ভারতে গরুর গোশত খাওয়ার দায়ে সংখ্যালঘু মুসলমানদের ওপর সম্প্রতি বেশ কিছু সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনা ঘটেছে। তবে সেই ভারত থেকেই বিশ্বের মুসলিম দেশগুলোতে প্রতি বছর বিপুল পরিমাণ ‘হালাল’ গোশত রফতানি হচ্ছে।
যার আর্থিক মূল্যমান ২ দশমিক ২৮ বিলিয়ন (২২৮ কোটি) ডলার। আর গোশত রফতানিকারক দেশগুলোর মধ্যে ভারতের অবস্থান তৃতীয়। দুবাইভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইসলামিক ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট সেন্টারের হিসাবে উঠে এসেছে এ তথ্য।
প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, বিশ্বের ১৮০ কোটি মুসলমানের কাছে ৪১৫ বিলিয়ন ডলারের হালাল গোশত বিক্রি হয়। কিন্তু হালাল গোশতের সরবরাহকারী বৃহৎ ১০ দেশের মধ্যে ৮টিই অমুসলিম দেশ। এ তালিকায় শীর্ষে রয়েছে ব্রাজিল, দ্বিতীয় দেশ অস্ট্রেলিয়া, তৃতীয় স্থানে ভারত। এর পর একে একে এসেছে ফ্রান্স, চীন, সুদান, নেদাল্যান্ডস, স্পেন, সোমালিয়া, তুরস্কের নাম।
অন্যদিকে আমদানিকারক শীর্ষ পাঁচ দেশের প্রথমে রয়েছে- সৌদি আরব। এর পর পর্যায়ক্রমে রয়েছে- মালয়েশিয়া, কাতার, ইন্দোনেশিয়া ও মিসর।
উৎসঃ jugantor
ধোনিকে দেখেই স্লোগান উঠল ‘আফ্রিদি’ ‘আফ্রিদি’!
তার নাম মহেন্দ্র সিং ধোনি। ভারতের সিংহভাগ ক্রিকেটভক্তদের কাছে নয়নের মণি এই সাবেক অধিনায়ক।কিন্তু ভারত অধিকৃত কাশ্মীর মানেই সব হিসাব নিকাশ যেন আলাদা। ওখানকার মানুষ ভারতের নাগরিক হয়েও সারাক্ষণ পাকিস্তান বন্দনায় মেতে থাকে। অনেকটা আমাদের দেশের পাকিস্তানপন্থীদের মত। সেই কাশ্মীরে একটি লিগের ম্যাচে অতিথি হিসেবে গিয়ে বেশ বিব্রত হতে হলো ‘ক্যাপ্টেন কুল’কে।
রবিবার কাশ্মীর বারামুলা জেলার কুঞ্জারে গিয়েছিলেন সেনাবাহিনী আয়োজিত স্থানীয় ক্রিকেট লিগের ম্যাচের অতিথি হিসাবে। চিনার প্রিমিয়ার লিগের এই ম্যাচে এসেই ভারতের বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ককে শুনতে হয়েছে প্রতিবেশী দেশের ক্রিকেটারের নামে বন্দনা। ঘটনা এখানেই থেমে থাকেনি। বেশ কয়েকজন স্থানীয় শাহিদ আফ্রিদির নাম নিয়ে চিৎকার করতে থাকেন!
ধোনির উপস্থিতিতে লিগের ম্যাচ দেখতে সেখানে হাজির হয়েছিলেন বহু মানুষ। ধোনি বারামুলার ওই মাঠে প্রবেশ করবার সময়েই শোনা যায় ‘আফ্রিদি’ ‘আফ্রিদি’ স্লোগান।
স্থানীয় কিছু মানুষই দেশের সফলতম অধিনায়কের মাঠে প্রবেশ করার সময় এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর বরাত দিয়ে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম।
এই ঘটনায় তোলপাড় চলছে দেশটির গণমাধ্যম আর সোশ্যাল সাইটে। কারণ ধোনি শুধুমাত্র জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক এবং বর্তমানের সিনিয়র ক্রিকেটারই নন; তিনি ভারতীয় সেনাবাহিনীর অনারেবল লেফটেন্যান্ট জেনারেল। তাই সেনা আয়োজিত ক্রিকেট লিগে স্বাভাবিক ভাবেই তিনি আমন্ত্রিত ছিলেন। কাশ্মীরে বিচ্ছিন্নতাবাদের আন্দোলন যে থেমেও থামেনি এই ঘটনাকে তার প্রমাণ বলছে ভারতীয় মিডিয়া।
যদিও সেই অনুষ্ঠানে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ আয়োজনের ব্যাপারে কথা বলেন ধোনি। ভাতৃত্ববোধের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ক্রিকেটে ভারত-পাক দ্বৈরথ সবসময়ই রোমাঞ্চকর ও উপভোগ্য। নিকট ভবিষ্যতে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সিরিজ আয়েজনের ব্যাপারে দুই দেশের সরকারের সিদ্ধান্তে আসা উচিত। ‘
উৎসঃ kalerkantho