মগবাজার থেকে বিএনপি নেতা আজিজুল বারী হেলালসহ ৬ জন আটক

রাজধানীর মগবাজার এলাকা থেকে বিএনপির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলালসহ ৬ জনকে আটক করেছে পুলিশ। রাত ৮টার পর পুলিশ তাদেরকে গ্রেপ্তার করে বলে জানিয়েছেন দলটির সিনিয়র যুগ্মমহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

এসময় বিএনপির তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আজীজুল বারী হেলালকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ‘তুলে নিয়ে গেছে’ বলে অভিযোগ করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

বুধবার রাত পৌনে ৮টায় মগবাজার ওয়ার‌লেস গেট থেকে তাকে তুলে নেওয়া হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।

তিনি বলেন, ‘মগবাজার মসজিদ থেকে নামাজ পড়ে বাসায় ফেরার পথে সাদা পোশাকের পুলিশ আজিজুল বারী হেলালকে তুলে নিয়ে গেছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। এখন প্রশাসনের পক্ষে স্বীকার করা হচ্ছে না। আমরা উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় আছি।’

বিস্তারিত আসছে,…..

কারাগারে বিএনপি নেতা গয়েশ্বর

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে কারাগারে পাঠানোর নির্শেদ দিয়েছেন আদালত। শাহবাগ থানায় দায়ের হওয়া মামলায় বুধবার ঢাকা মহানগর হাকিম মাহমুদুল হাসান তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

গয়েশ্বরের বিরুদ্ধে রিমান্ড আবেদনের কথা থাকলেও কোনো রিমান্ড আবেদন করেনি মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তিনি।

রাজধানীর হাইকোর্ট এলাকায় পুলিশের প্রিজন ভ্যানে হামলা ও ছাত্রদলের দুই কর্মীসহ তিন নেতাকে ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায় নির্দেশদাতা হিসেবে গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনের বিরুদ্ধে তিনটি পৃথক মামলা করা হয়। রমনা ও শাহবাগ থানায় তিনটি মামলা দায়ের হয়।

মঙ্গলবার মধ্যরাতে শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রহিদুল ইসলাম ও এসআই চম্পক বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় পৃথক দুটি এবং রমনা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মহিবুল্লাহ রমনা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

থানা সূত্রে জানা গেছে, মামলায় সরকারি কাজে বাধা দেয়া, পুলিশের ওপর হামলা, রাষ্ট্রীয় সম্পদ নষ্ট, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিঘ্নসহ বেশ কয়েকটি ধারা জুড়ে দেয়া হয়েছে।

রমনা থানার মামলায় গয়েশ্বর ও মাহবুব উদ্দিন খোকনসহ শীর্ষ ৪৪ বিএনপি নেতার নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তাদের নির্দেশক্রমে সাত-অাটশ’ জন হামলা চালায়। রমনা থানার মামলার বাদী এসআই মহিবুল্লাহ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

অন্যদিকে শাহবাগ থানায় দুটি মামলায় রিজভীসহ শীর্ষ নেতাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন ওসি আবুল হাসান।

মঙ্গলবার হাইকোর্ট সংলগ্ন মাজার গেটের সামনে পুলিশের প্রিজনভ্যান ভেঙে তিন নেতাকে ছিনিয়ে নেয় বিএনপি কর্মীরা। এ সময় পুলিশের ওপর হামলার ঘটনাও ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার হাজিরাকে কেন্দ্র করে হাইকোর্ট এলাকায় দলটির নেতাকর্মীরা জড়ো হয়েছিলেন। এ সময় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক ছাত্রনেতা ওবায়দুল হক নাসির (৪০), সোহাগ মজুমদার (৩৮) ও মিলন (৩৮) নামের তিনজনকে আটক করে প্রিজন ভ্যানে রাখে পুলিশ।

হাজিরা শেষে বিএনপি চেয়ারপারসন বাসায় ফেরত যাওয়ার পথে একদল বিএনপিকর্মী ওই প্রিজন ভ্যানে ভাঙচুর চালিয়ে আটক নেতাদের ছিনিয়ে নেয়।

ওই ঘটনার পর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে গতকাল রাতে রাজধানীর গুলশান এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মঙ্গলবার রাত পৌনে ৯টার দিকে গুলশান পুলিশ প্লাজার সামনে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলামকেও তার শান্তিনগরের বাসা থেকে মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) আটক করে বলে বিএনপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়।

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin