শামীম ও আইভীকে হলুদ কার্ড দেখালো আওয়ামী লীগ !- দেখুন বিস্তারিত

আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে হলুদ কার্ড পাচ্ছেন নারায়ণগঞ্জের দুই নেতা শামীম ওসমান ও সেলিনা হায়াৎ আইভী। নারায়ণগঞ্জের সাম্প্রতিক সহিংসতায় দু’জনেরই ভূমিকা রয়েছে বলেই আওয়ামী লীগের প্রাথমিক তদন্তে পাওয়া গেছে। এছাড়া গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্টেও ‘দুইজন’ই বাড়াবাড়ি করেছেন বলে মন্তব্য করা হয়েছে। দুটি রিপোর্টই দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে দেওয়া হয়েছে ।

দলের সভাপতি দুজনকে শেষবারের মতো সতর্ক করতে সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন। যোগাযোগ করা হলে দলের সাধারাণ সম্পাদক বাংলা ইনসাইডারকে বলেছেন, ‘নারায়ণগঞ্জের ঘটনার মূল কারণ আমরা তদন্ত করছি। প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্ট আমাদের কাছে এসেছে।

আওয়ামী লীগের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, ‘নির্বাচনের আগে নারায়ণগঞ্জ নিয়ে হার্ডলাইনে যেতে চান না প্রধানমন্ত্রী। বরং দুপক্ষকে নিয়েই আগামী নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে চান তিনি।

আওয়ামী লীগের একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তাঁরা মনে করেন, নারায়ণগঞ্জের ঘটনা যতটা না রাজনৈতিক তার চেয়ে বেশি ব্যক্তিগত। নাম প্রকাশ না করার শর্তে দলের একজন শীর্ষনেতা বলেছেন, ‘শামীম এবং আইভী দুজনই জনপ্রিয়। নারায়ণগঞ্জে এরা আওয়ামী লীগের দুই হাত। একজনকে কাটলে আওয়ামী লীগই পঙ্গু হয়ে যাবে।’

জানা গেছে, সাম্প্রতিক ঘটনার ব্যাপারে আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক ভাবে তদন্ত করেছে। এত দেখা গেছে, শামীম এবং সেলিনা দুজনই এই ঘটনায় বাড়াবাড়ি করেছেন। এক্ষেত্রে দুজনের পারস্পরিক আক্রোশই প্রধান ভূমিকা পালন করেছে। দুজনেই নারায়ণগঞ্জে একক কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে চান। বিরোধের সূত্রপাত এখানেই।’

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে একটি পূণাঙ্গ তদন্ত চলছে। প্রাথমিক তদন্তেও দেখা গেছে, দুই নেতার জেদই নারায়ণগঞ্জে সংকটের কারণ। তবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তদন্তে কিছু ব্যক্তিকে চিহ্নিত করা হয়েছে, যারা দুই নেতার বিরোধের সুযোগে পরিস্থিতি অস্থির করতে চেয়েছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, যারা ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চেয়েছেন তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

সরকারের একটি সূত্র বলছে, সেলিনা হায়াৎ আইভী এবং শামীম ওসমানের বিতর্ক উসকে দিয়ে ফায়দা লুটতে চেয়েছিল জামাত ও বিএনপি। এ ব্যাপারে যাঁরা জড়িত ছিলো তাদের চিহ্নিত করার কাজ চলছে।

আওয়ামী লীগও মনে করছে, দুই নেতার কোন্দল উসকে দিচ্ছে বিরোধী পক্ষ। এ ব্যাপারে সেলিনা হায়াৎ আইভী এবং শামীম ওসমানের ঘনিষ্ঠ স্থানীয় নেতৃবৃন্দকে বলা হয়েছে, দুই নেতাকে যেন সামলে রাখা হয়।

বাংলা ইনসাইডার

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin