রংপুর সিটি কর্পোরেশন (রসিক) নির্বাচনে জাতীয় পার্টিকে ছাড় দিয়েছে বিএনপি। নিজেদের পরাজয় মেনে নিয়ে এখন তারা গোপনে জাতীয় পার্টির প্রার্থীকে ভোট দিতে নির্দেশনা দিয়েছে। নিজেদের প্রার্থীকে বলি দিয়ে হলেও তারা এখানে আওয়ামী লীগ প্রার্থীকে হারাতে চায়। আগামী ২১ ডিসেম্বর প্রথমবারের মত দলীয় প্রতীকে রংপুরে ভোট গ্রহণ করা হবে।
এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের শরফুদ্দিন আহেমদ ঝন্টু , বিএনপির কাওছার জামান এবং জাতীয় পার্টির মোস্তাফিজার রহমান প্রতিদ্বিন্দ্বতা করছেন। এর বাইরে আরো ৪ জন প্রার্থী রয়েছেন মেয়র পদে।
আলোচিত এ রংপুর সিটি নির্বাচনের আর মাত্র দুদিন বাকি। এই নির্বাচন নিয়ে জোর প্রচারণায় নেই বিএনপি। দলীয় প্রার্থীর পক্ষে ভোট চাইতে দলের হেভিওয়েট নেতাদের রংপুরে পাঠাননি খালেদা জিয়া। এই শিথিলতার সুযোগে অন্য দলের প্রার্থী জিতে যাওয়ার সম্ভবনাকেও আমলে নিচ্ছে না বিএনপি।
জানা গেছে, বিএনপি বিভিন্ন জরিপ করে দেখেছে সেখানে তাদের জেতার সম্ভবনা নেই। এক সময়ের জাতীয় পার্টির দুর্গে ভাগ বসিয়েছে আওয়মী লীগ। কিন্তু বিএনপির ভোট বাড়েনি। বর্তমানে এ সিটি করপোরেশনে ৩ লাখ ৯৩ হাজার ৯৯৪ জন ভোটার রয়েছে।
ভোটের লড়াইয়ে থাকলেও রংপুর সিটি নির্বাচনকে রাজনৈতিক কৌশল হিসেবে নিয়েছে বিএনপি। এই নির্বাচনে দলের প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণার জন্য মাঠে নামেননি দলের শীর্ষ নেতারা। দলের মহাসচিব কয়েক ঘণ্টার জন্য রংপুর গেছেন অনেকটা লোক দেখানোর মতোই। তবে নিজ দলের প্রার্থী না জিতলেও যে কোনো মূল্যে সরকার দলীয় প্রার্থীর জয় ঠেকাতে চায় বিএনপি। একই সঙ্গে এই নির্বাচনকে জাতীয় নির্বাচনের জন্য একটি ইস্যু হিসেবে দাঁড় করানোর চেষ্টাও তাদের আছে।
রংপুর সিটি নির্বাচনে জাতীয় পার্টিকে বিএনপি ছাড় দিয়েছে এমন অলোচনাও রয়েছে। তবে দলের নেতারা তা নাকচ করে দিতে চান।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ চৌধুরী এ ব্যাপারে বলেন, রংপুর নির্বাচনে জাতীয় পার্টির জয়কে মেনে নিলেও কোনোভাবেই প্রধান প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগের জয় মেনে নিতে প্রস্তুত নয় বিএনপি। কারণ কারচুপি ছাড়া আওয়ামী লীগ এ নির্বাচনে জিততে পারবে না।
বাংলা ইনসাইডার