শর্ত সাপেক্ষে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়কে মহানুভবতা নয় বরং রাজনীতির অপকৌশল হিসেবে দেখছেন দলের যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।
রোববার (৪ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হক হলে কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ ইব্রাহিমের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে শুভেচ্ছা বিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
আলাল বলেন, লোহার শেকল দিয়ে গুলশানে বেগম খালেদা জিয়াকে বন্দি রাখা হয়েছে আর গণভবনে সোনার শেকল দিয়ে শেখ হাসিনাকে বন্দি রেখেছে। শেকলের মধ্যে একটি পার্থক্য আছে সোনা এবং লোহা। পাখির পায়ের শেকল খুলে দিয়ে খাঁচায় বন্দি রাখলে সে মুক্ত হয় না।
সেখানে মানবতা থাকে না। খালেদা জিয়ার পায়ের শেকল খুলে দিয়েছেন। কিন্তু খাঁচা থেকে বের হতে দেননি এটা কোনো মহানুভবতার মধ্যে পড়ে না। এটা রাজনৈতিক অপকৌশল, ভ্রষ্ট নীতি, নষ্ট নীতি।
তিনি বলেন, অদ্ভুত এক দেশে বাস করছি আমরা। মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা করলেন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। সেই মন্ত্রণালয় এখন রাজাকারদের পৃষ্ঠপোষকতা করছে।
আলাল বলেন, ‘চেতনা আর উন্নয়ন এমন হয়েছে যে কালকেও দেখলাম মুন্সিগঞ্জে ৭২ বছরের এক বৃদ্ধা অজু করতে গিয়েছিলেন। অজু করে ফেরার পথে তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে। ধর্ষণকারী সে কীর্তিমান পুরুষটা হচ্ছে স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা।
সব জায়গায় যেখানে হাত দেবেন সেখানে আওয়ামী লীগ। এত বাড়ন্ত হয়েছে এদের, এত বাম্পার ফলন হয়েছে এদের। এদের চেতনার বাম্পার ফলনের যন্ত্রণায় মা-বোন, কন্যারা কেউ নিরাপদ থাকতে পারছে না। টাকা লুটপাট থেকে শুরু করে, অর্থনৈতিক লুটপাট, সার্বভৌমত্ব একটা চরম ঝুঁকিতে ফেলে দেয়া হয়েছে। জাতীয় মতের ঐক্য ছাড়া এর থেকে বেরোনোর কোনো উপায় নেই।’
সভায় অন্যদের মধ্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীরবিক্রম, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ সৈয়দ ইব্রাহিম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বক্তৃতা করেন।