যুক্তরাষ্ট্র সুষ্ঠু নির্বাচন চাইলেও সরকারের উপর আস্থা নেই!

যুক্তরাষ্ট্র অবাধ, নিরপেক্ষ এবং বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন প্রক্রিয়া দেখতে চাইলেও বাংলাদেশ সরকারের উপর আস্থা রাখতে পারছেন না বিশিষ্টজনেরা।

তারা মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট সুষ্ঠ নির্বাচনের কথা বললেও আওয়ামী সরকারের অধীনে সু্ষ্ঠ নির্বাচন সম্ভব নয়। এ ব্যাপারে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, বর্তমান কমিশনের অধীনে জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। সিইসি নিজেই বলেছেন নির্বাচনে যে অনিয়ম হবে না সে গ্যারান্টি তিনি দিতে পারবেন না।নির্বাচন সুষ্ঠু করতে হলে সব রাজনৈতিক দলকে নিয়ে একটি সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে।

বদিউল আলম বলেন, রাজশাহী ও সিলেট সিটি নির্বাচনে খুলনার নির্বাচনের পুনরাবৃত্তি ঘটেছে। খুলনার নির্বাচনের প্রধান বৈশিষ্ট্য ছিল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তায় প্রধান প্রতিপক্ষকে মাঠছাড়া করা। এসব ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন নির্বিকার থেকেছে।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট বলেছেন, বাংলাদেশে অবাধ, নিরপেক্ষ এবং বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন প্রক্রিয়া দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। এই নির্বাচন প্রক্রিয়ার বিস্তারিত রাজনৈতিক দলগুলো নিজেরা মিলে ঠিক করবে, সেটাও আমরা আশা করি।

তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যাশা— বাংলাদেশে অবাধ, নিরপেক্ষ এবং বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন। এই নির্বাচন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগণের মতামতের প্রতিফলন ঘটবে— সেটাই আমরা দেখতে চাই। এটি কীভাবে হবে তা রাজনৈতিক দলগুলো নিজেরা মিলে ঠিক করবে।

রাষ্ট্রদূত বলেন, সরকার নিজেই বলেছে তারা একটি বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন করতে চায়। আমরা আশা করি সরকার সে দায়িত্ব পালন করবে।

মার্শা বার্নিকাট কথার প্রেক্ষিতে সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার ড. এ টি এম শামসুল হুদা বলেন, তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বিলুপ্ত হওয়ায় নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরির দায়িত্ব সরকারের।

তিনি বলেন, ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য বিভিন্ন রাজনৈতিক দল অংশ নেয়, যেখাসে রুলস অব দি গেইম ও লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড— এগুলো এনসিউর না হলে তো হবে না। সেগুলো এনসিউর করেই একটা জিনিস ইন্ট্রডিউস করতে হবে। নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করার দায়িত্ব মূলত সরকারের। সরকারই এটা করবেন। এখন না করতে পারলে তো খুবই অসুবিধার কথা। তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা উঠে গেছে। সে পরিস্থিতিতে কী করলে কনফিডেন্স আসবে, আস্থা আসবে সে পদক্ষেপ নেওয়ার দায়িত্ব সরকারের।

উৎসঃ   amadershomoy

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin