mirza_fakhrul

মীর্জা ফখরুলের কথা মিথ্যা প্রমাণ করল ভোটাররা

নির্বাচনী পথসভায় মেয়র পদে ধানে শীষে ভোট দেওয়ার আহবান জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের দেওয়া বক্তব্য ‘আমার ভোট আমি দেব, আপনার ভোটও আমি দেব’ এই কথাকে মিথ্যা প্রমাণ করেছে দিনাজপুর পৌরসভার ভোটাররা।

তারা টানা তৃতীয় বার দিনাজপুরে ধানের শীষের প্রার্থী সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলমকে হ্যাটট্রিক বিজয় উপহার দিয়েছে।

১৪ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার সময় দিনাজপুর শহরের রামনগর মোড়, সন্ধ্যা ৬টায় ফুলবাড়ী বাসস্ট্যান্ড মোড় ও সন্ধ্যা পৌনে ৭টায় দিনাজপুর স্টেশন চত্ত্বরে বিএনপির মেয়র পদে ধানের শীষের প্রচারণা সভায় বিএনপির মহাসচিব মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আগে আমরা বলতাম আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব’। কিন্তু আওয়ামী লীগ এই কথা বিশ্বাস করে না, তারা এই কথা মানে না। তারা বলে ‘আমার ভোট আমি দেব, আপনার ভোটও আমি দেব’।

কিন্তু দিনাজপুর পৌরসভার ভোটাররা এ কথা মিথ্যা প্রমাণ করেছে। দিনাজপুরে আইন-শৃংখলা বাহিনীর কড়া নিরাপত্তায় ১৬ জানুয়ারি শনিবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটাররা ভোট দিয়েছে। আওয়ামী লীগ কিংবা প্রশাসন কেউ কোনো ভোটারকে বাধা প্রদান করেনি। ভোটাররা স্বাধীনভাবে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়েছে। ভোটারের মতামত প্রতিফলিত হয়েছে। বিএনপির প্রার্থী বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছে।

শনিবার রাতে বেসরকারিভাবে ঘোষিত ফলাফলে ৪৪ হাজার ৯৩৪ ভোট পেয়ে টানা তিনবারের মতো নির্বাচিত হয়ে হ্যাট্রিক করেছেন বিএনপি’র ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী রাশেদ পারভেজ পেয়েছেন ২৪ হাজার ২৬২ ভোট। 

এছাড়াও নির্বাচনে জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী আহমেদ শফি রুবেল পেয়েছেন ৩ হাজার ৪৫৪ ভোট, হাতপাখা প্রতীকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হাবিবুর রহমান রানা পেয়েছেন ৫৭৩ ভোট ও কাস্তে প্রতীকে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির অ্যাড. মেহেরুল ইসলাম পেয়েছেন ৪৭২ ভোট। এই পৌরসভায় এর আগে দুইবার নির্বাচিত হয়েছিলেন সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম।

দিনাজপুর পৌরসভায় ৪৯টি ভোট কেন্দ্রের ৩৭৩টি ভোট কক্ষে এক লাখ ৩০ হাজার ৮০৩ জন ভোটারের মধ্যে ৭৩ হাজার ৬৯৫ জন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। মোট ভোট পড়েছে ৫৬ দশমিক ৩৪ শতাংশ। এই পৌরসভায় ব্যালটের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ হয়েছে।

দিনাজপুর জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা ও পৌর নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা শাহিনুর ইসলাম প্রামাণিক এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin