শিবিরের নির্বাচন : সভাপতি আরাফাত সেক্রেটারি মোবারক

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের ২০১৮ সেশনের জন্য কেন্দ্রীয় সভাপতি নির্বাচন ও সেক্রেটারি জেনারেল মনোনয়ন সম্পন্ন হয়েছে। অনলাইনে সারা দেশের সদস্যদের ভোটে কেন্দ্রীয় সভাপতি হিসেবে পুনঃনির্বাচিত হয়েছেন মোহাম্মদ ইয়াছিন আরাফাত ও সেক্রেটারি জেনারেল হিসেবে পুনঃমনোনীত হয়েছেন মোবারক হোসাইন।

সোমবার ছাত্রশিবিরের সহকারি নির্বাচন কমিশনার মতিউর রহমান আকন্দের পরিচালনায় রাজধানীর শহীদ আব্দুল মালেক মিলনায়তনে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদের সম্মেলনে নবনির্বাচিত কেন্দ্রীয় সভাপতির নাম ঘোষণা করেন ছাত্রশিবিরের প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক তাসনিম আলম।

নাম ঘোষণার পর নবনির্বাচিত সভাপতিকে শপথ পাঠ করান ছাত্রশিবিরের প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক তাসলিম আলম। গত ২৩-২৪ ডিসেম্বর সারাদেশে অনলাইনের মাধ্যমে একযোগে কেন্দ্রীয় সভাপতি নির্বাচনের ভোট গ্রহন করা হয়। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ভোট গণনা শেষে ফলাফল ঘোষণা করা হয়।

ছাত্রশিবিরের সংবিধান অনুযায়ী কেন্দ্রীয় সভাপতি ২০১৮ সেশনের জন্য কার্যকরী পরিষদের সঙ্গে পরামর্শ করে মোবারক হোসাইনকে সেক্রেটারি জেনারেল হিসেবে পুনঃমনোনয়ন দেন।

নবনির্বাচিত কেন্দ্রীয় সভাপতি ইয়াছিন আরাফাত এর আগে ঢাকা মহানগরী পূর্ব সভাপতি, কেন্দ্রীয় এইচআরডি সম্পাদক, সাহিত্য সম্পাদক, অফিস সম্পাদক, ২০১৬ সালে সেক্রেটারি জেনারেল এবং ২০১৭ সেশনে কেন্দ্রীয় সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

নব মনোনীত সেক্রেটারি জেনারেল মোবারক হোসাইন এর আগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি, কেন্দ্রীয় শিক্ষা সম্পাদক, সাহিত্য সম্পাদক, দপ্তর সম্পাদক ও ২০১৭ সেশনে সেক্রেটারি জেনারেলের দায়িত্ব পালন করেন।

উল্লেখ্য নবনির্বাচিত সভাপতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স, মাষ্টার্স শেষ করে বর্তমানে এমফিল করছেন। অন্যদিকে সেক্রেটারি জেনারেল মোবারক হোসাইন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিবিএ, নর্দাণ ইউনিভার্সিটি থেকে এমবিএ,

সিটি ইউনিভার্সিটি থেকে এলএলবি সম্পন্ন করার পর ভারতের রাজস্থানের শ্রী জে জে টি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন। বর্তমানে তিনি কস্ট এন্ড ম্যানেজমেন্ট একাউন্টিং (সিএমএ) বিষয়ে অধ্যয়নরত আছেন।

অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ও বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির সেলিম উদ্দিন, সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি আতিকুর রহমানসহ কার্যকরী পরিষদের সদস্যবৃন্দ।

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin