রাতে নয় দিনে আসেন, দেখব কত শক্তি : ইশরাক

বিএনপির ঢাকা-১৮ আসনের প্রার্থী এস এম জাহাঙ্গীরের গণসংযোগে যোগ দিয়ে ইশরাক হোসেন বলেন, রাতের বেলা কেন? দিনের বেলা আসেন। দেখিয়ে দেব কার কতো শক্তি। রাতের বেলা কাপুরেষের মতো হামলা করে ভয় দেখানো যাবে না।

রাতে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সহ-সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা জামানের কামারপাড়ার রানাভোলার বাড়িতে হামলার ঘটনা প্রসঙ্গ টেনে রোববার সকালে তিনি এসব কথা বলেন।

সিসি ক্যামারা ফুটেজে দেখা যায়, রাত ১টার দিকে একদল যুবক মোটর সাইকেল থেকে নেমে ওই বাড়ি লক্ষ্য করে ডিম, ইটপাটকেল, মূল ফটকে কাঠ ছুড়ে মারছে। মোস্তফা জামান ওই বাড়িতে বসবাস না করলেও তার মা থাকেন বলে জানান তুরাগ থানা বিএনপির সভাপতি আমান উল্লাহ।

আজ সকালে মোস্তফা জামানের বাসায় গিয়ে তার পরিবারের সদস্যদের সান্ত্বনা দেন ইশরাক হোসেন ও এস এম জাহাঙ্গীর। সেখানে নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে দেয়া বক্তব্যে ঢাকা-১৮ আসনের বিএনপি প্রার্থী বলেন, রাতের আধাঁরে আমাদের নেতাকর্মীদের বাড়িতে হামলা চালিয়েছে। এর জবাব আমরা ১২ নভেম্বর ভোটের মাধ্যমে দেব। আমাদের কোনো নেতাকর্মীর ওপর হামলা চালানো হয়, প্রয়োজনে পাল্টা হামলা হবে।

তিনি আরো বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ থাকতে চাই। অশান্তি ডেকে আনবেন না, কারো জন্যই মঙ্গল হবে না। নেতাকর্মীদের বলব, ভোট কেন্দ্রে গিয়ে প্রমাণ করবেন।

এস এম জাহাঙ্গীর বলেন, প্রশাসনকে বলত চাই, আমরা শান্তিপূর্ণ জনতা, শান্তিতে থাকতে চাই। আপনারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ব্যাপারগুলো দেখবেন। আমি রাতে ফোন করেছি, ভিডিও ফুটেজ আছে, দেখে যদি ব্যবস্থা না নেন আমরা অন্য ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হব।

এরপর বেলা ১১টায় তৃতীয় দিনের মতো ধানের শীষের পক্ষে উত্তরখান আটিপাড়া বাজার থেকে গণসংযোগ শুরু করেন জাহাঙ্গীর। বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী সাথে নিয়ে হেলাল মার্কেট, চামুরখান, মৈনারটেক, মাস্টার বাড়ি, আটিপাড়া হয়ে রাজবাড়ীতে গণসংযোগ করেন এস এম জাহাঙ্গীর।

গণসংযোগ যতই সামনে এগোতে থাকে জনস্রোত আরো বাড়তে থাকে, একপর্যায়ে তা সমাবেশে রূপ নেয়। গণসংযোগকালে নারী-পুরুষ বাড়ির ছাদ থেকে জাহাঙ্গীর হাত নেড়ে সমর্থন জানায়। কেউ কেউ মাথায় ভালবাসার হাতের স্পর্শ দিয়ে দোয়াও করে দেন।

এ সময় নেতাকর্মীদের শ্লোগাণে চারদিক প্রকম্পিত হয়ে উঠে। ধানের শীষ, খালেদা জিয়া, তারেক রহমান ও জাহাঙ্গীরের নাম ধরে নেতাকর্মীদের সাথে ঢাকা দক্ষিণের মেয়রপ্রার্থী হিসেবে অংশ নেয়া ইশরাক হোসেনকে শ্লোগানের মধ্যদিয়ে নেতৃত্ব দিতে দেখা যায়।

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin