ভয়াবহ হামলার শিকার হয়েছেন ছাত্রলীগ সভাপতি। তার নাম আবদুর রাজ্জাক সুমন। তিনি কুমিল্লার নাঙ্গলকোট থানা ছাত্রলীগ সভাপতি। তার উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে তাকে গুরুতর আহত করেছে সন্ত্রাসীরা। তার মুখ, ঘাড়সহ পুরো শরীরে চাইনিজ কুড়াল দিয়ে প্রায় ১৫টি কোপ দিয়েছে সন্ত্রাসীরা।
রবিবার দুপুর পৌনে ২টার দিকে নাঙ্গলকোট সোনালী ব্যাংকের সামনে মোল্লার হোটেলে দুপুরের খাবার খাওয়ার সময় পেছন থেকে উপর্যুপুরি কোপানো হয় তাকে নাঙ্গলকোট থানা ছাত্রলীগ সভাপতি আবদুর রাজ্জাক সুমনকে। হামলার পর গুরুতর আহত অবস্থায় আবদুর রাজ্জাক সুমনকে উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, হামলাকারীদের হাতে চাইনিজ কুড়াল ও পিস্তল দেখা যায়। হামলায় অংশ নেয় ১২ থেকে ১৫ জন সশস্ত্র সন্ত্রাসী। হামলাকারীদের মুখ কাপড় দিয়ে বাধা ছিল। এর মধ্যে তিনজনকে চিহ্নিত করা গেছে। এ ঘটনায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত নেতাকর্মীরা বাজারে বিক্ষোভ করছে। বাজারের সব দোকানপাট বন্ধ রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র আবদুল মালেকের ভাতিজা মিসুর নেতৃত্ব প্রায় ১২ জন সশস্ত্র সন্ত্রাসী এ নারকীয় হামলা চালায়। হামলার প্রতিবাদে যুবলীগ সভাপতি আবদুল মালেক ও উপজেলা চেয়ারম্যান সামছুদ্দিন কালুর বাড়িতে হামলা চালিয়েছে বিক্ষুব্ধ ছাত্রলীগ কর্মীরা।
স্থানীয় সূত্রে আরো জানা যায়, হামলাকারীদের নেতৃত্বে ছিল উপজেলা যুবলীগের আপন ভাতিজা মিশু। চিহ্নিত হওয়া বাকি দুজন হলো- জিসান ও মহিন। তারা খাবার টেবিলের পিছন দিক থেকে এসে উপর্যৃপুরি কোপাতে থাকে। খাবার টেবিল থেকে নিচে পড়ে গেলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
এদিকে, ছাত্রলীগ সভাপতির উপর হামলার ঘটনা ছড়িয়ে পড়লে হাজার হাজার ছাত্রলীগ নেতাকর্মী নাঙ্গলকোটে জড়ো হয়। তারা এ ঘটনায় পৌর মেয়র আবদুল মালেক ও উপজেলা চেয়ারম্যানকে দায়ী করে স্লোগান দিতে থাকে। একপর্যায়ে বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা যুবলীগ সভাপতি মালেক ও উপজেলা চেয়ারম্যান সামছুউদ্দিন কালুর বাড়িতে ভাঙচুরের চেষ্টা চালায়। নেতা-কর্মীরা তাদের বাড়ি লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
নাঙ্গলকোট থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মো. আশরাফ জানান, তার উপর হামলা হয়েছে শুনেছি। পুলিশ ঘটনাস্থলে রয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। বিষয়টি অনুসন্ধান চলছে।