িবহরের পেছন থেকে ছাত্রদলের নেতাকর্মী আটক

খালেদা জিয়ার গাড়িবহরের পেছন থেকে ছাত্রদলের ১০ নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের কদম ফোয়ারার সামনে থেকে তাদের আটক করা।আটকদের মধ্যে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-দফতর সম্পাদক মামুন খান, ছাত্রদল নেতা এমদাদুল হক ভূঁইয়া ও ফরহাদ হোসেনের নাম জানা গেলেও তাৎক্ষণিক বাকিদের নাম জানা যায়নি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার গাড়িবহর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনের রাস্তা কদম ফোয়ারায় পৌঁছালে সেখানে আগে থেকে অবস্থান করা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা স্লোগান দিতে থাকেন। একপর্যায়ে খালেদা জিয়ার গাড়িবহরটি সামনের দিকে এগুতেই পুলিশ সেখান থেকে ছাত্রদলের ১০ জন নেতা-কর্মীকে আটক করে।

শাহবাগ থানার টিআই (ট্রাফিক ইন্সপেক্টর) আবুল বাশার আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।উল্লেখ্য, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির দুই মামলায় হাজিরা দিতে বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর পুরান ঢাকার বকশীবাজার আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত আদালতে পৌঁছান বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।

ব্রেকিংনিউজ

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin