ভিন্ন কৌশলে জামায়াত-শিবির

চট্টগ্রামে জামায়াতের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত পাঁচ উপজেলায় কৌশলে চলছে সাংগঠনিক কার্যক্রম। সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, বাঁশখালী, মিরসরাই এবং সীতাকুণ্ডের গ্রামাঞ্চলে কার্যত বন্ধ রয়েছে জামায়াত-শিবিরের কার্যক্রম। তারা কৌশলে নগরে বিভিন্ন ইউনিট গঠন করে চালাচ্ছে উপজেলা জামায়াত-শিবিরের কার্যক্রম।

তবে কিছু কিছু জায়গায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের কোন্দল কাজে লাগিয়ে নতুন নতুন কৌশলে তৎপরতা চালাচ্ছে সংগঠন দুটি। জামায়াত-শিবির নেতা-কর্মীদের ওপর গোয়েন্দা নজরদারি রয়েছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (দক্ষিণ) এমরান হোসেন।

তিনি বলেন, ‘যাদের বিরুদ্ধে নাশকতার মামলা রয়েছে এবং যাদের নাশকতায় জড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে তাদের নজরদারিতে রাখা হয়েছে। কেউ নাশকতার চেষ্টা করলে তাকে গ্রেফতার করা হবে। ’

নাম প্রকাশ না করার শর্তে দক্ষিণ জেলা জামায়াতের এক নেতা বলেন, সরকার দলের নিবন্ধন ও প্রতীক বাতিল করেছে। প্রকাশ্যে সাংগঠনিক কার্যক্রম চালালে গ্রেফতার করছে। তাই কিছুটা কৌশলে চালাতে হচ্ছে সাংগঠনিক কার্যক্রম। দল  গোছানোর সঙ্গে সঙ্গে নির্বাচনের জন্য দলকে প্রস্তুত করা হচ্ছে।

জোটগত এবং স্বতন্ত্র দুভাবেই নির্বাচন করার প্রস্তুতি রয়েছে আমাদের। জামায়াত-শিবিরের কয়েকজন নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পুলিশি গ্রেফতার ও হয়রানি থেকে রেহাই পেতে শহরমুখী হয়ে পড়েছে পাঁচ উপজেলার জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা। নগরের বিভিন্ন মার্কেট ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানকেন্দ্রিক গঠন করা হয়েছে ইউনিট। বর্তমানে এসব ইউনিটকে ঘিরেই চলছে বেশির ভাগ উপজেলা জামায়াত-শিবিরের কার্যক্রম।

চট্টগ্রাম নগরে এ ধরনের অর্ধশতাধিক ইউনিট রয়েছে জামায়াত-শিবিরের। এসব ইউনিটে রয়েছে ২০ থেকে ৫০ জন সদস্য। ইউনিটগুলোর অধীনেই চাঁদা আদায় ও নতুন সদস্য সংগ্রহ এবং অন্য সাংগঠনিক তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে সংগঠনটি।

কোথাও কোথাও স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সখ্য গড়ে তুলে মামলা-হয়রানি থেকে রেহাই পাওয়ার পাশাপাশি গোপনে চালাচ্ছে দলীয় কার্যক্রম। এ ছাড়া সাতকানিয়া, লোহাগাড়া ও বাঁশখালীতে আওয়ামী লীগের মধ্যে কোন্দলের সুযোগ নিয়ে এক পক্ষের আশ্রয়ে যাচ্ছে জামায়াত-শিবির। আওয়ামী লীগের একটি গ্রুপের পক্ষে অবস্থান নিয়ে চালানো হচ্ছে কার্যক্রম।

জানা যায়, বিগত সময়ে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায়ের আগে ও পরে এবং বিএনপি-জামায়াতের নানা কর্মসূচিতে চট্টগ্রামের পাঁচ উপজেলা নাশকতার ধ্বংসযজ্ঞে পরিণত হয়। এ পাঁচ উপজেলা সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, সীতাকুণ্ড, মিরসরাই এবং বাঁশখালীতে জামায়াত-শিবির গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ, সংখ্যালঘু-আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট, মন্দির ভাঙচুর, উপজেলা পরিষদ কার্যালয়-আদালত ভবনে অগ্নিসংযোগ, পুলিশের ওপর হামলাসহ অসংখ্য ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর করে।

bd-pratidin

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin