moududh_ahmedh

রাষ্ট্রীয় খরচে প্রচারাভিযান, প্রশ্ন জাগে নির্বাচন কমিশন কতটুকু শক্ত: মওদুদ

সিলেটের জনসভায় প্রধানমন্ত্রীর দেয়া বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া নির্বাচন কমিশনকে উদ্দেশ্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিয়ম ভেঙে রাষ্ট্রীয় খরচে নির্বাচনি প্রচারাভিযান শুরু করেছে। তাহলে প্রশ্ন জাগে, নির্বাচন কমিশন কতটুকু শক্ত?

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে বৈঠকে শেষে অপেক্ষমাণ সাংবাদিকদের সামনে তিনি এই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিলেট থেকে নির্বাচনি প্রচার শুরু নিয়ে প্রশ্ন তুলে মওদুদ বলেন, মঙ্গলবার থেকে প্রধানমন্ত্রী আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচারাভিযানে নেমে গেছেন। স্পষ্টভাবে নৌকায় ভোট চেয়েছেন। তিনি বলেছেন, ডিসেম্বরে ভোট হবে। তার এই অবস্থানে প্রশ্ন জাগে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা আসলে কী। সাধারণত তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচনি প্রচার শুরু হয়, কিন্তু প্রায় একবছর আগেই সরকারি দল রাষ্ট্রীয় খরচে নির্বাচনি প্রচারাভিযান শুরু করেছে। এতেই বোঝা যায় নির্বাচন কমিশন কতটুকু শক্ত?

ইসির প্রতি মওদুদ আহমদ বলেন, তাদেরকে এই ধরনের সরকারি খরচে প্রচারাভিযান করা বন্ধ করতে হবে। না হলে আমাদেরকেও জনসভা করার সুযোগ দিতে হবে।

তিনি বলেন, আমরা আগে বলেছি, লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড থাকতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর প্রচারাভিযান লেবেল প্লেয়িং ফিল্ডের নমুনা নয়। এখন দেখা যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রী আনুষ্ঠানিকভাবে সিলেটে ভোট চাইছেন, আর আমরা আদালতের বারান্দায়।

এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মঙ্গলবার সিলেট গেছেন। সেখানে তিনি বলেন, চলতি বছরের ডিসেম্বরে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এজন্য নৌকা মার্কায় ভোট চাই। সিলেট আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, নৌকা দেশের স্বাধীনতা এনে দিয়েছে, নৌকা দেশের উন্নয়ন করেছে, নৌকা দেশকে সমৃদ্ধ করেছে তাই আপনারা হাত তুলে ওয়াদা করেন আগামী নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট দেবেন।

এ সময় বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় বাংলাদেশ দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, তাদের কারণে বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়। তাদের আমলে বাংলা ভাইয়ের সৃষ্টি, জঙ্গিবাদের সৃষ্টি। ২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার দেশে সন্ত্রাস ও হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিল।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি ৫ জানুয়ারির নির্বাচন ঠেকানোর নামে সন্ত্রাস-তাণ্ডব চালিয়েছিল। সেসময় অনেক মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। সিএনজি চালককে পুড়িয়ে মেরেছে তারা। হাজার হাজার গাছ কেটে ফেলে। আমরা গাছ লাগাই, তারা গাছ কেটে ফেলে, আমরা রাস্তা করি, তারা ধ্বংস করে। তবে আমরা তাদের সেই জ্বালাও-পোড়াও কঠোর হাতে দমন করেছি। জনগণ যখনই তাদের প্রতিরোধ করেছে, তারা পিছু হটতে বাধ্য হয়েছে।

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin