mossaraf_khon

‘ভারত নাক গলাবে না, চীন চায় অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন’

‘গেল নির্বাচনে ভারত জোর করে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় বসিয়েছিল’- এমন দাবি করে বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ‘এবার কিন্তু তারা নির্বাচন নিয়ে নাক গলাবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ বিদেশিদের বলেছিল, সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষার জন্য নির্বাচন হবে কিন্তু তিন মাস পর ফের নির্বাচন দেয়া হবে। কিন্তু তারা সেটা না করে প্রতারণা করেছে। এখন চীন বলেছে, বাংলাদেশে তারা অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখতে চায়। আমরা মনে করি, আগামী নির্বাচনে এ প্রতারকদের পেছনে কেউ হাঁটবে না।’

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য কবির মুরাদ, আজিজুল বারী হেলাল, শফিউল বারী বাবু, অনিন্দ ইসলাম অমিতের মুক্তির দাবিতে সোমবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত এক প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

ঢাকাস্থ খুলনা বিভাগীয় ছাত্র ফোরাম এ প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে। খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘আমাদের নেতাকর্মীরা প্রতিনিয়ত গ্রেফতার হচ্ছে, মুক্তি পাচ্ছে আবারও গ্রেফতার হচ্ছে। কারণ এ সরকার তো স্বৈরাচার। সেজন্য ন্যায় ও সত্যের পক্ষে কথা বললে তারা সহ্য করতে পারে না।’

তিনি বলেন, ‘সাক্ষ্যপ্রমাণ ছাড়া মিথ্যা মামলায় বেগম খালেদা জিয়াকে উপরের নির্দেশে পাঁচ বছরের সাজা দেয়া হয়েছে। রাখা হয়েছে পরিত্যক্ত কারাগারে। অমানবিক অবস্থায় তাকে রাখা হচ্ছে। তিনি এখন অসুস্থ। যা দিনেদিনে অবনতির দিকে যাচ্ছে। আমরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে প্রতিনিধি পাঠিয়ে উন্নত চিকিৎসার আহ্বান জানিয়েছি। কিন্তু সরকার কর্ণপাত করছে না। কারণ বিএনপিকে বাইরে রেখে এবং খালেদা জিয়াকে মাইনাস করে আবার ভোট ছাড়া নির্বাচন করতে চায়। এটাই আওয়ামী লীগের একমাত্র উদ্দেশ্য।’

মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের আরও অবনতি হলে তার দায়-দায়িত্ব সরকারকে নিতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘কমিটি নিয়ে কথা বলার জন্য গতকাল ঢাকা মহানগর বিএনপির নেতারা বৈঠক করছিলেন। সে সময় তাদের গ্রেফতার করা হলো। কয়েকদিন আগে গাজীপুরে নির্বাচন থেকে কেন সরে গেলেন- এই রাগে জামায়াতের এক প্রার্থীসহ ৪৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মনে হয়, বাংলাদেশে ঘরোয়া রাজনীতিরও মনে হয় পারমিশন নেই। সামরিক শাসনেও এমন হয় না। দেশে অলিখিত বাকশাল চলছে। প্রশাসনযন্ত্রকে ব্যবহার করে বাকশাল কায়েম করছে সরকার।’

সরকারবিরোধী এ নেতা বলেন, ‘গাজীপুরে তিনভাগ পাবে বিএনপি, আর আওয়ামী লীগের প্রার্থী পাবেন একভাগ ভোট; এটা আওয়ামী লীগও জানে। এবার জনস্রোত শুরু হয়েছে। এই দুই সিটির ভোট ইসি ও সরকারের জন্য অগ্নিপরীক্ষা।’

‘বাঁশি বাজিয়ে, দিনক্ষণ ঠিক করে গণআন্দোলন হয় না’- এমন দাবি করে তিনি বলেন, ‘আগামী দিনে জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্য মাঠে নামবে। বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করবে। সবাই সেইদিনের প্রস্তুতি নিন। স্বৈরাচার শান্তিতে আছে কিন্তু একদিন দেখবে সব শেষ।’

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি তারেক-উজ জামান তারেকের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মশিউর রহমান, বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-প্রচার সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, স্বেচ্ছাসেবক দলের মোস্তাফিজুর প্রমুখ বক্তৃতা করেন।

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin