hasina_003

শেখ হাসিনা সিদ্ধান্তের অপেক্ষায়

আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখন দেশের আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতীক। তাকে ঘিরেই চলছে আওয়ামী লীগ। এবং দেশ। সব সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় দেশবাসী এবং আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তাকিয়ে থাকে তার দিকেই। এখন এমন একটি অবস্থা দেশে বিরাজ করছে শেখ হাসিনা ছাড়া মানুষের আশা ভরসার জায়গা নেই বললেই চলে।

যেকোন সংকট এবং সম্ভাবনা এদেশের মানুষ এখন তাকিয়ে থাকেন শেখ হাসিনার দিকে। সাম্প্রতিক সময়ে করোনা মোকাবেলায় শেখ হাসিনা যে দূরদর্শী দূরদর্শিতা এবং মেধার পরিচয় দিয়েছেন, ফলে তার প্রতি জনআস্থা আরো বেড়েছে।

আর এরকম বাস্তবতায় বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত এখন শেখ হাসিনার টেবিলে। তার অপেক্ষায় কিছু সিদ্ধান্ত এখনও অমীমাংসিত রয়েছে । যে সমস্ত বিষয়গুলো শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছে তার মধ্যে রয়েছে।

১। মন্ত্রিসভা রদবদল: দীর্ঘদিন ধরেই মন্ত্রিসভায় রদবদল কথা বলা হচ্ছে। বিশেষ করে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ আব্দুল্লাহর মৃত্যুর পর মন্ত্রিসভায় রদবদলের প্রসঙ্গটি বারবার সামনে এসেছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত মন্ত্রী সভার রত বদল হয়নি। সংবিধান অনুযায়ী মন্ত্রিসভা রদবদল একক ভাবে প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ার। কাজেই প্রধানমন্ত্রী কখন কিভাবে মন্ত্রী সভা রতবদল করবেন সে দিকে তাকিয়ে আছে গোটা দেশ। এই সিদ্ধান্তটি একান্তই প্রধানমন্ত্রীর এবং শেখ হাসিনার। 

২। আওয়ামী লীগের কমিটি : আওয়ামী লীগের এখন অনেকগুলো কমিটি অপেক্ষামান রয়েছে। বিভিন্ন জেলা কমিটি আওয়ামী লীগ সভাপতির যাটাই বাছাইয়ের অপেক্ষায় রয়েছে। আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গ ও সহযোগী কয়েকটি সংগঠনের কমিটি ঘোষণা করা হলেও এখনো বেশ কিছু অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের কমিটি ঘোষণা বাকি রয়েছে। বাকি রয়েছে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির ঘোষণাও।

এগুলো আমি লীগ সভাপতি নিজের যাচাই-বাছাই করে দেখছেন। তার যাচাই-বাছাইয়ের পরেই এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে বলে জানা গেছে। এছাড়াও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে দুটি প্রেসিডিয়ামের সদস্য পদ সহ কেন্দ্রীয় কমিটির একাধিক সদস্যপদ খালি হয়েছে।  এই পদ গুলো পূরণের এখতিয়ারও আওয়ামীলীগ সভাপতির। এই কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত শেখ হাসিনা সিদ্ধান্তের অপেক্ষায়।

৩।  প্রশাসনে রদবদল: সামনের দিনগুলোতে প্রশাসনের বেশকিছু গুরুত্বপুর্ণ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অবসরে যাচ্ছেন। তাই প্রশাসনের রদবদলের কথা ব্যাপকভাবে বলা হচ্ছে। এই সিদ্ধান্তটিও অপেক্ষায় আছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার।

৪। প্রশাসন বনাম পেশাজীবীদের বিরোধ: সাম্প্রতিক সময়ে প্রশাসনের সঙ্গে পেশাজীবীদের বিরোধ প্রকাশ্যে আকার ধারণ করেছে। দীর্ঘদিন পর প্রকৌশলী, কৃষিবিদ এবং চিকিৎসকরা আবার ঐক্যবদ্ধ হেয়েছে। এতে প্রশাসন ক্যাডারের আধিপত্যের বিরুদ্ধে তারা কর্মসূচি দেয়ার চিন্তাভাবনা করছেন।

পেশাজীবীরাও প্রধানমন্ত্রী সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছে, তারা আশা করছেন প্রধানমন্ত্রী তাদেরকে ডাকবেন এবং এই বিষয় নিয়ে কথা বলে একটা সমাধান দিবেন। বিরোধের বিষয়টি অপেক্ষা করছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তের ওপর।

৫। শুদ্ধি অভিযান: বিভিন্ন সময়ে শুদ্ধি অভিযান করে সরকার আলোচিত এবং প্রশংসিত। বিশেষ করে গতবছর ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান, এ বছর ফরিদপুরের শুদ্ধি অভিযান সহ বিভিন্ন অভিযানগুলো সরকারের ইমেজ এবং দুর্নীতিবিরোধী অবস্থানকে পরিস্কার করেছে। সামনে কোথায় কিভাবে শুদ্ধি অভিযান হবে সেটির অপেক্ষায় আছে দেশবাসী ।

দেশবাসীর মনে করেন যে ফরিদপুরে যেভাবে শুদ্ধি অভিযান হয়েছে সেভাবে একটি শুদ্ধি অভিযান পরিচালনা করতে হবে অন্যান্য জায়গাতেও। কিন্তু সেই শুদ্ধি অভিযান কবে কীভাবে হবে সেটি নির্ভর করছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর। কারণ শুদ্ধি অভিযানের ব্যাপারে তিনি কারো সাথেই কথা বলেনা এবং এটি নির্দিষ্ট কয়েকজন ব্যক্তি ছাড়া কেউই জানেনা। নতুন কোথাও শুদ্ধি অভিযান হবে কিনা সেই সিদ্ধান্তও প্রধানমন্ত্রীর অপেক্ষায়।

বাংলা ইনসাইডার

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin