‘শেখ মুজিবের ছবি ছাপালে জিয়ার ছবিও ছাপাতে হবে’ মন্তব্যে রোষানলে মেয়র

‘ব্যানারে শেখ মুজিবের ছবি ছাপালে জিয়াউর রহমানের ছবিও ছাপাতে হবে, কারণ জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষক।’ বলে মন্তব্য করে রোষানলে পড়েছেন মুক্তাগাছা পৌরসভার মেয়র শহিদুল ইসলাম।

এসময় মুক্তাগাছা পৌরসভার উদ্যোগে আয়োজিত বিজয় দিবসের মঞ্চে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি না থাকায় বিজয় মঞ্চ হামলা চালিয়ে তছনছ ও ভাঙচুর করেছে আওয়ামীলীগের কর্মী সমর্থকরা।

শনিবার সকাল ৮টার দিকে এই অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে মুক্তাগাছা পৌরসভা প্রাঙ্গনে।

মেয়র শহিদুল ইসলাম উপরোক্ত মন্তব্যে আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে এবং তার এই কথায় উপস্থিত সবাই উত্তেজিত হয়ে মেয়রকে গালাগালি করে এবং মারমুখী হয়ে ধাওয়া করে। মেয়র শহিদুল মুক্তাগাছা শহর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক।

মেয়র শহিদুল ইসলামের উক্ত মন্তব্যের প্রতিবাদে মুক্তাগাছা উপজেলা আওয়ামী লীগ শনিবার সকালে মুক্তাগাছা উপজেলা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করেন।

সংবাদ সম্মেলনে মুক্তাগাছার সাবেক মেয়র মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই আকন্দ বলেন, ‘বিজয় দিবসে প্রতিবছর আমরা পৌরসভা চত্বরের স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাই। এ বছর অনুষ্ঠানের ব্যানারে বঙ্গবন্ধুর ছবি ছাপানো হয়নি কেন তা জানতে চাইলে মেয়র উক্ত মন্তব্য করেন।

তিনি আরো বলেন, ‘বিএনপিপন্থি মেয়র শহিদুল বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তি করে জাতিকে ছোট করেছেন, তাই মেয়র শহিদুলের কঠোর শাস্তি হওয়া উচিত।’

উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক আব্দুল জলিল ফারুক বলেন, ‘তার বিরুদ্ধে ময়মনসিংহ আদালতে আমি বাদী হয়ে আগামীকাল মানহানি মামলা করব। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় বরাবর লিখিত অভিযোগও করা হবে তদন্তসাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য।’

উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার আবুল কাশেম বলেন, ‘বিএনপি-রাজাকারদের জন্য আজ দেশের সুনাম ক্ষুণ্ন হচ্ছে। আমাদের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে মেয়র শহিদুল বঙ্গবন্ধুকে জিয়াউর রহমানের সঙ্গে তুলনা করে অন্যায় করেছেন। তার শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত আমরা কোনোভাবেই শান্ত হব না।’

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মুক্তাগাছার সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বদর উদ্দিন আহম্মেদ, শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবিএম জহিরুল হক, উপজেলা তাঁতি লীগের সভাপতি মুশফিকুর রহমান, উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বিটুল, জেলা আওয়ামী লীগনেতা কৃষিবিদ নজরুল ইসলাম।

rtnn

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin