moududh_ahmedh

মানুষ মাঠে নামলে বুঝবেন শক্তি কত: মওদুদ

বিএনপি আগামী নির্বাচনে অবশ্যই অংশ নেবে। নির্বাচন ও আন্দোলন—দুটির জন্যই প্রস্তুত বিএনপি। ভোটের অধিকার আদায়ে দেশের মানুষ একসঙ্গে রাস্তায় নামলে রাজনৈতিক চিত্র পাল্টে যাবে। মানুষ একবার গণতন্ত্রের জন্য মাঠে নামলে বোঝা যাবে কার শক্তি কতটুকু।

শুক্রবার নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের সিরাজপুর ইউনিয়নের মানিকপুরে নিজ বাসভবনের সামনে ‘আমান মওদুদ কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ এসব কথা বলেন।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের উদ্দেশে মওদুদ আহমদ বলেন, বাংলার মানুষ একবার গণতন্ত্রের জন্য মাঠে নামলে বুঝবেন কার শক্তি কতটুকু। নির্বাচন আসুক, তখন সেটা প্রমাণ হবে। আমরা জানি, এ সরকার কোনো সমঝোতায় আসতে চাইবে না। তবুও আমরা চাইব আগামী নির্বাচন যেন নির্দলীয়, নিরপেক্ষ ও অবাধ সুষ্ঠু হয়। সরকার একদলীয় নির্বাচন করার জন্য নানা কৌশল করছে। তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে সবার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা এবং বিএনপিকে মামলায় জড়িয়ে ব্যস্ত রাখা।
মওদুদ আহমদ বলেন, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির মতো একদলীয় কোনো নির্বাচন বাংলাদেশে আর হবে না, হতে দেওয়া যাবে না।

আমান মওদুদ তাঁর দ্বিতীয় ছেলে। ২০১৫ সালের এপ্রিল মাসে মারা যান আমান। ছেলের নামে নিজ বাসভবনের সামনে এ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন করা হলো।

সাবেক মন্ত্রী মওদুদ আহমদ অভিযোগ করে বলেন, ‘আমি এলাকায় এলেও কোনো ইউনিয়নে, ওয়ার্ডে বা কোথায়ও যেতে পারি না, আমরা একটা ঘরোয়া বৈঠকও করতে পারি না। প্রশাসন থেকে বলেছে তারা আমাদের কোনো সভা করার অনুমতি দেবে না। ওপর থেকে হুকুম আছে এখানে বিএনপিকে রাস্তায় নামতে দেওয়া হবে না। এটা কী ধরনের গণতন্ত্র, এটা কী ধরনের রাজনীতি।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল হাই সেলিম। বিশেষ অতিথি ছিলেন মওদুদ আহমদের স্ত্রী হাসনা জসীমউদ্‌দীন মওদুদ। তিনি ‘আমান মওদুদ কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র’র উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল আলম সিকদার, বসুরহাট পৌরসভা বিএনপির সভাপতি কামাল উদ্দিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান ওরফে রিপন, উপজেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল-মামুন প্রমুখ।

‘কিছু ঘটবে না, নিশ্চয়তা দেওয়া যায় না’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নেতিবাচক রায় হলে তার পরিণতি ভয়াবহ হবে। তিনি বলেন, বিএনপি ওই রায় নিয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো কর্মসূচি দিক বা না দিক, কিছু যে ঘটবে না, সে নিশ্চয়তা দেওয়া যায় না।

খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আজ সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘নাগরিক অধিকার আন্দোলন ফোরাম’ আয়োজিত আলোচনা সভায় গয়েশ্বর চন্দ্র এসব কথা বলেন।

আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণা করবেন ঢাকার পঞ্চম জজ আদালত। প্রধানমন্ত্রী থাকার সময় খালেদা জিয়া ২ কোটি ১০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন, এমন অভিযোগ এনে এ মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, আশঙ্কা করছি, ৮ ফেব্রুয়ারি সরকার কর্তৃক আদিষ্ট হয়ে যদি আদালত থেকে নেতিবাচক কোনো সিদ্ধান্ত প্রকাশ পায়, তাহলে তখন থেকে এই সরকারের পতনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হবে। তিনি বলেন, ‘সময় বলে দেবে কে নেতৃত্ব দেবে, আর কে রাজপথে থাকবে। সরকারকে বলব, জেলের ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। আমরা তো খালেদা জিয়ার সঙ্গে বৃহত্তর কারাগারেই আছি। আমরা সবাই খালেদা জিয়ার জেল পার্টনার।’

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin