kader_photo

‘ভুলের’ পুনরাবৃত্তি করবে না বিএনপি, আশা কাদেরের

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে বিএনপি অংশ না নিয়ে ভুলে করেছিল দাবি করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আশা করি বিএনপির ওই ভুলের আর পুনরাবৃত্তি করবে না।

বিএনপি নির্বাচনে আসুক এটা আওয়ামী লীগ চায় জানিয়ে কাদের বলেন, ‘আমরা আন্তরিকভাবে চাই বিএনপি নির্বাচনে আসুক। আওয়ামী লীগ একটি প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন চায়। আমরা ফাঁকা মাঠে গোল দেয়ার নির্বাচন চাই না।’

সোমবার ফেনীতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। নির্মাণাধীন ফেনীর মহিপাল ফ্লাইওভার পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী।

দলীয় সরকারের অধীনে বিএনপি আগামীতেও অংশ নেবে না এমন খবর গণমাধ্যমে এসেছে। তাছাড়া বিচারাধীন মামলায় দণ্ডিত হলে বিএনপি নির্বাচনে নাও আসতে পারে এমন আভাস পাওয়া যাচ্ছে। বিএনপির এই মনোভাবের কড়া সমালোচনা করেন ওবায়দুল কাদের।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা বিচারাধীন। সেই মামলার কার্যক্রম এগিয়ে চলছে। শেষ পর্যন্ত একটা রায় হবে। সেই রায়ে বেগম জিয়া দণ্ডিত হবেন, না খালাস পাবেন তা এই মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না। যদি তিনি দণ্ডিত হনও তবুও রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে যেতে পারবেন। রায় কী হবে তা নিয়ে বিএনপি নেতারা আগাম কথা বলছেন কেন।’

নির্মাণাধীন ফ্লাইওভার সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, ‘দেশের সর্ববৃহৎ ফ্লাইওভার চলাচলের জন্য বিজয়ের মাসেই খুলে দেয়া হবে। সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে নির্মিতব্য ফ্লাইওভারটি প্রকল্পের নির্ধারিত মেয়াদের ছয় মাস আগে কাজ শেষ হচ্ছে। আগামী ১৬ ডিসেম্বরের আগে এ প্রজেক্টের সমাপ্তি হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।’

মন্ত্রী জানান, ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফ্লাইওভারটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন। ফেনী এসে উদ্বোধন করার ব্যাপারেও প্রধানমন্ত্রীর আগ্রহ রয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ফ্লাইওভার প্রকল্প পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল একেএম রেজাউল মজিদ, উপ-পরিচালক লে. কর্নেল মাশফিকুল আলম, লে. কর্নেল শাহরিয়ার, ৩৪ ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশনের প্রকল্প কর্মকর্তা মেজর ফয়সাল আহমেদ, ফেনী সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদ করিম, ফেনী পৌরসভার প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকাটাইমস

প্রধানমন্ত্রীর সামনে দু’টি পথ খোলা রয়েছে: মওদুদ

প্রধানমন্ত্রীর সামনে দু’টি পথ খোলা রয়েছে জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ বলেছেন, একটি হচ্ছে সম্মানজনক বিদায় আরেকটি হচ্ছে একেবারে অসম্মানজনক, অপমানিত বিদায়। প্রধানমন্ত্রীকেই পছন্দ করতে হবে কোন মাধ্যমে তিনি ক্ষমতা থেকে বিদায় নিতে চান।

সোমবার বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে অনুষ্ঠিত এক প্রতিবাদ সভায় তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয়তাবাদী যুবদল ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি রফিকুল আলম মজনুর মুক্তির দাবিতে এই সভার আয়োজন করে বৃহত্তর নোয়াখালীে জেলা জাতীয়তাবাদী যুব ফোরাম।

তিনি বলেন, সম্মান নিয়ে বিদায় নিতে হলে প্রধানমন্ত্রীকে সমঝোতায় আসতে হবে। অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। আর যদি সমঝোতায় না আসেন তাহলে যার কপালে যা আমাদের কিছু করার নেই।

সরকার যদি সমঝোতায় না আসে তাহলে রাজপথের কর্মসূচির ইঙ্গিত দিয়ে মওদুদ বলেন, সরকার যদি সমঝোতায় না আসে তাহলে রাজপথের আন্দোলনের কর্মসূচি দেয়া হবে। এর কোনো বিকল্প নেই। আমরা জানি কিভাবে আন্দোলন করে দাবি আদায় করতে হয়। প্রত্যাশা করি সরকার ও প্রধানমন্ত্রীর শুভবুদ্ধির উদয় হবে।

বিএনপির এই নীতি নির্ধারক বলেন, অনেক ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছি। গত দুই বছর কোনো কর্মসূচি দেই নাই। তারপরও সরকার পরিবর্তনে জনগণের মাঝে বিরাট আগ্রহ দেখতে পাচ্ছি। পরিবর্তন হবেই। জেল-জুলুম, অত্যাচার-নির্যাতন দিয়ে বিএনপিকে দাবিয়ে রাখা যাবে না।

বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের জন্মদিনেও একটি মামলার চার্জশিটে তার নাম অন্তর্ভুক্ত করার সমালোচনা করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘সরকারের কতটা আক্রোশের মুখে পড়লে জন্মদিনেও তার বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয়া হয়। দু’দিন পর দিলে কি হতো?

তারেক রহমানের জনপ্রিয়তা তাদেরকে (সরকার) প্রকম্পিত করে। তাই তারা এই ধরনের ব্যবস্থা নেয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে চলমান জিয়া চ্যারিটেবল ও জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার কোনো আইনগত ভিত্তি নেই বলেও মন্তব্য করেন মওদুদ আহমেদ।

প্রতিবাদ সভায় আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভুইয়া, শাহজাদা মিয়া, যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, যুবদল ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মাওলা শাহীন, ঢাকা মহানগর পূর্ব ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন মানিক, বৃহত্তর নোয়াখালীে জেলা জাতীয়তাবাদী যুব ফোরামের আহ্বায়ক মাসুদ রানা প্রমুখ।

উৎসঃ   পূর্বপশ্চিম

দোষ চাপানো হচ্ছে আমাদের ওপর: ফখরুল

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করে বলেছেন, ‘এই সরকারের আমলে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘরে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটছে। কিন্তু দোষ চাপানো হচ্ছে আমাদের ওপর।’

আজ সোমবার রংপুরের হরকলি ঠাকুরপাড়ায় অগ্নিসংযোগে ক্ষতিগ্রস্ত হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের বাড়িঘর পরিদর্শন করেন বিএনপির নেতা ফখরুল। পরে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। বিএনপির পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত ১১ পরিবারকে ১০ হাজার করে টাকা, একটি শাড়ি, একটি লুঙ্গি, সংঘর্ষে নিহত হাবিবুর রহমানের পরিবারকে ২০ হাজার টাকা দেওয়া হয়।

ফেসবুকে ধর্মীয় স্ট্যাটাসের জের ধরে ১০ নভেম্বর হিন্দু সম্প্রদায়ের কয়েকটি বাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কোতোয়ালি, গঙ্গাচড়া ও তারাগঞ্জ থানার পুলিশ গিয়ে শটগানের গুলি ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়ে। সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে একজন নিহত হন।

গতকাল রোববার ঠাকুরপাড়া গ্রামে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে দেখতে গিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বিনষ্ট করতে অশুভ শক্তি বর্বরোচিত হামলা করেছে বলে অভিযোগ করেন।

কাদেরের এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে আজ ফখরুল বলেন, ‘রাজনৈতিক কারণেই আমাদের সুনাম বিনষ্ট করার জন্য আমাদের ওপর দোষ চাপানো হয়েছে। পরে দেখা যায়, তাঁদেরই কিছু লোক এই আগুন দেওয়ার ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকে।’

বাংলাদেশ সম্প্রীতির দেশ উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, বছরের পর বছর ধরে হিন্দু-মুসলমানেরা পাশাপাশি বসবাস করে আসছে। যেন একই বৃন্তে দুটি ফুল। কিন্তু এই সম্প্রীতিকে বারবার বিনষ্ট করছে একটি অপশক্তি। সেটা খুঁজে বের করার চেষ্টা করা হচ্ছে না।

রাজনীতি, নির্বাচন ও ভোটের কারণে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘরে বারবার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে বলেও অভিযোগ করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘প্রত্যেকটি ঘটনায় আমাদের জড়ানো হচ্ছে।’

মির্জা ফখরুল বলেন, সত্য কথা বলায় প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহাকে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে। তিনিও হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ। ষড়যন্ত্রের কারণে তাঁকে দেশ ছাড়তে হয়েছে।

বিএনপি নেতা ফখরুলের সঙ্গে ছিলেন দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও রংপুর বিভাগের দায়িত্বে নিয়োজিত আসাদুল হাবিব, জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, রইচ আহমেদ, মহানগর বিএনপির সভাপতি মোজাফ্ফার হোসেন প্রমুখ।

প্রথম-আলো

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin