nazmul_huda

শেখ হাসিনার কাছে ৫০ আসন চান নাজমুল হুদা

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার কাছে ৫০টি আসন দাবি করেছেন বাংলাদেশ জাতীয় জোট (বিএনএ) ও তৃণমূল বিএনপির চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ জাতীয় জোট আগামী নির্বাচনে ৫০টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে।

এ লক্ষ্যে আওয়ামী লীগ ও ১৪-দলীয় ঐক্যজোটের সঙ্গে একমত হয়ে জোটবদ্ধ নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য প্রধানমমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে তাদের আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

৫০টি আসনে বিএনএর প্রার্থী তালিকাও দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে ১৪-দলীয় জোটনেত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় বিএনএ।’ গতকাল বিকালে রাজধানীর তোপখানার মেহেরবা প্লাজায় বিএনএ মিলনায়তনে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা।

এর আগে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটে অংশগ্রহণ বিষয়ে জরুরি সভায় সভাপতিত্ব করেন তিনি। বিএনএর সাংগঠনিক সম্পাদক আক্কাস আলী খানের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য দেন বিএনএর কো-চেয়ারম্যান এম নাজিম উদ্দিন আল আজাদ, মহাসচিব মেজর (অব.) ডা. শেখ হাবিবুর রহমান, তৃণমূল বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গোলাম সারওয়ার মিলন, মহাসচিব ব্যারিস্টার আকবর আমিন বাবুল প্রমুখ।

বৈঠকের সিদ্ধান্ত তুলে ধরে ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা বলেন, ‘বিএনএ একটি নির্বাচনমুখী মুক্তিযুদ্ধের চেতনাভিত্তিক অসামপ্রদায়িক জাতীয়তাবাদী জোট। কোনো প্রেক্ষাপটেই জাতীয় নির্বাচন বর্জনে বিশ্বাস করে না। দেশে গণতন্ত্র ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে যে কোনো পরিস্থিতিতেই নির্বাচনে অংশগ্রহণে বিশ্বাস করে।

সুস্থ রাজনীতির মাধ্যমে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলনে একটি সুষ্ঠু ও অবাধ জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমেই দেশে গণতন্ত্র সুসংহত এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠা সম্ভব বলে বিশ্বাস করে বিএনএ।’ তিনি বলেন, ‘দেশে একটি সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন একমাত্র নির্বাচিত সরকারের অধীনেই সম্ভব।

কারণ একটি নির্বাচিত সরকারের জনগণের কাছে দায়বদ্ধতা থাকে এবং তাদের ব্যর্থতার জন্য জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে হয়। অনির্বাচিত তত্ত্বাবধায়ক কিংবা সহায়ক সরকারের কাছে জনগণের দায়বদ্ধতা থাকে না। বিএনএ বিশ্বাস করে, আসন্ন জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের গুরুদায়িত্ব একমাত্র শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান নির্বাচিত সরকারের অধীনেই হতে পারে। নির্বাচিত সরকারকেই এই মহান দায়িত্ব পালন করতে হবে।’

উৎসঃ   বিডি প্রতিদিন

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin