hanif

মওদুদ ডিগবাজির ওস্তাদ: হানিফ

মাহবুবউল আলম হানিফআওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেছেন, ‘রাজনৈতিক অঙ্গনে মওদুদ আহমদ ডিগবাজির ওস্তাদ ও আজন্ম দুর্নীতিবাজ।’ মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) দুপুরে টিসিবি ভবনে নিজের ব্যবসায়িক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

সোমবার (২০ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে এক অনুষ্ঠানে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমেদ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সামনে এখন দুটি পথ খোলা আছে। হয় তিনি সম্মানজনকভাবে ক্ষমতা ছেড়ে দেবেন। না হয় তাকে অসম্মানজনকভাবে টেনেহিঁচড়ে ক্ষমতা থেকে নামানো হবে।’

মওদুদের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘এ ধরনের বক্তব্য উস্কানিমূলক। এটি গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ। আমি বিশ্বাস করি, তার এই বক্তব্যের সঙ্গে খোদ বিএনপির অনেক নেতা একমত নন। এ বক্তব্য প্রত্যাহার করে মওদুদ আহমদের ক্ষমা চাওয়া উচিত।’

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সাক্ষাৎ বেশ আলোচিত হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, ‘এই সাক্ষাৎ কোনও রাজনৈতিক সংলাপের ইঙ্গিত বহন করে না। আমার সঙ্গেও অনেকবার মির্জা ফখরুলের দেখা হয়েছিল। আমরা একসঙ্গে কফিও খেয়েছি। এটা সামাজিক বন্ধন। রাজনীতিতে মতপার্থক্য থাকতেই পারে। তবে সামাজিক সম্পর্ক ভিন্ন বিষয়।’

মাহবুবউল আলম হানিফ আরও বলেন, ‘১৯৭৫ সারের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে বিভেদ ও বিভাজনের রাজনীতি শুরু হয়েছিল। এরই ধারাবাহিকতায় ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকে হত্যা করা হয়।’

উৎসঃ   banglatribune

নির্বাচনের আগেই দেশে ফিরবেন তারেক রহমান’

আগামী সংসদ নির্বাচনের আগেই বিএনপির সিনিয়র ভাইস-চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফিরে আসবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন দলটির ভাইস-চেয়ারম্যান ও কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শামসুজ্জামান দুদু। তিনি বলেন, ‘আগামী নির্বাচনের আগেই দেশে ফিরবেন তারেক রহমান। সেই ধরনের পরিস্থিতি এই দেশের মানুষ আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে তৈরি করবে আমরা এই প্রত্যাশা করি।’

মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকা মহানগর কৃষক দল আয়োজিত ‘বিএনপির সিনিয়র ভাইস-চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৫৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত ষড়যন্ত্রমূলক সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে’ এক মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘তারেক রহমান সরকারের নির্যাতনের শিকার। সকল রকম বিধিবিধান ভঙ্গ করে তার উপর নির্মম অত্যাচার করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী আপনি আপনার আসনে নির্বাচন করেন আর তারেক রহমান তার আসনে নির্বাচন করুক, দেখেন কে কত ভোট পায়। রেফারি থাকবে অন্যজন। আগামী নির্বাচনে এটা আমরা দেখতে চাই। রেফারি হবেন আওয়ামী লীগের সভানেত্রী আর আমাদেরকে নির্বাচন করতে হবে- এমন নির্বাচন বাংলাদেশে আর যদি কেউ স্বপ্নে দেখে থাকেন সেটি হবে না।’

বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, ‘আগামী নির্বাচন সময় মতই হবে। আগামী নির্বাচন উৎসবমুখর পরিবেশেই হবে। সেই নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণও করবে। কিন্তু শেখ হাসিনার প্রধানমন্ত্রীত্বে আবারও ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি মার্কা নির্বাচন হবে- এটা যদি আওয়ামী লীগ ভুলে যায় তাহলে ভাল হবে। তাদের জন্যও ভাল, দেশের জন্যও ভাল, গণতান্ত্রিক বিধি ব্যবস্থার জন্যও ভাল।’

ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, ‘বিএনপির সিনিয়র ভাইস-চেয়ারম্যান তারেক রহমান যতদিন বাংলাদেশে ছিলেন ততদিন কেন্দ্রীয় ব্যাংকে কখনও চুরি হয়নি, কোন ব্যাংকের টাকা কেউ চুরি করতে পারে নাই। তিনি যতদিন দেশে ছিলেন দেশে গুম, খুন অপহরণ হয় নাই। তারেক রহমান দেশে থাকা অবস্থায় বিরোধী দল সভা-সমাবেশ করতে পারতো, সরকারের সমালোচনা করতে পারতো, কোন রকম বাঁধা বিপত্তি ছিল না। সে জন্য তারেক রহমানকে আমরা বলি গণতান্ত্রিক বিধি ব্যবস্থার আশির্বাদ।’

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি নাসির হায়দারের সভাপতিত্বে এবং কৃষক দলের সহ-দফতর সম্পাদক সাদির সঞ্চালনায় মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাড. সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সহ-তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুর কাদের গণি চৌধুরী, নির্বাহী কমিটির সদস্য নাজিম উদ্দীন মাস্টার, আবু নাসের মো. রহমত উল্লাহ, কৃষক দলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক তকদির হোসেন মো. জসিম, কৃষক দলের কেন্দ্রীয় নেতা মাইনুল হোসেন, জিনাপের সভাপতি মিয়া. মো. আনোয়ার, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন, শাহবাগ থানা কৃষক দলের সভাপতি এম. জাহাঙ্গীর আলম, বংশাল থানার সভাপতি আব্দুর রাজী, কর্মজীবী দলের সাধারণ সম্পাদক আলতাব হোসেন প্রমুখ।

ব্রেকিংনিউজ

আগামী নির্বাচনেও আওয়ামী লীগ ফাঁকা মাঠে গোল দিবে?

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে হওয়া দু’টি মামলার বিচার প্রক্রিয়া শেষ পর্যায়ে। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টে ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টে দুর্নীতির অভিযোগের মামলার রায় হবার সময় কাছাকাছি এসে গেছে। এই পৃথক দুই মামলার আসামিদের আত্মপক্ষ সমর্থনে বক্তব্যের পর সাফাই সাক্ষী ও যুক্তিতর্ক। তারপরই রায়।মামলার প্রধান আসামি বেগম খালেদা জিয়া।

রায়ে তাঁর সাজা হলে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি কোন কৌশল অবলম্বন করবে তা নিয়ে নানা বিচার বিশ্লেষণ চলছে। তাঁর দলের পক্ষে এ বিষয়ে কেউ মুখ খুলছেন না। তবে বিশিষ্টজনদের মতে বিএনপি’র সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের অবর্তমানে তাঁর স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমান আসার সম্ভাবনা রয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষণও এ রকম ইঙ্গিতই দিচ্ছে। পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তির জন্য দলে ডা. জোবায়দা রহমানের গ্রহণযোগ্যতাও রয়েছে।

দলে ভাঙন ধরাতে একটি প্রক্রিয়া চলমান আছে। বিএনপি জোটকে দুর্বল করার পরিকল্পনাও যুক্ত হতে পারে। আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে সেটা আরো জোরালো সংকট হয়ে দেখা দিতে পারে দলটির জন্য। সম্প্রতি নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান বলেছেন, ‘খালেদা জিয়ার সাজা হলে নির্বাচনে যাবে না বিএনপি।’

আর খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম তো এ ব্যাপারে স্পষ্টই বলেছেন, ‘খালেদা জিয়ার সাজা হলে বিএনপি দুই-তিনভাগে বিভক্ত হবে। সব ভাগই পৃথক পৃথকভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে।’মন্ত্রীদের এ ধরনের কথাবার্তায় বিএনপি কিসের আভাস পাচ্ছে এবং কি হতে চলেছে সেদিকেই মাথা ঘামাচ্ছেন রাজনীতির মানুষজন। বিএনপি নেতা-কর্মীরা চেয়ে আছে হাইকমান্ড থেকে দিকনির্দেশনা পাওয়ার আশায়।

বাংলাদেশের রাজনীতিতে ভারসাম্য রক্ষার একদিকে আছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ; অন্যদিকে বেগম জিয়া। মামলা, নির্যাতন,দমন-পীড়নে বিএনপি কিছুটা নিস্তেজ হয়ে পড়েছে। আন্দোলন-সংগ্রাম করে আওয়ামী লীগকে টলানোর পরীক্ষায় বিগত সংসদ নির্বাচনের আগে সফল হতে পারে নাই বিএনপি। ভবিষ্যতে পারার পথও নানা কারণ ও সংকটে বিপদ সঙ্কুল।

খালেদা জিয়ার মামলার অন্যতম আইনজীবী বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া এরকম আশঙ্কাই প্রকাশ করেছেন। তিনি এ প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘বিএনপি চেয়াপারসনের মামলার কার্যক্রমের গতিপ্রবাহ দেখে মনে হচ্ছে সরকার একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নতুন করে কোনো ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। ’

তাহলে? তারেক জিয়া প্রবাসে। খালেদা জিয়া ও সিনিয়র নেতাদের অনেকের মাথার ওপর মামলার খড়গ ঝুলছে। তাঁরা নির্বাচনের অযোগ্য হলে বিএনপি আগামী নির্বাচনে কেন, কিভাবে অংশ নিবে? সহায়ক সরকারের দাবি নিয়ে তাদের অটল অবস্থান শেষ পর্যন্ত আন্দোলনের ইস্যু বা হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে। রাজনীতির গতিপ্রকৃতি পর্যবেক্ষণে ধারাবাহিক ধারণাসূত্র সে কথাই বলে। তাহলে নির্বাচনকে ঘিরে জনপদ আবারও রক্তাক্ত হবার আশঙ্কা বাদ দিলেও উপসংহার কী বলে? মহাজোট আগামী নির্বাচনেও ফাঁকা মাঠে গোল দিবে?

purboposhchim

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin