bnp-flag

‘মাইক ব্যবহারেও অনুমতি পাচ্ছে না বিএনপি’

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মাজার জিয়ারতে সিলেট সফরের খবরে পুলিশ প্রশাসন আগ্রাসী হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। বিএনপি’র নেতারা বলেন, সিলেটে মাইক ব্যবহারেও অনুমতি পাচ্ছে না বিএনপি।

রবিবার দুপুরে সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপি আয়োজিত সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ অভিযোগ করেন।

নেতারা বলেন, এমনিতেই বিএনপি নেতাকর্মীদের বাসা-বাড়িতে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। শনিবার রাতে বিভিন্ন এলাকায় বসবাসকারী নেতাকর্মীদের বাসায় আরো বেশি তল্লাশি চালানো হয়। এছাড়া সিলেটে মাইক ব্যবহারেরও অনুমতি দিচ্ছে না পুলিশ।

মতবিনিময় সভায় নেতারা আরো বলেন, সোমবার সকালে ঢাকা থেকে গাড়ির বহর নিয়ে সড়কপথে সিলেট সফরে বের হবেন খালেদা জিয়া। সিলেট পৌঁছে ওইদিনই তিনি হযরত শাহজালাল (র.) ও শাহপরান (র.) মাজার জিয়ারত করবেন। মাজার জিয়ারত শেষে তিনি রাতে সিলেটে অবস্থান করবেন। পরদিন ঢাকায় ফিরবেন।

মতবিনিময় সভা থেকে জানানো হয়, বিএনপি চেয়ারপাসর্নের এই সফর নির্বাচন কেন্দ্রিক নয়। শুধুমাত্র মাজার জিয়ারতের জন্য সিলেট আসছেন। তার সফর উপলক্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো কর্মসূচি নেই।

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা খন্দকার আবদুল মুক্তাদির, কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক দিলদার হোসেন সেলিম, কেন্দ্রীয় সদস্য, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, সাবেক সংসদ সদস্য শফি আহমদ চৌধুরী, জেলা বিএনপির সভাপতি আবুল কাহের শামীম, সাধারণ সম্পাদক আলী আহমদ, মহানগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসাইন, সাধারণ সম্পাদক বদরুজ্জামান সেলিম প্রমুখ।

উল্লেখ্য, গত ৩০ জানুয়ারি সিলেট সফর করেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সিলেট আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় তিনি সিলেট থেকে নির্বাচনী প্রচারণা শুরুর ঘোষণা দেন। এ সময় তিনি ২০টি প্রকল্পের উদ্বোধন ও ১৮টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। প্রধানমন্ত্রী উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষায় ফের নৌকামার্কায় ভোট চেয়ে উপস্থিত জনতাকে ওয়াদা করান।

এরপর গত ১ ফেব্রুয়ারি সিলেট সফর করেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। সফরকালে হযরত শাহজালাল (র.) মাজার জিয়ারত শেষে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে সিলেট থেকে নির্বাচনী প্রচারণা শুরুর ঘোষণা দেন।

ওইসময় তিনি বলেন, বাবার দোয়া নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করলাম।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছিলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রয়োজন নেই, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে। জাতীয় পার্টি এককভাবে ৩শ আসনে প্রার্থী প্রস্তুত রেখেছে।

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin