রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দাখিলকারী জেলা যুবদল সভাপতি সাবেক ছাত্রনেতা নাজমুল আলম নাজু দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সিদ্ধান্তের সাথে একমত পোষণ করে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের মাধ্যমে নির্বাচনে অংশ না নেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
একইসাথে তিনি বিএনপি মনোনীত প্রার্থী কাওছার জামানকে সমর্থন ও তার পক্ষে কাজ করারও কথা জানিয়েছেন। শনিবার (২৫ নভেম্বর) দুপুরে নগরীর গ্রান্ড হোটেল মোড়স্থ বিএনপি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই ঘোষণা দেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা যুবদল সেক্রেটারি সামসুল হক ঝন্টু, যুগ্ম সম্পাদক শাজ জিল্লুর রহমান জেমস, যুবদল নেতা তামজিদুর রশিদ গালিম আকিবুর রহমান মনু, জাকারিয়া ইসলাম জ্যাক, গালিব, লিখন প্রমুখ।
নির্বাচন থেকে সরে আসার ঘোষণা দিয়ে জেলা যুবদল সভাপতি নাজমুল ইসলাম নাজু বলেন, খালেদা জিয়ার প্রতি পূর্ণ আস্থা রেখে তার মনোনীত প্রার্থীকে সমর্থন দিয়ে এবং তারপক্ষে কাজ করার ঘোষণা দিয়ে রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশ নেয়া থেকে সরে এলাম। আমি আমার দাখিলকৃত মনোনয়নপত্র নির্ধারিত তারিখেই প্রত্যাহার করে নেবো।
তিনি বলেন, আমি নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলাম। এতে দলের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছিল। আজকের পর থেকে আর সেই বিভ্রান্তি থাকল না। আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে বিএনপি প্রার্থীকে বিজয়ী করার জন্য কাজ করব। নাজুর এই ঘোষণার মধ্য দিয়ে এখন রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী কাওছার জামান বাবলাও একক প্রার্থী হলেন।
এদিকে রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তার সহায়ক কর্মকতা আবু সাঈম জানান, আগামী ২১ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য রংপুর সিটি কর্পোরেশনে নির্বাচনে লড়াইয়ের জন্য দলগত হিসেবে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, বিএনপি, ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ, বাসদ, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি ছাড়াও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আরো আটজনসহ মোট ১৩ জন মনোনয়ন দাখিল করেছেন। এছাড়াও ১১ টি সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদের জন্য ৬৭ জন এবং ৩৩টি সাধারণ কাউন্সিলর পদের জন্য ২২৬ জন মনোনয়ন ফরম তুলেছেন।
মনোনয়ন দাখিলকারী প্রার্থীর মনোয়নপত্র যাছাই বাছাই শনিবার থেকে রোববার পর্যন্ত। মনোয়নপত্র বাছাইয়ের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের ২৭ থেকে ২৯ এবং আপিল নিষ্পত্তি ৩০ নভেম্বর। প্রার্থিতা প্রত্যাহার ৩ ডিসেম্বর এবং প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হবে ৪ ডিসেম্বর। এই নির্বাচনে মোট ১৯৬টি ভোট কেন্দ্রের ১ হাজার ১৭৭টি ভোটকক্ষে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এবার এখানে ৩ লাখ ৮৮ হাজার ৪২১ ভোটারের মধ্যে রয়েছেন পুরুষ ১ লাখ ৯৬ হাজার ৬৫৯ এবং নারী ১ লাখ ৯১ হাজার ৭৬২ জন। ২০১২ সালের ২০ ডিসেম্বর প্রথম রংপুর সিটি করপোরেশনে ভোট হয়েছিল।
ব্রেকিংনিউজ.
তারেক রহমান দেশে ফিরলে নতুন ধারা প্রবাহিত হবে
তিনটি শর্তে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন দেয়ার দাবি জানিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দীন আহমদ বলেছেন, বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফিরলে নতুন ধারা প্রবাহিত হবে। গতকাল এক সভায় তিনি বলেন, সংসদ ভাঙা, বিরোধী দলের নেতাদের দেয়া মামলা প্রত্যাহার বা স্থগিত এবং বিরোধী দলের শীর্ষ নেতাদের সাথে আলোচনা করে একটি সিদ্ধান্তে আসতে হবে। এই তিন শর্তপূরণ করলেই আগামী জাতীয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ হবে বলে মন্তব্য করেন ড. এমাজউদ্দীন আহমদ।
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৫৩তম জন্মদিন উপলক্ষে সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কর্মজীবী দল। সংগঠনের সভাপতি মো: লিটনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান খন্দকার মাহবুব হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. এমাজউদ্দীন আহমদ গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য তিনটি শর্তের কথা বলেন। প্রথমত, বর্তমান সংসদ ভেঙে দিতে হবে। এ সংসদ রেখে নির্বাচন করাকে বাতুলতা করা হবে বলে তিনি মনে করেন। দ্বিতীয়ত, ভোটপ্রার্থীদের বিরুদ্ধে যেসব মামলা আছে, তা তুলে দিয়ে বা স্থগিত করে তাদের নির্বাচনের সুযোগ করে দিতে হবে। তৃতীয়ত, বর্তমান নির্বাচন কমিশন আলোচনার মাধ্যমে যেভাবে গঠিত হয়েছে, সেভাবে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে নিরপেক্ষ সরকার গঠনে আলোচনার পরিবেশ তৈরি করতে হবে।
তিনি বলেন, তারেক রহমান বাবার যোগ্য সন্তান। যিনি সাধারণ মানুষের কাছে বাবার মতোই ছুটে গিয়েছিলেন। এই নেতাকে ফিরিয়ে আনতে হলে তরুণ প্রজন্মকে উদ্যোগ নিতে হবে। তারেক রহমান দেশে ফিরে এলে নেতৃত্বে নতুন ধারা প্রবাহিত হবে।
খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, তারেক রহমান ফিরে আসবেন প্রধানমন্ত্রী বা রাষ্ট্রপতি হওয়ার জন্য নয়। নির্যাতিত মানুষের নেতা হিসেবে ফিরবেন। গুম, খুনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, উন্নয়নের অবস্থা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে মানুষ ঘর থেকে বের হতে পারে না।
নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কোনো পাগলও বিশ্বাস করবে না যে, আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর অধীনে নির্বাচন হলে, বিএনপি জয়ী হবে। নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া প্রহসনের নির্বাচন আর হতে পারবে না।
onlinenews24