mirja_fakhrul

‘শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত খালেদা জিয়ার সঙ্গেই থাকবো’

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, খালেদা জিয়া গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষায় আন্দোলন করে যাচ্ছেন। আমরা বুড়ো হয়ে যাচ্ছি। কখনও আন্দোলন থেকে সরে যাইনি। সময় এখন তরুণদের। তরুণদেরকে শক্ত হয়ে দাঁড়াতে হবে। জনগণের কাছে যেতে হবে। খালেদা জিয়ার সঙ্গে ছিলাম এবং জীবনের শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত তার সঙ্গেই থাকবো।

সোমবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে নয়াপল্টনে ভাসানী ভবনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি আয়োজিত সাংগঠনিক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে দমন নিপীড়নের মাধ্যমে বিরোধী মতকে স্তব্ধ করতে আইন-কানুন মানছে না। আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। জনগণের আরও কাছে যেতে হবে। তাদেরকে সম্মিলিত করে ঐক্যের তরঙ্গের ন্যায় সুনামি সৃষ্টি করতে হবে। কারণ, সুনামির কাছে অস্ত্র পরাজিত হতে বাধ্য।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা যখন নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত হচ্ছি, যখন বলছি— নির্বাচন হতে হবে নির্দলীয় সরকারের অধীনে, সংসদ ভেঙে দিতে হবে। ঠিক তখনই মিথ্যা মামলায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রায়ের দিন ধার্য করা হয়েছে। অথচ দেশের মানুষ অপেক্ষায় রয়েছে ভোট-ব্যালটে সিল মেরে গণেশ (সরকার) উল্টে দেবে বলে।’

তিনি বলেন, ‘এ সরকার ক্ষমতায় এসে দানবে পরিণত হয়েছে। এ দানবকে পরাজিত করতে হবে। নতুবা বাংলাদেশের মানুষ মুক্তি পাবে না। এজন্য আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। ভয় কিসের? জনগণ আমাদের সঙ্গে আছে। আমাদেরকে জনগণের আরও কাছে যেতে হবে। তাদেরকে সম্মিলিত করে ঐক্যের তরঙ্গের ন্যায় সুনামি সৃষ্টি করতে হবে।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য আছে। সেই উদ্দেশ্য হচ্ছে— বিএনপি নির্বাচনে গেলে তারা টিকতে পারবে না। তাই বিএনপিকে উৎখাত করতে হবে। খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখতে হবে। যার ধারাবাহিকতায় এই মিথ্যা মামলা।’

তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে চলমান মামলায় সাক্ষ্য দেওয়া ৩১ জনের কেউই প্রমাণ করতে পারেননি, এ মামলাগুলোর সঙ্গে তার (খালেদা জিয়া) সম্পৃক্ততা রয়েছে। শুধু তাই নয়, আজকে যে নথির ওপর ভিত্তি করে মামলা পরিচালনা হচ্ছে, সেই নথিও জাল। নথিতে কোথাও খালেদা জিয়ার স্বাক্ষর নেই। মূলত খালেদা জিয়াকে কোনোভাবে মামলার মাধ্যমে রাজনীতি থেকে দূরে সরানো, কিংবা আটকানো গেলে তাদের রাস্তা পরিষ্কার হবে,এমনটাই টার্গেট করেছে সরকার।’

নেতাকর্মীদের উদ্দেশ ফখরুল বলেন, ‘হতাশার কোনও সুযোগ নেই। রাত পোহালে সূর্য উঠবেই। এর ব্যতিক্রম নেই। অন্ধকারকে দূর করে সকালের আলো ছিনিয়ে আনতে হবে। এর বিকল্প নেই। খালেদা জিয়া কাছে জেল নতুন কিছু নয়। তিনি জেলে গেছেন, নির্যাতন সহ্য করেছেন। তিনি রাজনীতিতে উড়ে এসে জুড়ে বসেননি। তিনি লড়াই করেছেন। লড়াইয়ে জয়ী হয়েছেন এবং আগামী দিনেও দেশকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবেন তিনি।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এক-এগারো সরকার খালেদা জিয়াকে জেলে আটকে রেখেছিল। আটকে রাখতে পারেনি। আওয়ামী লীগও বারবার চেষ্টা করছে বিএনপিকে ধ্বংস করতে। কিন্তু ধ্বংস করতে পারেনি। বরং খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি টিকে আছে, থাকবে। সামনে আরও শক্তিশালী হবে। শত চেষ্টা করেও তাকে (খালেদা জিয়া) পরাজিত করা যাবে না।’

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেলের সভাপতিত্বে এই সাংগঠনিক সভায় অন্যান্যের মধ্যে মহানগর দক্ষিণের নেতারা বক্তব্য রাখেন। সভায় সঞ্চালনার দায়িত্ব পালন করেন দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাসার।

সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin