dhaka_city_co_uttor

রাতে চূড়ান্ত হবে বিএনপির মেয়র প্রার্থী

আজ শনিবার রাতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন উপনির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী চূড়ান্ত হতে পারে। এ জন্য বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া স্থায়ী কমিটির বৈঠক ডেকেছেন।

রাত সাড়ে আটটায় গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হবে। বিএনপির চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের কর্মকর্তা শায়রুল কবীর খান প্রথম আলোকে এ তথ্য জানান।

এদিকে বিএনপির নেতৃত্বাধীন সর্বশেষ জোটের বৈঠকে বিএনপির পক্ষ থেকে গতবারের মেয়রপ্রার্থী তাবিথ আউয়ালকে এবং শরিকদের কেউ কেউ বিজেপির চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থকে মনোনয়ন দেওয়ার জন্য সুপারিশ করেছে। এদিকে ওই বৈঠকের আগেই জামায়াত মেয়র পদে দলের ঢাকা মহানগর উত্তরের আমির সেলিম উদ্দিনকে প্রার্থী মনোনীত করে। তিনি এরই মধ্যে প্রচার ও গণসংযোগ শুরু করেছেন।

তবে বিএনপির নেতারা মনে করেন, মেয়র প্রার্থী বিএনপি থেকে দেওয়া উচিত, শরিক দল থেকে নয়। এর আগেও এ ধরনের কোনো নির্বাচনে বিএনপি শরিক দল থেকে প্রার্থী দেয়নি।

তবে ২০-দলীয় জোটের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া যাঁকে প্রার্থী করবেন, শরিক দলগুলো তাঁর সমর্থনে কাজ করবে।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র পদে উপনির্বাচন ২৬ ফেব্রুয়ারি। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময় ১৮ জানুয়ারি। আর মনোনয়নপত্র বাছাই ২১ ও ২২ জানুয়ারি, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ২৯ জানুয়ারি।

ঢাকা উত্তরে জোটের মেয়র প্রার্থী ঘোষণা আজ, বিএনপি-জামায়াতের দর কষাকষি!

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) উপ-নির্বাচনে ২০ দলীয় জোটের মেয়র প্রার্থী ঘোষণা করা হবে আজ শনিবার। জোটসঙ্গী জামায়াত আগে প্রার্থী থোষণা করায় বিএনপির সাথে শুরু হয় দর কষাকষি।

এ নিয়ে কয়েকদিন আগে জোটের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। এরপর শনিবার রাতে দলের নীতি-নির্ধারক ফোরাম স্থায়ী কমিটির বৈঠক ডেকেছেন তিনি।

বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, এ বৈঠকের প্রধান এজেন্ডা থাকবে ঢাকা উত্তরে মেয়র প্রার্থী মনোনয়ন চুড়ান্ত করা। জোটের অন্যতম শরিক জামায়াতে ইসলামী বিএনপির সাথে আলোচনা ছাড়াই আগে প্রার্থী ঘোষণায় কিছুটা অবাক হয়েছে ২০ দলের শীর্ষ নেতারা। তবে এটিকে জামায়াতের দর কষাকষির কৌশল হিসেবে দেখছেন তারা।

অপর দিকে জামায়াত সূত্রে জানা গেছে, এর আগে জামায়াতের আলোচনা ছাড়া একক সিদ্ধান্তে প্রার্থী ঘোষণা করেছিল বিএনপি। তাই দলটিও বিএনপির সাথে এ নিয়ে আলোচনা করেনি। তাই দর কষাকষি শুরু হয়েছে। এখন প্রার্থী ঘোষণার ক্ষেত্রে বিএনপি কি সিদ্ধান্ত নেয় তার ওপর অনেক কিছু নির্ভর করছে।

তবে দলীয়ভাবে জামায়াত মনে করে, জোটের বাইরে গিয়ে হলেও ঢাকায় দলের অবস্থান পরীক্ষা করে দেখা প্রয়োজন। এর পেছনে কারণ হচ্ছে জামায়াতের নিজস্ব ভোট ব্যাংক এবং সাধারণ মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি বোঝা। তাই ডিএনসিসি উপ-নির্বাচনে তফসিল ঘোষণার আগেই প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে জামায়াত। এমনকি জামায়াতের প্রার্থী হিসাবে একজন ইতিমধ্যে মনোনয়ন ফরমও সংগ্রহ করেছেন।

গত মঙ্গলবার বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানিয়েছিলেন, আগামী শনিবার দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির সভায় আমাদের প্রার্থী চূড়ান্ত করা হবে। জোটের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া চান জোটবদ্ধভাবে নির্বাচন করতে। জোটের বন্ধন অটুটও রাখতে চান তিনি।

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin