khaleda_zia_adalat

রায় স্থগিত করলে নির্বাচনে যাবে বিএনপি?

বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে চলমান দুটি দুর্নীতি মামলার রায় নির্বাচন পর্যন্ত সময়ে স্থগিত করার অনুরোধ জানিয়েছে বিএনপি। বিএনপির শীর্ষস্থানীয় একজন নেতা বাংলাদেশের ভারতীয় দূতাবাসের একজন পদস্থ কর্মকর্তার সঙ্গে দেখা এই অনুরোধ জানান। ওই নেতা বলেছেন, ‘এই দুটি মামলার রায় স্থগিত না করা হলে, বিএনপির পক্ষে আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ অসম্ভব হয়ে পড়বে।’

ভারতীয় দূতাবাসের ওই কর্মকর্তা জানতে চেয়েছেন, ‘মামলা দুটির রায় বিলম্বিত হলেই কি বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে?’ উত্তরে বিএনপির স্থায়ী কমিটির ওই সদস্য বলেছেন, ‘এটা প্রথম ধাপ। তখন ম্যাডামকে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া যাবে।’ একাধিক কূটনৈতিক সূত্রে এই তথ্য পাওয়া গেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, গত ১৫ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান এবং ভারতীয় দূতাবাসের গুরুত্বপূর্ণ একজন কর্মকর্তার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। স্থানীয় একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকে সাম্প্রতিক রাজনীতি এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ নিয়ে আলোচনা হয়।

ওই বৈঠকে ভারতীয় দূতাবাসের কর্মকর্তা বলেন, শেখ হাসিনাকে সরিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবিকে ভারত সমর্থন করে না।’ তিনি আরও বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি সমর্থনযোগ্য নয়। কোনো গণতান্ত্রিক দেশে এটা থাকতে পারে না।’

এই দাবি ছাড়া অন্য কী শর্ত পূরণ করলে বিএনপি নির্বাচনে যাবে, এই ব্যাপারে ওই কর্মকর্তা সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব চান বিএনপি নেতার কাছে। উত্তরে বিএনপি নেতা বলেন, ‘বেগম জিয়া যদি নির্বাচনের অযোগ্য হন।

তাহলে নির্বাচন বর্জন ছাড়া বিএনপির সামনে আর কোনো পথই খোলা থাকবে না।’ ড. মঈন খান এটাও বলেন, ‘সরকার যে পরিকল্পনা নিয়ে এগুচ্ছে, তা গণতন্ত্রের জন্য মঙ্গলজনক হবে না।’ তিনি বলেন, ‘বেগম জিয়াকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ দিতে হবে।

এটাই বিএনপির প্রথম শর্ত।’ এজন্য তিনি বর্তমান বিচার প্রক্রিয়ায় ধীরে চলো নীতি গ্রহণের নীতি প্রস্তাব করেন। এছাড়াও ড. খান বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে চলমান মামলার কার্যক্রমগুলো নির্বাচন পর্যন্ত সময়ে স্থগিত রাখার প্রস্তাব দেন। তাঁর মতে, ‘এসব মামলা নিয়ে আমরা তো নির্বাচনের কথা ভাবতেই পারছি না। এ দুটি কাজ হলে একটা পরিবেশ হবে।’

ভারতীয় দূতাবাসের ওই কর্মকর্তা অবশ্য নিশ্চয়তা চেয়েছেন যে, এ দুটি বিষয় বিবেচনা করলে বিএনপি নির্বাচনে যাবে। সুনির্দিষ্ট করে নিশ্চয়তা না দিলেও বিএনপি নেতা বলেছেন, ‘আমরা নির্বাচনে যাবার জন্য মুখিয়ে আছি। আমাদের একটু স্পেস করে দিন।’

বাংলা ইনসাইডার

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin