somabesh

মঞ্চ প্রস্তুত, আসতে শুরু করেছে নেতাকর্মীরা

রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ স্থলে মঞ্চ নির্মাণসহ যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে বিএনপি। দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য জানিয়েছেন।

এদিকে, সমাবেশ সফল করতে সকাল থেকেই আসতে শুরু করেছেন দলের নেতাকর্মীরা। জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে সমাবেশে বিকেলে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেবেন খালেদা জিয়া।দুপুর ২টায় সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সকালে থেকেই রাজধানী ও এর আশপাশের এলাকা থেকে নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থলে আসতে শুরু করেছেন।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, সমাবেশে বিএনপির চেয়ারপারসন আগামী জাতীয় নির্বাচন, দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি, আইনশৃঙ্খলার অবনতি, গণতন্ত্রহীনতা, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, রোহিঙ্গা ইস্যুসহ সাধারণ মানুষের সমস্যাসহ বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরে ভাষণ দেবেন।

শনিবার সকালে ২৩টি শর্ত সাপেক্ষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করতে বিএনপিকে অনুমতি দেয় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। এর পরপরই নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন।

রোববার বিকেল ৫টার মধ্যে সমাবেশ শেষ করতে হবে- এটা অন্যতম প্রধান শর্ত। এ ছাড়া সমাবেশ স্থল ও এর আশপাশে বিএনপিকেই তাদের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় সিসি ক্যামেরা স্থাপন করতে বলেছে ডিএমপি।

সমাবেশের শৃঙ্খলা বজায় রাখতে নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক দিয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিতের করাও অন্যতম প্রধান শর্ত। বিএনপির নেতা-কর্মীদেরকে মিছিল নিয়ে অনুষ্ঠানে না আসতেও বলেছে ডিএমপি।

উল্লেখ্য, দীর্ঘ উনিশ মাস পর রাজধানীতে জনসভার আয়োজন করতে যাচ্ছে বিএনপি। এ সমাবেশের মাধ্যমে নিজেদের জনপ্রিয়তা বা জনসমর্থনের বিষয়টি জানান দিতে চায় দলটি।

সর্বশেষ, ২০১৬ সালের ১ মে শ্রমিক দিবস উপলক্ষে শ্রমিক সমাবেশ করে বিএনপি। এর আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল। এর আগে ওই বছরের ৫ জানুয়ারি নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করার সুযোগ পায় দলটি।

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনের দুই বছর পূর্তিতে ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ উপলক্ষে সেই সমাবেশ করে বিএনপি। জাতীয়বাদী শ্রমিক দল এর আয়োজন করে। আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে নিজেদের জনসমর্থন জানান দিতে আজকের সমাবেশেও ব্যাপক লোক সমাগম ঘটাতে চায় দলটি।

উৎসঃ   purboposhchim

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin