‘মুসলিমরা বেশি বেশি সন্তান জন্ম দিচ্ছে ভারত দখল করার জন্য’

ভারতের এক বিজেপি নেতা ফেইসবুক পোস্ট ও ভিডিও পোস্ট করার মাধ্যমে দাবি করেছেন, দেশটির মুসলিমরা জনসংখ্যা বৃদ্ধির মাধ্যমে শাসনতন্ত্রের দখল নিতে চাইছে। রাজস্থানের আলোয়ারের বিধায়ক বানওয়ারি লাল সিংঘালের এমন বক্তব্যের পর থেকেই সমালোচনার ঝড় বইছে গণমাধ্যম জুড়ে।

সোমবার ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বানওয়ারি লাল বলেন, টেলিভিশনে এক হিন্দু সাধুর বক্তব্য শুনে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছান তিনি।

বানওয়ারি লাল ফেইসবুকে লিখেছিলেন, ভারতে পরিকল্পনা করেই নিজেদের জনসংখ্যা বাড়াচ্ছে মুসলিমরা। এখনই ব্যবস্থা না নেয়া হলে এমন একটি সময় আসবে যখন দেশটির প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি, এমনকি প্রতিটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীও হবেন মুসলমান। তখন হিন্দুদের ‘আর কিছুই করার থাকবে না’ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

এই পোস্টের পর থেকে চরম সমালোচনার মুখে পড়লেও নিজের বক্তব্য থেকে নড়েননি এই সাংসদ। গণমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘সুদর্শন চ্যানেলের ওই সাক্ষাৎকারে সাধুবাবা (নরসিংহ নন্দ স্বরসতী) অনেকগুলো বিশ্লেষণধর্মী জরিপ দেখিয়েছেন, যাতে দেখা গেছে, যে কোনো দেশে ৩০ শতাংশের উপরে মুসলিম জনসংখ্যা উঠে গেলে, সেই দেশ মুসলমানদের দখলে চলে যায়। এই উদাহারণ আমাদেরে ইতিহাসেও আছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘হিন্দু পরিবারের বাবা-মায়েরা সন্তানদের সরকারি চাকুরে বা ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার তৈরি করা নিয়ে চিন্তিত থাকে। কিন্তু মুসলিমরা কেবল কীভাবে এই দেশের উপর কবজা করা যায়- সেটা নিয়ে চিন্তিত। এক এক দম্পতি ৮, ১০, ১২, ১৪ সন্তানের জন্ম দেয়। শিক্ষা কিংবা উন্নতি নিয়ে এদের কোনো চিন্তা নেই।’

সন্তান জন্ম দিতে অনেক সময় ‘স্ত্রী কেনা’র মতো কাজে জড়িয়ে পড়ে মুসলিমরা- এমন অভিযোগও তোলেন তিনি।

‘কোনো দম্পতি যদি ২-৩ টির বেশি সন্তান জন্ম দিতে না পারে, তবে বিহার ও পশ্চিমবঙ্গ থেকে তারা স্ত্রী কিনে আনে বেশি বেশি বাচ্চা পয়দা করার জন্য,’ বলেন তিনি।

কয়েক দিনের মধ্যেই নির্বাচন হবে আলোয়ার ও আজমির-এ । তার আগ দিয়ে বানওয়ারি লাল-এর এই মন্তব্য কেবলই নির্বাচনী মাঠ গরম করার লক্ষ্যে- এমনটাই ধারণা করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।

সূত্র : দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

Check Also

মুখ ফিরিয়ে নিলেন আত্মীয়স্বজন, হিন্দু বৃদ্ধের সৎকার করলেন মুসলিম যুবকরা

বার্ধক্যজনিত অসুস্থতার কারণে মৃত্যু হয় ভারতের বুলন্দশহরের বাসিন্দা রবিশংকরের। অথচ প্রতিবেশীরা মনে করেন করোনা সংক্রমণের …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin