রংপুরে জাতীয় পার্টির বিদ্রোহী প্রার্থী শাহরিয়ার আসিফকে বহিষ্কার

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে তার ভাতিজা শাহরিয়ার আসিফকে দল থেকে বহিষ্কার করেছেন। শৃঙ্খলা ভঙ্গের পাশাপাশি দলের চেয়ারম্যানের নির্দেশ ও সিদ্ধান্ত অমান্য করে রসিক নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

দলের হাইকমান্ডের এ সিদ্ধান্তের ফলে রংপুর জাতীয় পার্টির মধ্যে বিরাজমান অস্বস্তি বা অস্থিরতার অবসান হল।

শুক্রবার বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও চেয়ারম্যানের রাজনৈতিক সচিব সুনীল শুভ রায়ের স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সিদ্ধান্ত অমান্য করে রংপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় জাতীয় পার্টির প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব পদ ও পদবি থেকে শাহরিয়ার আসিফকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

সতর্ক করে একই সঙ্গে বলা হয়েছে, দলের কোনো সদস্য যদি শাহরিয়ার আসিফের পক্ষে নির্বাচনী কাজে অংশগ্রহণ করেন তাহলে তাকেও জাতীয় পার্টি থেকে বহিষ্কার করা হবে। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ পার্টির গঠনতন্ত্রের ২০/১/ক ধারা মোতাবেক এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন- যা অবিলম্বে কার্যকর হবে।

তাৎক্ষণিকভাবে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে শাহরিয়ার আসিফ বলেন, এটি জাতীয় পার্টির সিদ্ধান্ত। আমি মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছি। আমি মনে করি, জাতীয় পার্টির ওই সিদ্ধান্ত আমার ভোটের ফলাফলে কোনো প্রভাব ফেলবে না। আমি সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করছি তাই সাধারণ মানুষের ভোটে আমি নির্বাচিত হব এ আশা করি।

রংপুর সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি দলের সিদ্ধান্তে মেয়র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছি। জাতীয় পার্টির নেতা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের জন্ম স্থান রংপুর। সেই রংপুরের মানুষ তাকে যে ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা দিয়ে অতীতের সব নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থীকে নির্বাচিত করেছিল। এ নির্বচনে তার প্রতিফলন ঘটবে। এরশাদ প্রিয় রংপুরের মানুষ আমাকে মেয়র হিসেবে নির্বাচিত করবেন বলে আমার বিশ্বাস।

জানতে চাইলে পার্টির মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক এসএম ইয়াসির বলেন, পার্টির চেয়ারম্যান তার অনুজ ভ্রাতুষ্পুত্র আসিফ শাহরিয়ারকে বহিষ্কার করেছেন। দলের চেয়ারম্যানের এ সিদ্ধান্ত প্রমাণ করল পরিবারের চেয়ে দল বড়। তিনি দলের নেতাকর্মীদের ‘সেন্টিমেন্ট’ বুঝে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। দলের নেতাকর্মীরা খুশি।

তিনি বলেন, এটি জাতীয় পার্টির জন্য মঙ্গলবার্তা বয়ে এনেছে বলে আমি মনে করি। এ ঘটনার মধ্য দিয়ে একটি বিষয় পরিষ্কার হল পার্টির শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজ করে কেউ পার পাবেন না। আগামীতে কেউ এ ধরনের সাহস করবে না।

rtnn

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin