বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, সকল ধর্মের মর্মবাণী শান্তি ও মানবকল্যাণ। যুগে যুগে মহামানবরা মানুষের সৎ পথে চলার দিশারী হয়েছেন। মানুষকে অনুপ্রাণিত করেছিলেন ন্যায় ও কল্যাণের পথে চলতে। মহান শিশুখৃষ্টও একইভাবে তার অনুসারীদের সৎকর্ম ও ন্যায় প্রতিষ্ঠায় উদ্বুদ্ধ করে গেছেন।
তিনি বলেন, মহামানবদের জীবনদর্শন যথাযথভাবে উপলব্ধি করতে পারলেই মানবকল্যাণে নিজেদেরকে সম্পৃক্ত করা সম্ভব। আর তা হলেই স্রষ্টার সন্তুষ্টি অর্জনে আমরা সক্ষম হবো। বড়দিন উপলক্ষে রোববার গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন।
সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষ হিসেবে আমাদের কর্তব্য দেশ, সমাজ ও মানুষের কল্যাণে যার যার অবস্থান থেকে কাজ করে যাওয়া। হিংসা-বিদ্বেষ পরিহার হরে সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠা এবং সবধরনের অন্যায়-অবিচার প্রতিরোধে ব্রতী হওয়া সকলের কর্তব্য।
তিনি বলেন, শুভ বড়দিন একটি সার্বজনীন ধর্মীয় উৎসব। আর প্রতিটি ধর্মীয় উৎসবের অন্তর্লোক হচ্ছে সম্প্রীতি, সহাবস্থান ও শুভেচ্ছা।
খালেদা জিয়া বলেন, সত্য, ন্যায় ও করুণার পথপ্রদর্শক মহান শিশুখৃষ্ট এদিনে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। বিশ্বের সকল খৃষ্ট ধর্মাবলম্বীর কাছে তাই এ দিনটি অত্যন্ত মহিমান্বিত ও মর্যাদাপূর্ণ।
শুভ বড়দিন উপলক্ষে বিএনপি চেয়ারপারসন বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল খৃষ্ট ধর্মাবলম্বীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। তাদের সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করেন।
অনুমতি মিলেছে, থাকবেন খালেদা
রাজধানীর মহানগর নাট্যমঞ্চে বিএনপির মুক্তিযোদ্ধা দল সমাবেশ করার অনুমতি পেয়েছে বলে জানা গেছে। বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার পরিবর্তন ডটকমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।রোববার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশের পক্ষ থেকে সমাবেশ করার অনুমতি দেওয়া হয় বলে জানান তিনি।
তবে এর আগে পুলিশ অনুমতি দেওয়া নিয়ে গড়িমসি করে বলে অভিযোগ করেন মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত। এমনকি পুলিশ মহানগর নাট্যমঞ্চের হলে তালা দিয়ে দেয়। অন্যদিকে মুক্তিযোদ্ধা দলের নেতাকর্মীরা তালা ভাঙার ঘোষণা দেন। এ নিয়ে ওই এলাকায় উত্তেজন্য দেখা দেয়। পরে পুলিশ অনুমতি দিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
প্রসঙ্গত, রোববার বেলা ৩টায় জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল ওই সমাবেশের আয়োজন করেছে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিবেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
শামসুদ্দিন দিদার এর আগে পরিবর্তন ডটকমকে জানান, খালেদা জিয়া মুক্তিযোদ্ধা দলের সমাবেশে যোগ দিতে রোববার বেলা ২টায় গুলশানের বাসবভন থেকে যাত্রা করবেন।
প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরেই মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সমাবেশ করতে পারেনি বিএনপি। সর্বশেষ ২০১৪ সালে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে মুক্তিযোদ্ধাদের সমাবেশে বক্তব্য দেন খালেদা জিয়া।
লন্ডনে চিকিৎসা শেষে সম্প্রতি দেশে আসেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। এরপর থেকেই তিনি নিয়মিত জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় হাজিরা দিচ্ছেন।
এরই মধ্যে দীর্ঘ দেড় বছর পর রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার অনুমতি পায় বিএনপি। জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে গত ১২ নভেম্বর সেই সমাবেশে বক্তব্য দেন খালেদা জিয়া।