faruk

রংপুর সিটিতে সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে আমরা শংকিত : ফারুক

বিএনপির উপদেষ্টা সাবেক হুইপ জয়নাল আবেদীন ফারুক বলেছেন, আমরা চেয়েছিলাম সুষ্ঠু নির্বাচন। কিন্তু সরকার ও নির্বাচন কমিশন তা করছেন না। এজন্য সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে আমরা শংকিত।

তার অভিযোগ একজন প্রতিমন্ত্রী এখানে আচরণবিধি লঙ্ঘণ করে সিটিতে অবস্থান করছেন। কিন্তু নির্বাচন কমিশন তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। শুধু চিঠি দেয়া নয়, যদি তাকে উইথড্রো করা হতো তাহলে বোঝা যেতো এখানে ফ্রি ফেয়ার ইলেকশন হবে। আমরা মনে করছি এখানকার রিটার্নিং কর্মকর্তা কারো হয়ে কাজ করছে।

রোববার দুপুরে রংপুর মহানগরীর গ্রান্ড হোটেল মোড়ে দলীয় কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি একথা বলেন। জয়নাল আবেদীন ফারুক বলেন, এখানে আওয়ামীলীগ আচরণবিধি লংঘন করে মঞ্চ এবং গাড়িবহরে করে প্রচারণা চালাচ্ছে। আর আমাদের প্রার্থীকে কোন কারণ ছাড়াই জরিমানা করা হচ্ছে।

এই সরকারের আমলে অতীতেও সুষ্ঠু নির্বাচন হয় নি। আমাদের নেতাকর্মীদের এই সরকার খুন, গুম, জেল, জুলুম, অত্যাচার করে মাঠ থেকে সরে রেখেছে। তবুও আমরা এসবের আশংকা মাথায় নিয়েই নির্বাচনে লড়তে চাই।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, এখানে আমাদের ৫ হাজারেরও বেশী পোলিং এজেন্ট লাগবে। কিন্তু আমরা তাদের নাম প্রকাশ করতে পারছি না। কারন দুই একজনের নাম প্রকাশ হয়ে যাওয়ার কারনে তাদের উপর জুলুম অবিচার করা হচ্ছে। অত্যাচার করা হচ্ছে। আমরা এজন্য নির্বাচন নিয়ে শংকিত।
তিনি বলেন, জামায়াতের সাথে আমাদের নির্বাচনী জোট।

সেই জোট আছে। তারা আমাদের সাথে মাঠে কাজ করছে এই নির্বাচনে। আওয়ামীলীগ তো তাদের নিবন্ধন বাতিল করেছে, কিন্তু রাজনীতি তো নিষিদ্ধ করে নি। এটাও একটা জামায়াতকে নিজেদের আয়ত্বে নেয়ার জন্য টোপও হতে পারে আওয়ামী লীগের।

তিনি বলেন, আপনারা নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করুন। ভোটাররা যাতে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারেন, সে পরিবেশ নিশ্চিত করুন। আমরা ফলাফল মেনে নিবো।

জয়নাল আবেদীন ফারুক বলেন, আমি মনে করি বাকী ৫ দিন আছে, এই সময়ের মধ্যেও বিএনপি প্রার্থীর জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করে নির্বাচন কমিশন লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করতে পারে। কিন্তু তারা সেটা আদৌ করতে চান, নাকি তাদেরকে করতে দেয়া হচ্ছে না সেটা স্পষ্ট করা দরকার।
আগামী ২১ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে এই ভোট।

এখানে মেয়র পদে ৭ জন, সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৬৫ জন এবং সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২১১ জন প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। ১৯৩ টি ভোট কেন্দ্রের ১ হাজার ১২২ টি বুথে সকাল ৮ টা থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত বিরতীহিনভাবে চলবে এই ভোট।

rtnn

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin