কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম বলেন, খেয়াল রাখতে হবে শিক্ষকদের অনশন নিয়ে সরকারের কেউ ষড়যন্ত্র করছে কিনা। সবাইকে একসঙ্গে অনশন করিয়ে অসুস্থ করে বাড়ি ফেরাতে কেউ কাজ করছে কিনা বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
আজ বুধবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে তাদের প্রতি সংহতি জানাতে যান কাদের সিদ্দিকী। এসময় তিনি তাদেরকে অনশনের কৌশলও বাতলে দিয়েছেন।
বঙ্গবীর বলেন, অনশন একসঙ্গে পাঁচজন করে পালাক্রমে করবেন। তাহলে অনেক দিন অনশন করতে পারবেন। আপনাদের দাবি আদায় হবে।
এসময় শিক্ষকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, টানা তিন দিন পানি না খেয়ে থাকলে কিডনি নষ্ট হয়ে যাবে। অল্প অল্প শিক্ষক মিলে অনশন করবেন। একসঙ্গে সবাই অনশন করবেন না।
তিনি আরো বলেন, শিক্ষকদের দাবি যৌক্তিক। এজন্য আমি এখানে এসেছি। শিক্ষকদের প্রতি অন্যায় করা হচ্ছে। আপনারা ধৈর্য ধরুন, ফলাফল অবশ্যই পাবেন। আপনাদের পরাজয় হলে সভ্যতা নষ্ট হবে, মানবতা পরাজয় বরণ করবে।
প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে বঙ্গবীর বলেন, হাফ কিংবা ফুল মন্ত্রী পাঠিয়ে শিক্ষদের দাবি পূরণ হবে না। আপনাকে ভূমিকা রাখতে হবে।
এর কিছুক্ষণ আগে শিক্ষকদের অনশনে সংহতি প্রকাশ করতে আসেন নাগরিক ঐক্যের আহ্ববায়ক মাহামুদুর রহমান মান্না। তিনি শিক্ষকদের উদ্দেশে বলেন, শিক্ষকরা ক্ষুধার কথা বলতে এসেছেন। সাত বছর ধরে শিক্ষকরা আন্দোলন করছেন, আর শিক্ষামন্ত্রী বলেন দেখবেন। এটা লজ্জার!
তিনি বলেন, বাংলাদেশ কোনো মানবিক দেশ নয়, শাসকরা নিষ্ঠুর। আপনাদের সরকার ক্ষমতায় নেই, কখন ছিল না। আর এজন্য শিক্ষকরা যারা মানুষ গড়ার কারিগর, তারা আজ রাস্তায় আন্দোলন করছেন।
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, দেড় থেকে দুই হাজার কোটি টাকা লাগবে শিক্ষকদের দাবি পূরণে। অর্থমন্ত্রী বলেন, চার হাজার কোটি টাকা কোনো টাকাই নয়। অথচ শিক্ষামন্ত্রী বলেন, টাকা নেই।
এসময় শিক্ষকদের উদ্দশে তিনি বলেন, আপনাদের ঐক্য ভাঙার চেষ্টা করবে। কিন্তু নিজেদের মধ্যে একতা বজায় রাখলে দাবি অবশ্যই আদায় হবে।
উল্লেখ্য, নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশনের ব্যানারে টানা চার দিন অনশন করছেন প্রায় চার হাজার শিক্ষক। গতকাল মঙ্গলবার শিক্ষা মন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ শিক্ষকদের দাবির ব্যাপারে এসে সুনির্দিষ্ট কোনো আশ্বাস না দিয়ে যান।