ershad

রসিক নির্বাচন হবে ইসির জন্য পরীক্ষা: এরশাদ

আসন্ন রংপুর সিটি করপোরেশন (রসিক) নির্বাচন হবে বর্তমান নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জন্য একটি পরীক্ষা। এই নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, ও নিরপেক্ষভাবে করতে ব্যর্থ হলে ইসির প্রতি জনগণের আস্থা প্রশ্নবিদ্ধ হবে। আশা করি, ইসি সেই ঝুঁকি নেবে না। বুধবার দুপুরে তার বনানীস্থ কার্যালয়ে পাইলট ক্যাপ্টেন জাকারিয়া হোসেনের আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পার্টিতে যোগদান অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ এসব কথা বলেন।

সাবেক এই রাষ্ট্রপতি বলেন, সবার অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করতে হলে ইসিকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে হবে এবং সম্পূর্ণ নিরপেক্ষতার প্রমাণ দিতে হবে। প্রথম পর্যায়ে সেই প্রমাণ দেখতে চাই রসিক নির্বাচনের মাধ্যমে।

তিনি বলেন, জাতীয় পার্টি সম্মিলিত জাতীয় জোট (ইউএনএ)-কে নিয়ে এককভাবে নির্বাচনে প্রস্তুতি গ্রহণ করবে। দেশের মানুষ এখন আমাদের দিকেই ঝুঁকে পড়েছে। তাই সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ এবং গণ্যমান্য ব্যক্তি জাতীয় পার্টিতে যোগদান করছেন। এই ধারা অব্যাহত থাকবে। তিনি জাকারিয়া হোসেনকে জাতীয় পার্টিতে স্বাগত জানিয়ে তাকে দলের জন্য নিবেদিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।

এসময় উপস্থিত ছিলেন পার্টির মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, প্রেসিডিয়াম সদস্য জিয়াউদ্দিন আহম্মেদ বাবলু, সুনীল শুভ রায়, এস এম ফয়সল চিশতী, মেজর খালেদ আখতার (অব.), চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, শফিকুল ইসলাম সেন্টু, যুগ্ম মহাসচিব শফিকুল ইসলাম শফিক, সাংগঠনিক সম্পাদক ফখরুল আহসান শাহজাদা প্রমুখ।

ছাত্রলীগের অপকর্মের দায়ভার আ.লীগ নেবে না: কাদের

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেছেন, ‘আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তরুণরাই হবে বিজয়ের হাতিয়ার। অথচ জগ্ননাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের কমিটি করবে বলে এক বছর পার করে কমিটি দিয়েছে। আমি চাই না তাদের মতো কমিটি করা হবে বলে বছরের পর বছর সময় পার করুক। আমি বলব মাত্র ১৫ দিনের মধ্যে সাংগঠনিক কমিটি গঠন করতে হবে। সেই সাথে যোগ্যতা ও মেধার ভিত্তিতে কমিটিতে স্থান দিতে হবে। আর এই বিষয়গুলো কমিটির নির্বাচকদের খেয়াল রাখতে হবে।’

বুধবার (১৫ নভেম্বর) দুপুরে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে ঢাকা জেলা ছাত্রলীগের বার্ষিক সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

ছাত্রলীগ নেতাদের সমালোচনা করে মন্ত্রী বলেন, ‘ছাত্রলীগের কোনও নেতা যখন কোথাও যায় তখন তাকে স্বাগত জানাতে মোটরবাইকের বহর নিয়ে যাওয়া হয়। যার জন্য মানুষের কষ্ট হয়। এগুলো তো করে বিএনপি। বিএনপির মতো আচরণ ছাত্রলীগে থেকে করা যাবে না।

এ সময় খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের সময় ছাত্রলীগের ভূমিকা অত্যন্ত সম্মানজনক ছিল। সেই নেতৃত্ব আবার ফিরে পেতে চাই।’ আগামী জাতীয় নির্বাচনে শেখ হাসিনাকে বিজয়ী করার জন্য ছাত্রলীগকে পূর্বের মতো কাজ করার আহব্বান জানান তিনি।

প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি খাত উন্নয়ন বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেন, ‘কারচুপির মাধ্যমে বিএনপি ক্ষমতায় এসেছিল। বিএনপি চাচ্ছে কারচুপির নির্বাচন হউক। তারা সুষ্ঠু ও অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে চায় না। সুষ্ঠু হলে বিএনপির বিজয় হবে না। এ জন্যই তারা এ রকম করছে।’

ঢাকা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইকরামুল নবী ইমুর সভাপতিত্বে সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট আব্দুল মান্নান খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা: দিপু মনি, বিদ্যুৎ-জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু, ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ, সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন প্রমুখ।

সূত্র:ব্রেকিংনিউজ

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin