মহাজোটের একজনকে বিজয়ী করার ষড়যন্ত্র হচ্ছে : সোহেল

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল বলেছেন, ‘রংপুর সিটি কর্পোরেশনে আমরা একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন প্রত্যাশা করছি। এটি নির্বাচন কমিশনের জন্য এসিড টেস্ট। ফ্রি ফ্রেয়ার নির্বাচন আশা করছি আমরা।’

তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘মহাজোটের প্রার্থীদের যে অবস্থা, তাতে তো বিএনপি প্রার্থীর প্রচারণা চালানোয় দায়। এখানে মহাজোটের প্রার্থীদের যে কোন একজনকে বিজয়ী করার জন্য ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।’

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রংপুর মহানগরীর কাচারী বাজারে বিএনপির প্রার্থী কাওছার জামান বাবলার পক্ষে গণসংযোগকালে তিনি সাংবাদিকদের কাছে এ অভিযোগ করেন।

রংপুর জেলা বিএনপির সাবেক সেক্রেটারি হাবিব উন খান সোহেল বলেন, ‘নানা প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছি আমরা। এটা অনভিপ্রেত ও দুঃখজনক। আমরা আশা করি ইসি পক্ষপাতিত্ব করবেন না। কিন্তু আমাদের ফ্রি ফেয়ার ইলেকশন হওয়া নিয়ে প্রতিদিনই সন্দেহ বাড়ছে। ’

তিনি বলেন, ‘মহাজোটের প্রার্থী মাঠ গুছিয়েছি কিনা জানি না তবে তারা যদি কনসপ্রেসি করার বিষয়ে গুছিয়ে থাকেন সেটা আলাদা কথা। ’

সোহেল বলেন, রংপুরে বিএনপি এক এবং ঐক্যবদ্ধ। এই নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীককে বিজয়ী করার জন্য কাজ করছি। নির্বাচন নিরপেক্ষ হলে ভোটাররা ভোট দিতে পারলে ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিত হবে।

এদিকে বিএনপি প্রার্থী কাওছার জামান বাবলা অভিযোগ করে বলেছেন, ‘আমি নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন না করলেও বুধবার রাতে একজন ম্যাজিস্ট্রেট আমাকে এক হাজার টাকা জরিমানা করেছেন। আমরা রঘু বাজারে রাস্তার পাশে লোকজন নিয়ে কথা বলা শুরু করবো এমন সময় ম্যাজিস্ট্রেট গিয়ে আমাদের চেয়ার টেবিল গুড়িয়ে দেন। পরে জনগণ এর প্রতিবাদ করলে তিনি চলে যান।’

তিনি অভিযোগ করে বলেন, নৌকা ও লাঙ্গলের প্রার্থী ১০/১২টি গাড়ি, শত শত মোটরসাইকেল বহর নিয়ে মঞ্চ করে চেয়ারটেবিল দিয়ে মাইকিং করে প্রচারণা চালাচ্ছে। অথচ আমাদেরকে ১০/১২ জন লোককেই একত্রিত করতে দেয়া হচ্ছে না। একারণে এই নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়া নিয়ে আমাদের সংশয় দিন দিন বাড়ছেই।

পরে তিনি কাচারী বাজারের বিভিন্নস্থানে গণসংযোগ করেন।

এদিকে বিএনপির মিডিয়া উইংয়ের কর্মংকর্তা শায়রুল কবির জানান, বিকেলে নগরীর ১০নং ওয়ার্ডের পাঠানপাড়া, ও কেরানীপাড়ায় এই নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান ভাইস চেয়ারম্যান সুলতান মাহমুদ টুকুর নেতৃত্বে একটি টিম গণসংযোগ করবেন।

dailynayadiganta

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin