মাহি, আন্দালিবরা কি আওয়ামী লীগে যোগ দিচ্ছে !

আগামী নির্বাচনে তরুণ ভোটাররাই হবেন নিয়ামক শক্তি। এক তৃতীয়াংশের বেশি নতুন এবং তরুণ ভোটারদের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করবে আগামী নির্বাচনের ভাগ্য।

এজন্য তরুণদের মধ্যে জনপ্রিয়দের দলে ভেড়াতে কাজ শুরু করেছে আওয়ামী লীগ। শুধু যারা রাজনীতি করেন তারাই নন রাজনীতির বাইরে থাকা তরুণদেরও আওয়ামী লীগ আগামী নির্বাচনে কাজে লাগাতে চায়।

রাজনীতি করে এমন দুজন তরুণকে আওয়ামী লীগে টানার জন্য কাজ শুরু করেছে দলটি। এজন্য কয়েকজনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে আন্দালিব রহমান পার্থ, আওয়ামী লীগ পরিবারের সদস্য।

বিজেপির সভাপতি বঙ্গবন্ধু পরিবারের আত্মীয়ও বটে। শেখ ফজলুল করিম সেলিম তাঁর আপন মামা। তরুণদের মধ্যে পার্থ বেশ জনপ্রিয়। তাঁকে আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগে আনতে চায় দলের শীর্ষ নীতিনির্ধারক। এজন্য পার্থের সঙ্গে কথা বলার জন্য দুজনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

তরুণদের মধ্যে আরেকজন জনপ্রিয় রাজনীতিবিদ মাহী বি. চৌধুরী। মাহী বর্তমানে তাঁর পিতার রাজনৈতিক সংগঠন বিকল্প ধারার নেতা। ২০০১ সালে নির্বাচনে জয়ী হবার পর সেসময় বিএনপিতে থাকা মাহী ‘নতুন রাজনৈতিক সংস্কৃতি’র সূচনা করতে চেয়েছিলেন।

আওয়ামী লীগ সভাপতি সেসময় তাঁর নির্বাচনী এলাকা সফরে গেলে মাহী তোরণ দিয়ে তাঁকে অভ্যর্থনা জানিয়েছিলেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি বরাবরই মাহীকে পছন্দ করেন। তাঁকে আওয়ামী পরিবারের সদস্যও মনে করেন। উল্লেখ্য মাহীর দাদা কফিল উদ্দিন চৌধুরী আওয়ামী লীগের নেতা ছিলেন। একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে মাহীর সঙ্গে আওয়ামী লীগের কথাবার্তা চলছে।

তরুণ সমাজের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্যক্তিটি হলেন, জাতীয় ক্রিকেট দলের মাশরাফি বিন মর্তুজা। মর্তুজার পরিবার বাম রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলেও মাশরাফিকে আগামী নির্বাচনে প্রচারণায় কীভাবে কাজে লাগানো যায়, সেটা নিয়েই কাজ করছে আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটি। শুধু মাশরাফি বিন মর্তুজা নয়।

তরুণ ভোটারদের আকৃষ্ট করতে আওয়ামী লীগ জনপ্রিয় ক্রিকেটার অভিনেতা সংগীত শিল্পীদের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছে। ইতিমধ্যে অনেকের কাছ থেকেই আওয়ামী লীগ ইতিবাচক সাড়া পেয়েছে।

আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় একজন নেতা বলেছেন, জাতীয় ক্রিকেট দলের খেলোয়াড়দের একটি বড় অংশ আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পক্ষে কাজ করবে। কারণ তাঁরা সবাই শেখ হাসিনার ভক্ত। এরাই হবে নির্বাচনী প্রচারণায় তরুণ ভোটারদের আকৃষ্ট করার ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের তরুপের তাস।

বাংলা ইনসাইডার

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin