ভালো নেই মইন-ফখরুদ্দীন, যতদিন বেঁচে থাকবেন ততদিন কেমোথেরাপি নিতে হবে!

২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি দেশের রাজনৈতিক সঙ্কটময় পরিস্থিতিতে সেনা হস্তক্ষেপে ক্ষমতা দখল করেছিলেন ফখরুদ্দীন আহমদের নেতৃত্বাধীন কথিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার। সেই থেকে বছরের প্রথম মাসের ১১ তারিখ পশ্চিমা আদলে ১/১১ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। বছর ঘুরে এই দিনে বাংলার ১৬ কোটি মানুষের মনে পড়ে ফখরুদ্দীন-মইন ইউ আহমেদের সেই ভয়াল দিনগুলোর কথা।

ফখরুদ্দীন আহমদের নেতৃত্বাধীন কথিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার সামনে থাকলে ওই সময় মূলতঃ পেছন থেকে সব কলকাঠি নাড়তেন সেনাপ্রধান হিসেবে জেনারেল মইন ইউ আহমেদ। বরং ওয়ান ইলিভেনের দুই বছরে যা কিছু ঘটেছে সবকিছুতেই নাটের গুরু ছিলেন মইন ইউ আহমেদ।

আজ সেই ওয়ান ইলিভেন। দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে চলমান অসহিষ্ণুতার কারণে সহিংসতা, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর চরম ব্যর্থতা এবং এর ফলে পশ্চিমাদের চাওয়ার ফল হিসেবে ওইদিন রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা চলে যায় সেনা সমর্থিত অরাজনৈতিক সরকারের হাতে।

এর আগে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ নিজেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হয়ে ২০০৭ সালের ২২ জানুয়ারি নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণা দেন। এক পর্যায়ে আওয়ামী লীগসহ প্রায় সব রাজনৈতিক দল নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিলেও নির্বাচন অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে সেনাপ্রধান পদে পরিবর্তন আনতে চান ইয়াজউদ্দিন। সেনাবাহিনীর মূলধারা তার এ সিদ্ধান্ত আগেই জানতে পেরে ১১ জানুয়ারি তা বন্ধ করার পাশাপাশি জরুরি অবস্থা জারি করায়। বিশ্বব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তা ড. ফখরুদ্দীন আহমদকে প্রধান উপদেষ্টা করে গঠিত হয় নতুন তত্ত্বাবধায়ক সরকার।

ইয়াজউদ্দিন অধ্যায় শেষ হলে দেশের মানুষ আশা করেছিল ফখরুদ্দীন আহমদের তত্ত্বাবধায়ক সরকার দ্রুততম সময়ে দেশবাসীকে একটি গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচন উপহার দেবে। কিন্তু, তারা উল্টো ‘মাইনাস টু ফর্মুলা’ বাস্তবায়ন করে শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়াকে দেশের রাজনীতি থেকে বিদায়ের চেষ্টা শুরু করে বলে অনেকেই মনে করেন।

সেসময় সেনাপ্রধানের দায়িত্বে ছিলেন জেনারেল মইন ইউ আহমেদ। অনেকে মনে করেন, তিনি তৎকালীন মার্কিন রাষ্ট্রদূত প্যাট্রিসিয়া এ বিউটেনিস এবং ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর অলিখিত সহযোগিতায় ফখরুদ্দীন আহমদের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মাধ্যমে দেশের রাজনীতিকে নেতৃত্বশূন্য করার চেষ্টা চালিয়েছেন।

‘সেনা-সমর্থিত’ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দায়িত্ব গ্রহণ ও জরুরি অবস্থা জারির ছয় মাসের মধ্যে ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই ভোররাতে শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার করা হয়। খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয় ৩ সেপ্টেম্বর। তবে, আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে মুক্ত হন শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়া। অনেক শঙ্কা আর দোলাচলের নির্বাচনের মাধ্যমে ২০০৯ সালের শুরুতে ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ।

তবে, দেশের রাজনীতিতে এক দশক পরও ‘ফখরুদ্দীন-মঈনউদ্দিন-ইয়াজউদ্দিন’ নামগুলো একসঙ্গে আলোচিত হয়।

এক-এগারো বা ওয়ান-ইলেভেন পরবর্তী সময়ের রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক ড. ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ ২০১২ সালের ১০ ডিসেম্বর ৮১ বছর বয়সে থাইল্যান্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।

আর ফখরুদ্দিন আহমদ এবং মইন ইউ আহমেদ এখন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন। সেসময় মঈন ইউ আহমেদকে সহযোগিতা করা একাধিক সাবেক সেনা ও গোয়েন্দা কর্মকর্তার ঠিকানাও হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিদেশ।

ড. ফখরুদ্দীন আহমদ: ২০০৯ সালের জাতীয় নির্বাচনে জয়লাভ করে ৬ জানুয়ারি আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করে। ক্ষমতার পালাবদলের পর ফখরুদ্দীন আহমদ বেশ কিছুদিন সরকারি বিশেষ নিরাপত্তায় দেশেই ছিলেন।

এরপর ১/১১ কর্মকাণ্ডের কিছু বিষয় খতিয়ে দেখতে গঠিত সংসদীয় কমিটি ফখরুদ্দীনকে জেরার জন্য তলব করছে মর্মে খবর প্রকাশের কিছুদিনের মধ্যে সপরিবার তিনি যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান। আগে থেকেই মার্কিন নাগরিক ফখরুদ্দীন যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ড স্টেটের পটোম্যাকে যে দুটি বাড়ির মালিক তার একটিতে এখন তিনি স্ত্রীসহ থাকছেন। অন্য বাড়িতে থাকে তার মেয়ের পরিবার।

খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে ইউনিভার্সিটি অব ভার্জিনিয়ায় ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ বিষয়ে গবেষণা ও শিক্ষকতা করছেন তিনি। তবে, স্থানীয় বাংলাদেশী কমিউনিটির একটি অংশ বিশেষ করে বিএনপি সমর্থকদের ক্ষোভের কারণে তিনি নিজেকে একটু দূরে সরিয়ে রাখেন। ২০০৯ সাল থেকে সেখানে অবস্থান করলেও তিনি সাধারণতঃ বাংলাদেশী কমিউনিটির সামনে আসেন না বলে প্রবাসীরা দাবি করেছেন।

২০১৫ সালের শেষদিকে তার এক বন্ধুর জানাযায় অংশ নিতে যুক্তরাষ্ট্রের এক মসজিদে উপস্থিত হয়েছিলেন ফখরুদ্দীন আহমদ। তবে, সেসময় বেশ কয়েকজন তার সামনেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন। জানাযা শেষ করে দ্রুত ওই এলাকা ছেড়ে চলে যান তিনি।

অন্য একটি বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে ফখরুদ্দীন আহমদ জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে খুবই কষ্টে দিনাতিপাত করছেন। সূত্রটি জানিয়েছে, বছর খানেক হলো তার শরীরে ক্যান্সারের মতো মরণব্যাধি বাসা বেঁধেছে। যে কারণে ক্রমেই তার শরীর ভেঙ্গে পড়ছে। ক্যানসারের জন্য মাঝে মধ্যেই কেমোথেরাপি নিয়ে কোনো মতে তিনি বেচেঁ আছেন।

মইন উ আহমেদ: ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পরও ১/১১ এর সময়ের সেনাপ্রধান জেনারেল মইন ইউ আহমেদ সেনাপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সেসময়ই ঘটে আলোচিত পিলখানা হত্যাকাণ্ড।

পরে অবসর নিয়ে অনেকটা নীরবে ২০০৯ সালের জুন মাসে দেশ ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান তিনি। বর্তমানে নিউইয়র্কের জ্যামাইকার একটি বাঙালি অধ্যুষিত এলাকায় সাধারণ জীবনযাপন করছেন মইন ইউ আহমেদ।

প্রথমে ফ্লোরিডায় ছোট ভাই ও ছেলের কাছে থাকলেও পরে ‘থ্রোট ক্যানসার’ ধরা পড়লে চিকিৎসার জন্য তিনি নিউইয়র্কে চলে যান। ক্যানসারের জন্য কেমোথেরাপি ও বোনম্যারো অস্ত্রোপচারের পর কোনোমতে বেঁচে ওয়ান ইলিভেনের দাপটে এই ব্যক্তিটি।

প্রবাসীরা জানিয়েছেন, দু’ কক্ষের একটি সাধারণ অ্যাপার্টমেন্টে থাকছেন ১/১১ এর প্রচন্ড ক্ষমতাধর ওই জেনারেল। সর্বশেষ ২০১৬ সালের জুলাই মাসের শেষদিকে তাকে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে দেখা গেছে। ওই বিয়েতে বেশ হাস্যোজ্জ্বল অবস্থায় দেখা যায় তাকে। পুরোটা সময়জুড়ে সঙ্গে ছিলেন তার স্ত্রী।

২০০৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রে গেলে তিনি কিছুদিন পরই দেশে ফিরে আসবেন বলা হলেও তা আর হয়নি। যুক্তরাষ্ট্র থেকে একবার শুধুমাত্র সৌদি আরবে হজ করতে গিয়েছিলেন। এছাড়া তিনি দীর্ঘ সময় ধরেই যুক্তরাষ্ট্রে। এ সময়ের মধ্যে ফাউন্ডেশন অব ফ্লোরিডার আয়োজনে উত্তর আমেরিকা রবীন্দ্র সম্মেলনে অংশ নিয়েছিলেন তিনি। তবে তিনিও বাংলাদেশী কমিউনিটি থেকে নিজেকে দূরে রাখেন।

১/১১ সময়ের বিভিন্ন ঘটনা তদন্তে কমিশন গঠনের দাবি উঠেছিল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি থেকে। জাতীয় সংসদেও মন্ত্রী-সংসদ সস্যরাও একই দাবি তুলেছিলেন। ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হিসেবে ছাত্র-শিক্ষক নির্যাতন ঘটনার তদন্ত করেছিলেন। ব্যবস্থা নিতে সুপারিশও জমা দিয়েছিলেন ২০১১ সালে, কিন্তু সেই সুপারিশ প্রকাশিত হয়নি।

এছাড়াও তার ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো জানিয়েছে, বাংলাদেশে বহুল আলোচিত ওয়ান ইলেভেনের রূপকার, সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল মঈন উ. আহমেদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এসেও ভালো নেই। একসময়ের দোর্দান্ড প্রতাপশালী এই সেনা কমকর্তা এখন শরীরের নানান জটিল রোগে ভুগছেন। মেরুদণ্ডের হাড়ে ক্ষয় দেখা দিয়েছে। যতদিন বেঁচে থাকবেন তাকে কেমোথেরাপি নিতে হবে বলে চিকিৎসকেরা জানিয়ে দিয়েছেন। ব্যয়বহুল এ চিকিৎসা করাতে গিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে তিনি আর্থিক সঙ্কটেও পড়েছেন।

স্বজনদের ওপর অনেকটা বোঝা হয়ে প্রবাস জীবন কাটাচ্ছেন তিনি। একের পর এক দুরাবস্থার মধ্যে ‘মরার উপর খাঁড়ার ঘাঁ’র মতই বছর দেড়েক আগে তিনি প্রতিবেশীর এক পোষা কুকুরের আক্রমণের শিকার হয়েছেন। নিউইয়র্কের বাংলা ভাষার সাপ্তাহিক পরিচয় তাদের এক সংখ্যায় এ খবর প্রকাশ করেছে।

সাপ্তাহিক পরিচয়ের ওই খবরে বলা হয়েছে, সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) মঈন ই আহমেদ কুকুরের আক্রমণের শিকার হয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে। সেখানে পাশের বাড়ির মালিকের একটি পোষা কুকুর হঠাৎ তার ওপর চড়াও হয়। কুকুরের আক্রমণে তিনি মাটিতে পড়ে গিয়ে নাকে রক্তক্ষরণ হয়। তবে তাকে হাসপাতালে যেতে হয়নি। মামী শাশুড়ি তাকে সেবা শুশ্রুষা করেন।

কুকুরের আক্রমণে আহত হলেও মঈন উ আহমেদের শারীরিক অবস্থা কিছু উন্নতির দিকে। কয়েক মাস আগেও তিনি কঠিন রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন। তার শরীরে ক্যান্সার ধরা পড়েছে বলে ওইসময় খবর প্রচারিত হয়। মুলত ২০০৭ সালের ২১ আগস্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘটিত অপ্রীতিকর ঘটনার সাক্ষ্য দিতে বছর দুয়েক আগে সংসদীয় কমিটি তাকে দেশে তলব করলে তিনি নিজের অসুস্থতার খবর তুলে ধরেন।

নিউইয়র্কের লং আইল্যান্ডের একটি হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা সংক্রান্ত ব্যবস্থাপত্র সংগ্রহ করেন। কিন্তু পরবর্তীতে জানা যায়, মঈনের ক্যান্সারের মতো মেরুদণ্ডের হাড়ের ক্ষয় রোগ দেখা দিয়েছে। তবে এজন্য তাকে কেমোথেরাপি নিতে হয়েছে। ওই সময় তার শরীরের ওজন কমে যায়।

সাপ্তাহিক পরিচয় তাদের রিপোর্টে আরো উল্লেখ করেছে, বর্তমানে জেনারেল মঈনকে প্রতিমাসে একটি করে কেমোথেরাপি নিতে হচ্ছে। অর্থ সঙ্কটের কারণে ব্যয়বহুল এই চিকিৎসায় তিনি নিউইয়র্কের মেডিকেইড সুবিধা নিচ্ছেন। প্রয়াত কথা সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদও তার ক্যান্সারের চিকিৎসায় এ ধরনের সুবিধা নিয়েছিলেন।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে শুধুমাত্র নিউইয়র্ক রাজ্যে অনেকটা বিনামূল্যে চিকিৎসা সুবিধা থাকায় মঈন উ আহমেদ ফ্লোরিডা থেকে নিউইয়র্কের কুইন্সে মামী শাশুড়ির বাসায় চলে আসেন। বর্তমানে তিনি যে কক্ষে থাকছেন সেটিতে পর্যাপ্ত আলো-বাতাস ঢোকে না। কয়েকবার সিঁড়ি থেকে পড়ে গিয়ে আহত হয়েছিলেন তিনি। বাসাটি খুবই ছোট। এ কারণে প্রায়ই তিনি অস্থির হয়ে ওঠেন। অনেক সময় তিনি ফ্লোরিডা রাজ্যে ছেলের কাছে চলে যান।

পারিবারিক সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে সাপ্তাহিক পরিচয় বলছে, বেশ বছর খানেক আগে নানা হয়েছেন জেনারেল মঈন। নিউইয়র্কে বেড়াতে গিয়ে তার মেয়ে সাবরিনা ছেলে সন্তানের মা হয়েছেন। নাতিকে নিয়ে খুশী জেনারেল মঈন এবং তার স্ত্রী নাজনীন মঈন।

অন্যদিকে ফ্লোরিডায় তাদের ছেলে অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জনিয়ারিং পাস করেছেন। তবে পাস করার পর এখনো ভালো চাকরি পাননি। ফলে নিউইয়র্কে জেনারেল মঈনের আর্থিক সঙ্কট লেগেই আছে। দেশ থেকে টাকা নিয়ে খরচ চালাচ্ছেন এবং ভাইদের ওপর অনেকটা নির্ভরশীল হয়ে পড়েছেন তিনি।

২০১১ সালের ৫ অক্টোবর ফ্লোরিডায় ছেলের সমাবর্তনে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান জেনারেল মঈন। সেখানে কয়েকদিন থাকার পর অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। পরে তাকে নিউইয়র্কে এনে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অস্ত্রোপচারেরও প্রয়োজন পড়ে। কিন্তু মেরুদণ্ডের হাড়ের এ সমস্যাটির উৎপত্তিস্থল ঘাড়ের নিচে হওয়ায় চিকিৎসকেরা আর অস্ত্রোপচার করতে পারছেন না।

তবে যতদিন তিনি বেঁচে থাকবেন ততদিন তাকে কেমোথেরাপি নিয়ে বেঁচে থাকতে হবে বলে চিকিৎসকেরা পরিবারের সদস্যদের জানিয়েছেন। আপাতত তিনি দেশেও ফিরছেন না। স্ত্রী নাজনীন মঈনও ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। তার পায়ে সমস্যা দেখা দিয়েছে।

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin