লালমনিরহাট বিএনপির সহসভাপতি আ.লীগে

লালমনিরহাট জেলা বিএনপির সহসভাপতি ফিরোজুর রহমান আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছেন। আজ রোববার বিকেলে শহরে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের হাতে ফুলের তোড়া দিয়ে যোগ দেন তিনি।

আজ বিএনপি থেকে আওয়ামী লীগে যোগদানকারী অন্যরা হলেন আদিতমারী উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি আকবর আলী, দুর্গাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক ইসরাইল হক, দুর্গাপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আবদুল মতিন, ৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি সামসুল হক, ৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মোক্তার হোসেন ও ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি জোবেদ আলীসহ দুই শতাধিক নেতা-কর্মী ও সমর্থক।

ফিরোজুর রহমান ২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত লালমনিরহাট জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ইউনিট কমান্ডার ছিলেন। তিনি আদিতমারী উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছিলেন। ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন।

যোগদান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন লালমনিরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সিরাজুল হক।

অনুষ্ঠানে ফিরোজুর রহমান বলেন, ‘আমি বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণে অনুপ্রাণিত হয়ে যুবক বয়সে মুক্তিযুদ্ধের সময় সেনাবাহিনীতে যোগ দিই এবং মুক্তিযুদ্ধ করি। মাঝখানে ভুল বোঝাবুঝি ও মতের অমিলের জন্য দলছুট ছিলাম। এখন আমার আসল ঘরে ফিরে আসলাম।’

ফিরোজুর রহমান বলেন, ‘আমি এত দিন বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছি, এখন থেকে জয় বাংলাই বলব। আমার ৬৯ বছর বয়স, যত দিন বাঁচি জয় বাংলার সঙ্গেই থাকব।’

অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ বলেন, ‘দুর্গাপুর ইউনিয়ন ছিল মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তিযোদ্ধাদের অন্যতম আশ্রয়কেন্দ্র। সীমান্ত ঘেঁষা হওয়ায় এখানে মুক্তিযুদ্ধবিরোধীদের তেমন আশ্রয়-প্রশ্রয় ছিল না। তারপরেও দেশ স্বাধীনের পর এই ইউনিয়নে বিএনপির শক্তিশালী ঘাঁটি ছিল। ফিরোজুর রহমান আওয়ামী লীগে যোগ দেওয়ায় এই ঘাঁটি এখন আমাদের হলো।’

অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান। তিনি বলেন, ‘আমি দুই যুগের বেশি সময় ধরে চেষ্টা করেছি যাতে ফিরোজুর রহমান বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে যোগ দেন। আজ সেই স্বপ্ন পূরণ হলো।

কারণ, যে দল জামায়াত-রাজাকারের সঙ্গে জোট করে ক্ষমতায় গিয়েছিল, আবারও যাওয়ার আকাশকুসুম কল্পনা করে, সেই দলে ফিরোজুর রহমানের মতো মুক্তিযোদ্ধা কী করে এত দিন ছিলেন, সেটা আমার মাথায় আসত না।’ মতিয়ার রহমান বলেন, ‘নিশ্চয় তিনি অনেক মনের কষ্টে ছিলেন। এখন তাঁর সেই কষ্ট আর থাকল না।’

আজকের অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসন ৩০২-এর সদস্য সফুরা বেগম। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন আদিতমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক আবদুল হামিদ মোল্লাহ, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা সিরাজুল হক খন্দকার। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের উপপ্রচার সম্পাদক শাখওয়াত হোসেন খান, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী নজরুল ইসলাম প্রমুখ।

prothom-alo

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin