chatrolig

রেজিস্ট্রার ও উপাচার্যের কার্যালয় ভাঙচুর করল ছাত্রলীগ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মুহম্মদ আমির উদ্দিনের অপসারণ দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের স্থগিত কমিটির সভাপতি আলমগীর টিপুর অনুসারীদের বিরুদ্ধে। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনিক ভবনের সামনে দুটি প্রাইভেট কার ভাঙচুর করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে রাখা হয় এক ঘণ্টা।

এদিকে শিক্ষক মুহম্মদ আমির উদ্দিনকে লাঞ্ছিত করার বিচার দাবিতে ও ভাঙচুরের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের স্থগিত কমিটির সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বি সুজনের অনুসারীরা। আজ মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এসব ঘটনা ঘটে।

শিক্ষক মুহম্মদ আমির উদ্দিনের নিয়োগ অবৈধ এবং তিনি সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের বিরোধিতা করেছেন বলে দাবি করে গতকাল সোমবার তাঁকে অপসারণের দাবি জানান আলমগীর টিপুর অনুসারীরা। এর আগে ছাত্রলীগের একাংশের বিরুদ্ধে মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ এনেছিলেন শিক্ষক আমির উদ্দিন।

আরো পড়ুন ↓

১২ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের অনুমতি পেলো বিএনপি!

আমির উদ্দিন বিশ্বিবদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ও চট্টগ্রাম করদাতা সুরক্ষা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, দুপুরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরীর সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মুহম্মদ আমির উদ্দিনের অপসারণের বিষয়ে দেখা করতে যান বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের স্থগিত কমিটির সভাপতি আলমগীর টিপুর অনুসারীরা। উপাচার্যের সঙ্গে আলোচনা শেষে অফিস কক্ষ থেকে বের হয়ে ভাঙচুর শুরু করেন তাঁরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের তৃতীয় তলায় উপাচার্যের কার্যালয়ের জানালার কাচ ও বেশ কিছু ফুলের টব ভাঙচুর করা হয়।

দ্বিতীয় তলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ কামরুল হুদার কার্যালয়ের জানালার কাচ ও বেশ কিছু ফুলের টব ভাঙচুর করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে দুটি প্রাইভেট কার ছাড়াও ফুলের টব ভাঙচুর করা হয়। এ সময় শিক্ষক মুহম্মদ আমির উদ্দিনের অপসারণ দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন ভাঙচুরকারীরা। ভাঙচুর শেষে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে এসে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের স্থগিত কমিটির সভাপতি আলমগীর টিপুর অনুসারীরা।

বেলা দেড়টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক অবরোধ করে রাখেন। এ ছাড়া দেড়টার দিকে শাটল ট্রেনের হোস পাইপ কেটে দেওয়ায় দেড় ঘণ্টা শাটল ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। বেলা তিনটায় শাটল ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মোহাম্মদ আলী আজগর চৌধুরীর সঙ্গে আলোচনা শেষে অবরোধ তুলে নেন অবরোধকারীরা।

ছাত্রলীগের স্থগিত কমিটির উপগ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক মো. ইকবাল হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের বিরোধিতাকারী শিক্ষক মুহম্মদ আমির উদ্দিনের অপসারণ দাবিতে আমরা অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছি। এক ঘণ্টা বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক অবরোধ করে রেখেছি আমরা। তদন্ত শেষে এ শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়া হলে আমাদের আন্দোলন চলমান থাকবে।’

ভাঙচুরের অভিযোগ অস্বীকার করে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের স্থগিত কমিটির সভাপতি আলমগীর টিপু প্রথম আলোকে বলেন, ‘২৪ ঘণ্টা শেষ হওয়ার পরও সন্তোষজনক উত্তর না পাওয়ায় আমরা শান্তিপূর্ণ অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছি। অবরোধ পালনের পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের জানিয়েছে, ২২ তারিখ পর্যন্ত সেই শিক্ষক ক্যাম্পাসে শিক্ষা কর্মকাণ্ড থেকে অব্যাহত থাকবেন। আমাদের পক্ষ থেকে কোনো ভাঙচুর করা হয়নি। আমির উদ্দিনের অনুসারীরা এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে।’

বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের স্থগিত কমিটির সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বি প্রথম আলোকে বলেন, ‘নগরের নাগরিকদের আন্দোলনকে বিশ্ববিদ্যালয়ে টেনে আনা উচিত হয়নি। আমরা এ সব সন্ত্রাসীর বিচার সুনিশ্চিত করে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার আহ্বান জানাচ্ছি।’

সূত্র: প্রথম আলো

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin