শেখ হাসিনা ও ইন্ডিয়ার মধ্যে ভালো সংসার চলছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
২২ মে, মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপির সাবেক নেতা এম শামসুল ইসলাম ও জাগপার সভাপতি শফিউল আলম প্রধানের স্মরণসভায় প্রধান আলোচকের বক্তব্যে গয়েশ্বর এ কথা বলেন।
গয়েশ্বর বলেন, ‘শেখ হাসিনা অনেক শক্তিশালী, সেটা আমি মনে করি না। তবে তার পেছনে যে শক্তি কাজ করে, অনেকে বলেন ইন্ডিয়ার কথা। তাদের সঙ্গে আবার আমাদেরকেও অনেকে সম্পর্ক করার কথা বলেন। কিন্তু শেখ হাসিনা আর ইন্ডিয়ার মধ্যে তো ভালো সংসার চলছে। সেই সংসারে ভাঙানি দেওয়া কি ঠিক হবে?’
ভারত বাংলাদেশের বিষয়ে খবরদারি করছে উল্লেখ করে গয়েশ্বর বলেন, ‘ভারতকে পরিষ্কার করতে হবে, তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে সম্মান করে কি না? তারা মনে করে কি না, বাংলাদেশের মানুষ এই দেশের মালিক। যদি সেটা মনে করে, তাহলে দেশের মানুষের সব থেকে অপছন্দের মানুষকে প্রতিষ্ঠিত করার কাজ থেকে তাদের বিরত থাকা দরকার। প্রতিবেশী দেশ হিসেবে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকবে, তাই বলে খবরদারি কেন করবে?
আমাদের দেশের সরকার কে হবে, তা জনগণ পছন্দ করবে। ভারতের সরকার তো সে দেশের জনগণ পছন্দ করে। সেটা তো শেখ হাসিনা পছন্দ করে দেয় না। তাই ভারতকে সুস্পষ্ট ঘোষণা দিতে হবে তারা তাদের নীতি পরিবর্তন করবে কি না। বিশ্ববাসীকে জানাতে হবে বাংলাদেশের গণতন্ত্রের দুর্দশার জন্য শেখ হাসিনাসহ কার কার দায় আছে, সে কথা। বিশেষ করে দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে হস্তক্ষেপের কথা।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘আমরা যারা জেল থেকে বের হওয়ার পর মনে হচ্ছে, ভেতরেই ভালো ছিলাম। কারণ বের হয়েও তেমন কিছু করতে পারছি না। আমরা ভয়ের কারণে কথা বলি না।’
বর্তমান সরকারের সমালোচনা করে গয়েশ্বর বলেন, ‘স্বাধীনতার ৪৬ বছর আগের পাকিস্তান সরকার আর বর্তমান সরকারের মধ্যে পার্থক্য নেই। তখনো মিছিলের ওপর পুলিশ গুলি করত, এখনো আমাদের ওপর পুলিশ গুলি করছে। বরং তাদের থেকে বেশি করছে। তাহলে পাকিস্তানি পুলিশ আর আমাদের পুলিশের মধ্যে তফাৎ কোথায়? এরা জনগণের সেবক। কিন্তু তারা জনগণের সঙ্গে খবরদারি করে আর শেখ হাসিনার কাছে গেলে দলীয় লোকের মতো আচারণ করে।’
খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, ‘খুলনা নির্বাচনের মাধ্যমে শেখ হাসিনা আমাদের একটা বার্তা দিয়েছে। এটা বুঝতে পারলে ভালো, না বুঝতে পারলে আমাদের বিপদ আছে। কারণ দেশে পরিবর্তন হবেই। সেই পরিবর্তনে আমাদের ভূমিকা কতটুকু থাকবে, সেটা বিষয়। কিন্তু পরিবর্তন হবেই।’
প্রিয়