rongpur_city

রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন>>ভোটারদের মাঝে উদ্বেগ

নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে, মানুষের মধ্যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা ততই দানা বাঁধছে। কুশলবিনিময়ের সঙ্গে চলছে তর্কবিতর্ক। কেমন থাকছে নিরাপত্তাব্যবস্থা। আলোচনা, জল্পনাকল্পনারও যেন শেষ নেই। সবারই দাবি, সুষ্ঠু নির্বাচন। এ জন্য প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করার দাবি জানিয়েছেন ভোটাররা।

সুশীল সমাজসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার লোকজনের ভাষ্য, দেশে জাতীয় নির্বাচন ও অন্য সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের আগে এটিই প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এ কারণে এ নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে আছে দেশবাসী। তার ওপর এবারই প্রথম রংপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাচন হচ্ছে দলীয় প্রতীকে। প্রার্থীদের নির্বাচনী গণসংযোগের পাশাপাশি ভোটারদের শঙ্কার কথাও উঠে আসছে।

নগরের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কুকরুল এলাকার বাসিন্দা সত্তরোর্ধ্ব কৃষক ইয়াছিন আলী বলেন, ‘হামরা শান্তিতে যেন ভোটকেন্দ্রোত যাবার পারি। ভোটটা যেন দিবার পাই। যেন কোনো গন্ডগোল না হয়।’

এমন উক্তি শুধু ইয়াছিন আলীর নয়, গতকাল মঙ্গলবার নগরের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের আমাশু, কুকরুল, কাইমাগিলি, নীলকণ্ঠ, ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের মিস্ত্রিপাড়া, মুন্সিপাড়া, কেরানীপাড়া, ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের জলকর, রাধাবল্লভ, মেডিকেল কলেজ, ধাপ স্টাফ কোয়ার্টার এলাকাসহ আরও কিছু এলাকা সরেজমিনে গেলে সর্বত্রই এমন কথা শোনা যায়।

১৯ নম্বর ওয়ার্ডের জলকর এলাকার বাসিন্দা ব্যবসায়ী আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ভোটের হাওয়ায় নির্বাচনে জয়-পরাজয় কিছুটা বোঝা গেলেও এখনো মানুষজনের ভোট সুষ্ঠু হওয়া নিয়ে চিন্তাভাবনা দূর হচ্ছে না। তাঁর ভাষ্য, কড়া নিরপত্তাব্যবস্থা নিতে হবে।

এদিকে নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, ৩৩টি ওয়ার্ডের ১৯৩টি ভোটকেন্দ্রে চার স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা থাকছে। এতে বিজিবি, র‍্যাব, পুলিশ ও আনসারের প্রায় চার হাজার সদস্য থাকছে।

১৮ ডিসেম্বর মধ্যরাত থেকে ২১ ডিসেম্বর মধ্যরাত পর্যন্ত মহাসড়ক ছাড়া রংপুরের সিটি এলাকার সর্বত্র ভারী যানবাহন চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। এ ছাড়া ৩৩টি ওয়ার্ডের প্রতিটিতে একটি করে ভ্রাম্যমাণ আদালত থাকছে। সেই সঙ্গে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে আরও ১১টি দল পুরো সিটিতে পর্যবেক্ষণে থাকবে।

সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) মহানগর কমিটির সভাপতি আফতাব হোসেন বলেন, নাগরিকদের উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বাড়ছে, এ কথা ঠিক। তবে তা দূর করতে হবে নির্বাচন কর্মকর্তাদেরই।

রিটার্নিং কর্মকর্তা সুভাষ চন্দ্র সরকার বলেন, উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা থাকতেই পারে। এ জন্য সব প্রস্তুতিও রয়েছে। তিনি আরও বলেন, ১৯৩টি কেন্দ্রের মধ্যে ১২৮টি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ। যেসব কেন্দ্রে যোগাযোগব্যবস্থা দুর্বল এবং মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের বাড়ির পাশের কেন্দ্র, সেসব কেন্দ্রে আলাদা নজর রয়েছে। সেই সঙ্গে প্রতিটি কেন্দ্রেই থাকছে কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা।

উৎসঃ   prothom-alo

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin