বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া বলেছেন, মহান আল্লাহ বিশ্বজগতের রহমত স্বরূপ হজরত মুহম্মদ (স)-কে এই জগতে প্রেরণ করেন।
বিশ্বনবীর আবির্ভাবে পৃথিবীতে মানুষ ইহলৌকিক ও পরলৌকিক জগতের মুক্তির সন্ধান পায় এবং নিজেদের কল্যাণ ও শান্তির নিশ্চয়তা লাভ করে। সমাজে বিদ্যমান শত অনাচার ও কদর্যতার গ্লানি উপেক্ষা করে মহানবী মোহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ (স) মানুষের মর্যাদা ও অধিকার প্রতিষ্ঠা করেন।
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (স) উপলক্ষে এক বাণীতে বিএনপি চেয়ারপারসন এ কথা বলেন। শুক্রবার দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।
বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, মহানবী (স) মানবজাতির জন্য এক উজ্জ্বল অনুসরণীয় আদর্শ। নিজ যোগ্যতা, সততা, মহানুভবতা, সহনশীলতা, কঠোর পরিশ্রম, আত্মপ্রত্যয়, অসীম সাহস, ধৈর্য, সৃষ্টিকর্তার প্রতি অগাধ বিশ্বাস, নিষ্ঠা ও অপরিসীম দুঃখ-যন্ত্রণা ভোগ করে তার ওপর অবতীর্ণ সর্বশ্রেষ্ঠ মহাগ্রন্থ আল কোরআনের বাণী তথা তওহীদ প্রতিষ্ঠার মহান দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি আইয়ামে জাহেলিয়াতের অন্ধকার যুগ দুর করে অত্যাচার ও জুলুম-নির্যাতন বরণ করে সত্য এবং ন্যায়কে সুপ্রতিষ্ঠিত করার মাধ্যমে বিশ্বকে আলোয় উদ্ভাসিত করেছিলেন। সমাজে অবহেলিত-নির্যাতিত, বঞ্চিত ও দুঃখী মানুষের সেবা, পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন, পরমতসহিষ্ণুতা, দয়া ও ক্ষমাগুণ, শিশুদের প্রতি দায়িত্ব এবং নারী জাতির মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় মহানবী (স)-এর আদর্শ অতুলনীয় এবং তাই তিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মানব হিসেবে অভিষিক্ত।
আমি আল্লাহ রাব্বুল আল আমিনের নিকট প্রার্থনা করি- মহানবী (স)-এর শিক্ষা, আদর্শ ও ত্যাগের মহিমা আমরা সবাই যেন নিজেদের জীবনে প্রতিফলন ঘটাতে পারি। আমরা যদি রাসুল (স)-এর বাণী ও আদর্শ অনুসরণ করে এগিয়ে যেতে পারি তা হলে বর্তমান দুঃসময়ের ঘন অমানিশা দুরীভূত করে হারানো অধিকার ফিরে পেতে সক্ষম হব।
আমি পবিত্র মিলাদুন্নবী উপলক্ষে বাংলাদেশসহ বিশ্বের মুসলিম ভাইবোনদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
উৎসঃ যুগান্তর
‘মুক্তিযুদ্ধের কথা বলে সরকার গণতন্ত্রকে ধূলিসাৎ করেছে’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, ‘আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বলতে বোঝাই, দেশে স্বাধীন গণতন্ত্র থাকবে, আইনের শাসন, প্রচার মাধ্যমের স্বাধীনতা থাকবে, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা থাকবে, দেশে একটি সুষ্ঠু রাজনৈতিক পরিবেশ থাকবে। কিন্তু আজকে সরকার যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বেশি বলে, তারাই আসলে এই চেতনা বলতে যে মূল্যবোধ, আশা, আকাঙ্ক্ষা মানুষের মধ্যে রয়েছে তা একেবারে ধূলিসাৎ করে দিয়েছে। দেশে কোনো গণতন্ত্র নাই, আইনের শাসন নাই, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নাই।’
এ সময় মওদুদ আহমদ ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আনিসুল হকের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেন এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতিও গভীর সমবেদনা জানান।
আনিসুল হক অত্যন্ত ভালো, কর্মঠ, সজীব, সজ্জন মানুষ ছিলেন মন্তব্য করে মওদুদ আহমদ আরো বলেন, দল হিসেবে মতপার্থক্য থাকতে পারে; কিন্তু এটা বলার অপেক্ষা রাখে না তিনি কতগুলো মহৎ উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন সিটি করপোরেশনের উন্নয়নে। পরবর্তী সময়ে যাঁরা করপোরেশনের দায়িত্বে আসবেন, তাঁরা তাঁকে অনুসরণ করবেন বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম দলের সভাপতি শামা ওবায়েদ, প্রচার সম্পাদক লায়ন সাইফুল ইসলাম সেকুল, এস এম মাহবুব আলম, কামরুল খান, এম এ হাসেম, সোলায়মান, এ কে আজাদ, সেলিম ভুইয়া, মাসুম বিল্লাহ প্রমুখ।
onlinenews24