bnp-flag

মনোনয়ন পেতে নেতাদের দৌড়ঝাঁপ, বিরক্ত খালেদা জিয়া

আগামী নির্বাচনে মনোনয়ন পেতে অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাদের দৌড়ঝাঁপে বিরক্ত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। সম্প্রতি তার সঙ্গে যুবদলের কয়েক নেতা দেখা করতে গেলে তিনি তাদের উদ্দেশে বলেন, ‘তোমাদের দায়িত্ব দিয়েছি, সংগঠনকে শক্তিশালী করতে। নির্বাচন করতে নয়।’ এসব মনোনয়ন প্রত্যাশীরা যোগ্য নয় বুঝাতেই খালেদা জিয়া এমন মন্তব্য করেছেন বলে মনে করেন বিএনপি নেতারা। দলের গুলশান কার্যালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের নির্বাচনে ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আজিজুল বারী হেলাল, সুলতান সালাহউদ্দিন টুকুসহ কয়েকজন নির্বাচন করেছিলেন। এবারও অঙ্গদলের কয়েকজন মনোনয়ন পাবেন; এটা নিশ্চিত।

কিন্তু অঙ্গসংগঠনের শীর্ষস্থানীয় প্রায় সব নেতা এমনকি সম্পাদক, সহসম্পাদক ও সদস্যরাও মনোনয়ন পেতে তদবির-লবিং করছেন। এসব নেতারা নিজেদের এলাকায় গিয়ে গণসংযোগও করছেন।

সূত্র জানায়, গত সপ্তাহে যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি এসএম জাহাঙ্গীর ও দক্ষিণ যুবদলের কয়েকজন নেতা খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করেন। এক পর্যায়ে বিএনপি নেত্রী তাদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমি তোমাদের সংগঠনকে শক্তিশালী করতে দায়িত্ব দিয়েছি। নির্বাচন করার জন্য নয়। আমি যেন এর পর না শুনি কোনো অঙ্গসংগঠনের নেতারা মনোনয়নের জন্য দৌড়ঝাঁপ করছ।’

জানা গেছে, সম্প্রতি কয়েকজন সিনিয়র নেতা খালেদা জিয়াকে জানিয়েছেন ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতারা সংগঠন গোছাতে নয়, তারা আগামী নির্বাচন নিয়েই ব্যস্ত। কীভাবে দলের টিকিট বাগিয়ে নেবেন তার পরিকল্পনায় সময় পার করছেন। এ কারণে প্রতিটি নির্বাচনী এলাকায় গ্রুপিংয়ের মাত্রা বেড়ে গেছে।

এভাবে চলতে থাকলে চেইন অব কমান্ড বলতে সংগঠনে কিছুই থাকবে না। এ ছাড়া যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের আংশিক কমিটি হলেও এখন পর্যন্ত পূর্ণাঙ্গ কমিটিও করতে পারেনি নতুন কমিটির নেতারা।

জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যসহ একাধিক বিএনপি নেতা বলেন, সংগঠন শক্তিশালী করতে নয়, এখন অঙ্গসংগঠনগুলোর নেতারা মনোনয়ন পাওয়ার তদবির নিয়ে ব্যস্ত। গুরুত্ব বুঝে প্রতিদিনই তারা কোনো না কোনো নেতার বাসা বা অফিসে হাজিরা দেন। সে ক্ষেত্রে লন্ডনে চিকিৎসাধীন বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিতদের অফিস বা বাসায় ভিড় একটু বেশিই। প্রতিনিয়ত গুলশান অফিসেও এসব মনোনয়ন প্রত্যাশী অঙ্গ সংগঠনের নেতাদের দেখা যায়।

বিএনপির এক ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, মনোনয়নের প্রত্যাশায় অঙ্গসংগঠনের এমন সব নেতারা আসেন, তখন মনে হয় আমাদের রাজনীতির মান কোথায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে।

এ বিষয়ে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান আমাদের সময়কে বলেন, আমি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাদের বলব, আমরা নিরপেক্ষ সরকারের অধীনেই নির্বাচনে যাব। সেই নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে যারা সক্রিয় ভূমিকা রাখবে এবং যোগ্যতার পাশাপাশি জনপ্রিয়তা থাকলেই তাদের মনোনয়ন দেওয়ার ক্ষেত্রে দল বিবেচনা করবে। এ জন্য তদবির করতে হবে না।

উৎসঃ   আামদের সময়

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin