মির্জা ফখরুল বলেন,‘কেমন আছেন বাহে? মুই কিন্তু তোমরাই ছাওয়াল

‘কেমন আছেন বাহে? মুই কিন্তু তোমরাই ছাওয়াল। মোর বাড়ি ঠাকুরগাঁও। মোর সাথে তোমার আত্মার সম্পর্ক’ দাবি করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদি দল বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগ চোরের দল। ভোট চোরের দল।

ভোটের দিন আপনারা ভোট কেন্দ্র পাহারা দিবেন। যাতে তারা ভোট চুরি করতে না পারে। বাংলাদেশের রাজনীতিতে রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন। এই নির্বাচন দিয়ে হয়তো সরকার পরিবর্তন হবে না। কিন্তু এই নির্বাচন ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারকে একটি বাণী দিতে পারবে যে জনগণ আওয়ামী দুঃশাসনের বিরুদ্ধে।

সোমবার দুপুরে রংপুর মহানগরীর সিও বাজারে বিএনপির মেয়র প্রার্থী কাওছার জামান বাবলার পক্ষে প্রচারণায় সভায় এসব কথা বলেন। এসময় তার সাথে ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সাবেক হুইপ জয়নাল আবেদীন ফারুক, নির্বাচন পরিচালনা কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সচিব সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলু,

কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য আমিনুল ইসলাম, আব্দুল খালেক, প্রার্থী কাওছার জামান বাবলা, মহানগর সভাপতি মোজাফফর হোসেন, সেক্রেটারী শহিদুল ইসলাম মিজু, জেলা সভাপতি সাইফুল ইসলাম, সেক্রেটারী রইচ আহম্মেদ, সাবেক এমপি মহিলা সভাপতি শাহিদার রহমান জোসনা, জাসাস নেত্রী রেজেকা সুলতানা ফেন্সি, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দল আহবায়ক আব্দুস সালাম,

যুবদল জেলা সভাপতি নাজমুল আলম নাজু, সেক্রেটারী সামসুল হক ঝন্টু, যুবদল মহানগর সভাপতি মাহফুজ উন নবী ডন, সেক্রেটারী লিটন পারভেজ, জেলা ছাত্রদল সভাপতি মনিুরজ্জামান হিজবুল, সেক্রেটারী শরীফ নেওয়াজ জোহা, মহানগর ছাত্রদল সভাপতি নুর হাসান সুমন, সেক্রেটারী জাকারিয়া জিমসহ বিপুল পরিমান নেতাকর্মী।

আগামী নির্বাচন বাংলাদেশের জন্য বাঁচা-মরার সংগ্রাম: আমীর খসরু

আগামী নির্বাচন বাংলাদেশের জন্য বাঁচা-মরার সংগ্রাম বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘আমাদের সব অধিকার ফিরিয়ে নেওয়া থেকে মুক্তির আন্দোলনের যে সংগ্রাম আসছে, তা বাঁচা-মরার সংগ্রামে উত্তীর্ণ হতে হবে। আর কোনও বিকল্প নাই। এতে উত্তীর্ণ হতে হবে। আমাদের মুক্তির সংগ্রামকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য জনগণ প্রস্তুত। যে যেখানে আছে আমাদের নেমে পড়তে হবে। দেশকে বাঁচাতে হবে, মুক্ত করতে হবে।’

সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে শিশু কল্যাণ পরিষদের মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন খসরু। ১০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে ‘মানবাধিকার ও আইনের শাসন’ শীর্ষক এই আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ সিভিল রাইটস সোসাইটি।

আমীর খসরু বলেন, ‘বাংলাদেশে স্বতঃপ্রণোদিত নীলনকশার অংশ হিসেবে মানবাধিকার হরণ করা হচ্ছে। আর এরপেছনে কাজ করছে একটি শক্তি। যারা বাংলাদেশে ক্ষমতায় যাওয়া এবং দখল করে বছরের পর বছর থাকার প্রচেষ্টায় লিপ্ত। যা শুধুমাত্র করা হয়েছে সংবিধান পরিবর্তন করে।’

বিএনপি নেতার ভাষ্য, ‘সংবিধান হচ্ছে জীবন্ত দলিল। এর মৃত্যু হতে পারে না। সরকার নিজেদের সুবিধার্থে জনগণের ওপর চাপিয়ে দিতে সংবিধানে কিছু পরিবর্তন করেছে। তারা সংবিধানকে ডিপ ফ্রিজে ঢুকিয়ে দিয়েছেন, এতে হাত দেওয়া যাবে না। কারণ, সংবিধানে হাত দিলে সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে হবে। মানবাধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে। অথচ সরকার সংবিধান পরিবর্তন করেছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করতে এবং কারও কারও পারিবারিক নিরাপত্তার জন্য।’

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin