kamal-jiya

মেজর জিয়ার ছোট ভাই কামাল মারা গেছেন

সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ছোটভাই আহমেদ কামাল ইন্তেকাল করেছেন। বৃহস্পতিবার বিকাল চারটার দিকে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তার বয়স হয়েছিল ৭০ বছর।

বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইং সদস্য শায়রুল কবির খান ও শামসুদ্দিন দিদার ঢাকাটাইমসকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ব্যক্তিগত জীবনে চিরকুমার আহমেদ কামাল পর্যটন করপোরেশনের সাবেক মহাব্যবস্থাপক ছিলেন।

আহমেদ কামাল রাজধানীর সবুজবাগ এলাকায় একটি বাসায় একাকী জীবনযাপন করতেন। ব্যাচেলর জীবনকেই স্বাচ্ছন্দ্যময় মনে করতেন তিনি। এস ইসলাম ডন নামে একজন দুঃসম্পর্কের আত্মীয় তার খোঁজখবর রাখতেন। সবাই তাকে আহমদ কামালের ভাতিজা বলে জানেন। আহমেদ কামাল উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, হাইপারটেনশনসহ নানা রোগে ভুগছিলেন। ২০১৫ সালের জুলাই অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে সিদ্ধেশ্বরীর মনোয়ারা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তাকে বারডেমে নেয়া হয়।

এর কিছুদিন পর হাসপাতালে বসে গণমাধ্যমে বিএনপিকে নিয়ে দেয়া বক্তব্যে বেশ তোলপাড় সৃষ্টি হয়। ২০১৫ সালের নভেম্বরে জিয়াউর রহমানসহ পরিবারের মৃত সদস্যদের জন্য ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটে একটি মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করে ব্যাপক আলোচনায় আসেন তিনি। গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে তিনি রাজনীতিতে আসছেন। তবে শেষ পর্যন্ত তিনি আর রাজনীতিতে আসেননি।

ঢাকাটাইমস

আগামী নির্বাচনে জামায়াতকে ৪০ আসন দিবে বিএনপি

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে ১০০ আসনে ৩ ক্যাটাগরিতে প্রার্থী চূড়ান্ত করবে বিএনপি। বাকি ২০০ আসনে দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন দিতে চায় দলটি। তবে নির্বাচনি আসন নিয়ে খালেদা জিয়া এখনও চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত না নেওয়ায় সবকিছু নাও ঠিক থাকতে পারে। এক্ষেত্রে মনোনয়নের ক্যাটাগরি ঠিক থাকলেও প্রার্থী চূড়ান্তকরণ আলোচনা ও পর্যবেক্ষণের পর্যায়ে রয়েছে। বিএনপির নির্বাচনি কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

বিএনপির দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে একটি প্রার্থীতালিকা চূড়ান্ত করে দলটি। ওই তালিকা থেকে আগে ২০০ জনকে চূড়ান্ত করা হবে। এরপর বাকি ১০০ আসনে ভিন্ন-প্রক্রিয়ায় প্রার্থী দেবে দলটি।

এই তিন ক্যাটাগরির প্রথমটি হচ্ছে, ২০ দলীয় জোট ও জোটের শরিকদের মধ্যে কয়েকটি আসন বণ্টন করা হবে। এক্ষেত্রে জোটের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যদের আসন দেওয়া হবে। জোটের প্রধান শরিক জামায়াতে ইসলামীকে দেওয়া হবে ত্রিশ থেকে চল্লিশ আসন। এই আসনসংখ্যা কমতেও পারে। এখানে লক্ষণীয়, গত ১৫ নভেম্বর রাতে জোটের সঙ্গে বৈঠকে কয়েকজন নেতার প্রশ্নের জবাবে খালেদা জিয়া জানিয়েছেন, ‘আসন নিয়ে এখনপর্যন্ত কোনও বৈঠক হয়নি। এগুলো আরও পরে করা হবে।’

দ্বিতীয়ত, সমমনা অন্যান্য রাজনৈতিক দলের মধ্যে বিকল্প ধারা, নাগরিক ঐক্য, গণফোরাম, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) ও কয়েকটি বামপন্থী দল রয়েছে। এই দলগুলোর শীর্ষ নেতারা যেসব স্থানে নির্বাচন করবেন, সে স্থানগুলোয় বিএনপি প্রার্থী দেবে না। চূড়ান্ত অর্থে আলোচনা না হওয়ায় সমঝোতার বিষয়টি পর্যবেক্ষণেই আটকে আছে।

তৃতীয় ক্যাটাগরি হলো, ২০০৮ সালের নির্বাচনের আগে যারা সংস্কারপন্থী ছিলেন এবং গত আট বছরে পেশাজীবীদের মধ্যে যারা খালেদা জিয়া ও বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে নিবিড়ভাবে যুক্ত হয়েছেন, তাদের মধ্যে থেকে নির্বাচিত কয়েকজনকে জন্য মনোনীত করা হবে।

এ বিষয়ে বিএনপির মনোনয়ন কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত এক নেতার ভাষ্য, ‘বেশ কিছু আসনে গত ১৫ বছরে চিকিৎসক, প্রকৌশলী, শিক্ষকদের অনেকেই রাজনৈতিকভাবে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন, কোনও সুনির্দিষ্ট দলের সঙ্গে যুক্ত না থাকলেও জনপ্রিয়তা ধরে রেখেছেন, এমন কয়েকজনকে হায়ার করা হতে পারে।’

এদিকে জামায়াতে ইসলামীর বিষয়ে কার্যক্রমে যুক্ত একনেতা জানান, ‘জামায়াত নির্বাচনের আগে দলীয় প্রতীক ফিরে পেলে বিএনপির ভাবনার বিষয় হয়ে দাঁড়াবে। তৈরি হবে রহস্যও। যদি না পায়, তাহলে স্বতন্ত্র হিসেবে প্রার্থী দিতে হবে দলটিকে। এক্ষেত্রে জামায়াতের আসনবণ্টন জোটগতভাবে হলে সংশ্লিষ্ট আসনগুলোয় ধানের শীষের প্রতীকে কেউ প্রার্থী হবেন না।

জামায়াতের একটি সূত্র জানায়, আগামী নির্বাচনে হাইকোর্টের আদেশে স্থগিত থাকা দলীয় প্রতীক ফিরে না এলে ধানের শীষে নির্বাচন করার একটি প্রাথমিক সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। দলের নীতি-নির্ধারকরা ধানের শীষকে নির্বাচনি প্রতীক হিসেবে এগিয়ে রাখছেন। আর এ বিষয়টির একটি সুস্পষ্ট ইঙ্গিত মিলেছে গত ১৯ অক্টোবর নির্বাচন কমিশনে দেওয়া প্রস্তাবনায়।

দলের ভারপ্রাপ্ত আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান ইসিতে দেওয়া প্রস্তাবে বলেছেন, ‘‘বিদ্যমান আইনে রিটার্নিং অফিসার ও সহকারী রিটানিং অফিসারের কাছে মনোনয়নপত্র দাখিলের বিধান ছাড়াও এরসঙ্গে নির্বাচন কমিশন ও অন-লাইনে দাখিলের বিধান করতে হবে। মনোনয়নপত্র ফরম-১ সংশোধন করতে হবে। ‘রাজনৈতিক দলের প্রার্থী’ শব্দগুচ্ছের জায়গায় ‘রাজনৈতিক দল/জোটের প্রার্থী শব্দগুচ্ছ’ প্রতিস্থাপন করতে হবে।’’

যদিও এ বিষয়টি নিয়ে জামায়াতের কোনও নেতাই মন্তব্য করতে রাজি নন। তবে কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরার সদস্য মাওলানা হাবিবুর রহমানের ভাষ্য, ‘নির্বাচনের আরও অনেক দেরি। এরই মধ্যে পরিস্থিতির নানা পরিবর্তন ঘটবে। কোন প্রতীকে নির্বাচন হবে, তা ঠিক করার আগে, ঠিক করতে হবে নির্বাচন হবে কোন ব্যবস্থাপনায়।’

বিএনপির তিন ক্যাটাগরিতে মনোনয়নের বিষয়ে জানতে চাইলে দলটির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘কোন পন্থায় মনোনয়ন চূড়ান্ত করা হবে, এটা বিএনপির পার্লামেন্টারি বোর্ড ঠিক করবে। ফলে, এখনই এই বিষয়ে বলার সুযোগ নেই।’

আস

বিএনপির ভবিষ্যৎ ভালো নয়: কাদের

‘বিএনপি আবার আন্দোলনে যাচ্ছে’ এমন ইঙ্গিত প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বিএনপির ভবিষ্যৎ ভালো নয়। জ্বালাও-পোড়াও করে তারা জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। আবারো ৫ জানুয়ারির মতো জ্বালাও-পোড়াও করতে চাইলে তারা জনগণ থেকে একেবারেই বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে। এখন সিদ্ধান্ত তাদের কাছে তারা কী করতে চায় বা কী করবে। জনগণের কথা বুঝে সংবিধান অনুযায়ী তাদের নির্বাচনে আসতে হবে।’

বৃহস্পতিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জে একটি অনুষ্ঠানে যোগদান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। এর তিনি নারায়ণগঞ্জের বন্দরের ত্রিবোনী মিনারবাড়ি এলাকায় শামসুজ্জোহা মুসাপুর বন্দর (এম.বি) ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের উদ্বোধন করে সুধী সমাবেশে বক্তব্য দেন।

বিএনপির দিকে ইঙ্গিত করে কাদের বলেন, ‘যারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে, অস্ত্র নিয়ে কথা বলে, জ্বালাও-পোড়াও করে তারা মানুষের উন্নয়ন চায় না। তারা মানুষের ভালো চায় না।’ তিনি বলেন, ‘বিএনপি অস্ত্র নিয়ে কথা বলে, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে, এসব বন্ধ না করলে তাদের সাথে মানুষ থাকবে না।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দেশের মানুষ এখন আর আগুন সন্ত্রাস, অরাজকতা চায় না। মানুষ এখন উন্নয়নে বিশ্বাসী আর বর্তমান সরকার হচ্ছে উন্নয়নবান্ধব সরকার।’সরকারি দলের সাধারণ সম্পাদক হওয়ার পর ওবায়দুল কাদের প্রথমবারের মতো নারায়ণগঞ্জে আসেন। তিনি দুটি বিদ্যালয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দেন। এ সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকাটাইমস

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin