khaleda-hasina

শেখ হাসিনার অধীনে খালেদা জিয়া ভোটযুদ্ধে আসবেন কি?

জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি যত জোরেশোরে চলছে ভোট যুদ্ধের বাদ্য যতই বেজে উঠছে বিএনপিকে নিয়ে প্রশ্ন ততোই তীব্র হচ্ছে। সকল দলের অংশগ্রহণে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ গ্রহণযোগ্য নির্বাচন এখন সবার প্রত্যাশার যায়গায়। বিএনপি এখনও শেখ হাসিনার অধীনে নয় নিরপেক্ষ নির্বাচনী সহায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে অনড় হলেও ভোটের প্রস্তুতিতে পিছিয়ে নেই। সরকার বা শাসক দল শেখ হাসিনার অন্তর্বর্তী সকারের অধীনেই সাংবিধানিকভাবে নির্বাচনকালীন সরকারের যায়গা থেকে একচুল নড়বে না বলে জানিয়ে দিয়েছে।

সরকারের বক্তব্য সেই সময় তারা কেবল রুটিন ওয়ার্ক করবেন। নির্বাচন কমিশনই স্বাধীনভাবে নির্বাচন পরিচালনা করবে।

বেগম খালেদা জিয়ার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সমাবেশ থেকে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির সফর এমনকি লন্ডন থেকে ফিরে আসার পর বিমানবন্দরে কর্মী সমর্থকদের যে ঢল নেমেছিল তাতে নেতারা মনে করেন জনমত এখন তাদের অনুকূলে।

অন্যদিকে, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ ঘিরে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শেখ হাসিনাকে প্রধান অতিথি করে যে সমাবেশগুলো ঘটে গেছে তাতে মানুষের অংশগ্রহণে তারাও উৎফুল্ল।

আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা তৃনমূলে দলীয় বিরোধ নিষ্পত্তি এবং দলীয় প্রার্থীর ব্যাপারে নেতাকর্মীরা যাতে এক হয়ে কাজ করেন। সে জন্য কঠোর মনোভাব নিয়েছেন।

বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াও তিনশ আসনে তিনজন করে নয়শ প্রার্থীর তালিকা করে রেখেছেন। ভোটের সময় এরমধ্য থেকে সব দিক বিবেচনা করে জনপ্রিয় প্রার্থীকেই মনোনয়ন দেবেন। কিন্তু রাজনীতির অন্দরমহল থেকে পর্যবেক্ষক মহলে একটাই প্রশ্ন শেষ পর্যন্ত বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া শেখ হাসিনার অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন নাকি ফের বর্জনের পথে হাঁটবেন।

ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদের সঙ্গে তোফায়েল আহমেদের একদফা বাহাস হয়ে গেছে। মওদুদ দাবি না মানলে সরকারকে গণআন্দোলনে বিদায় করার হুমকিও দিয়েছেন। প্রশ্ন আরেকটি রয়েছে জিয়া অরফানেস্ট ট্রাষ্ট দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত হয়ে বেগম খালেদা জিয়া নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষিত হবেন না তো?

হলে, বিএনপি কি নির্বাচনে আসবে? কেউ কেউ বলছেন দেশে ফেরার পর থেকেই সরকারের কোনো বাঁধা ছাড়াই বেগম খালেদা জিয়া ও বিএনপি যে কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামতে পারছে তার নেপতে একজন ব্যবসায়ীর মদ্ধ্যস্ততা সমঝোতা হয়েছে যে, খালেদা জিয়া ৬০ থেকে ৭০টি আসন নিয়ে আগামী নির্বাচনে বিরোধী দলের আসনে বসতে রাজি হয়েছেন। কিন্তু পর্যবেক্ষকেরা বলছেন এমনটি ঘটে থাকলেও খালেদা জিয়া তা কৌশল হিসেবে নিয়েছেন। তিনি মনে করেন মানুষের মনোভাব এখন সরকারের বিরুদ্ধে। সারাদেশ সফর করলেই জনমত তার অনুকূলে আসবে। সব মিলিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে শেখ হাসিনার অধীনে খালেদা জিয়া নির্বাচনে আসবেন কিনা?

যদিও শাসক জোটের অনেকেই মনে করেন ৫ই জানুয়ারি নির্বাচনে বিএনপি যে ভুল করেছিল তার মাশুল কতটা গুনতে হয়েছে। তা তারা ভালো করেই জানেন।

আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনার অন্তর্বর্তী সরকারে বিএনপিকে ঠাই না দিলেও এবং বিএনপির সঙ্গে আলোচনায় না বসলেও তারা এবারের নির্বাচনে আসবেই। পর্যবেক্ষকরা বলছেন দুই পক্ষের রণকৌশলগত বাকযুদ্ধ শুরু হয়েছে। শুরু হয়েছে জনমত পক্ষে টানার এবং দলীয় শক্তি সুসংগঠিত করার জোর প্রস্তুতি আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন।

পরিশ্রমে পিছিয়ে নেই বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও। জোয়ার ভাটার দেশ রাজনীতির উতাল পাতাল রূপ নেওয়া বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনে সময় অনেক বাকি। রাজনীতির শেষ দৃশ্য কিভাবে মঞ্চস্থ হয় সেটি দেখতে আরও অপেক্ষা করতে হবে।

উৎসঃ   purboposhchimbd

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin