khaleda_zia

বোমা হামলা: খালেদার তদন্ত প্রতিবেদন ২২ জানুয়ারি

নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানের মিছিলে বোমা হামলার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ২২ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত।

রবিবার ঢাকার মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াসির আহসান চৌধুরীর আদালতে এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদনের দিন নির্ধারিত ছিল। কিন্তু মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল না করায় বিচারক নতুন করে দিন ধার্য করেন।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১৫ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচি পালনের জন্য গুলশানে সমবেত হন মুক্তিযোদ্ধা পরিষদের নেতাকর্মীরা। সেখানে তাঁরা একটি সমাবেশ করেন।

সমাবেশ শেষে ২০ থেকে ৩০ হাজার সাধারণ মানুষ নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানের নেতৃত্বে খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয় ঘেরাও করার উদ্দেশে রওনা হলে মিছিলের ওপর বোমা নিক্ষেপ করা হয়।

এ ঘটনায় ঢাকা যানবাহন ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন বাচ্চু বাদী হয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান ও বিএনপি নেতা খন্দকার মাহবুবুর রহমানসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।

জিয়ার মাজারে খালেদা জিয়ার শ্রদ্ধা নিবেদন
ঢাকা: মহান স্বাধীনতার ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।

শনিবার দুপুরে সেখানে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। এ সময় দলের কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া শেরেবাংলা নগরে পৌঁছানোর আগেই দলের নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে ওই এলাকায় সমবেত হন। খালেদা জিয়া ফুল দিয়ে সমাধিতে শ্রদ্ধা জানান। এরপর জিয়ারত করেন।

বিএনপির চেয়ারপারসনের শ্রদ্ধা নিবেদনের পর দলের সহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকেও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতার সমাধিতে শ্রদ্ধা জানানো হয়।

মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় দলের নেতাদের আরো উপস্থিত ছিলেন স্থায়ী ক‌মি‌টির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শাজাহান ওমর, ডা. জাহিদ হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু প্রমুখ।

এর আগে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। শনিবার বেলা ১১টা ১০মিনিটে জাতীয় স্মৃতিসৌধে গিয়ে তিনি শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।

পরে যুবদল, ছাত্রদল, মহিলাদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্মসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকেও স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

‘নিরঙ্কুশ ক্ষমতার দাপটে সর্বত্র হতাশা ভয় আর নৈরাজ্যের অন্ধকার নেমে এসেছে’
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, ‘৫ জানুয়ারি ২০১৪-তে প্রহসনের একতরফা নির্বাচন করে জনমতকে তাচ্ছিল্য করা হয়েছে। এদেশে এখন মানুষের নাগরিক স্বাধীনতা নেই। এদেশের মানুষ এখন অধিকার হারা। এদেশে শাশ্বত গণতন্ত্র নিরুদ্দেশ করা হয়েছে। গণতন্ত্রহীন দেশে নিরঙ্কুশ ক্ষমতার দাপটে সর্বত্র হতাশা, ভয় আর নৈরাজ্যের অন্ধকার নেমে এসেছে।’

শুক্রবার মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন বেগম খালেদা জিয়া।

খালেদা জিয়া বলেন, ক্ষমতা জবরদখলকারীরা জনগণের ওপর নৃশংস আক্রমণ চালিয়ে হত্যা করছে। বর্তমান পরিস্থিতি যেন ভয়ংকর নৈরাজ্যময়। এই অশুভ শক্তির নীলনকশা বাস্তবায়নে রক্তপাতের ওপরই নির্ভর করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, ওদের হাত থেকে প্রিয় মাতৃভূমির স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং গণতন্ত্রকে বিপদমুক্ত করতে স্বাধীনতা যুদ্ধের চেতনায় বলীয়ান হয়ে আমাদের জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। মহান বিজয় দিবসে দেশবাসী সকলের প্রতি সেই আহবান জানাই।

বিজয় দিবসে প্রবাসী বাংলাদেশীসহ দেশবাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে খালেদা জিয়া বলেন, ‘গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি সেসব অকুতোভয় বীর শহীদদের কথা, যাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা স্বাধীন স্বদেশভূমি পেয়েছি। স্বাধীনতা যুদ্ধের বীর শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনা করি। পরাধীনতার হাত থেকে দেশের বিজয় অর্জনে যেসব মা-বোন সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছেন- জানাই তাদের সশ্রদ্ধ সালাম।’

তিনি বলেন, ‘১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ স্বাধীনতার ঘোষক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ডাকে শুরু হওয়া স্বাধীনতাযুদ্ধ ওই বছর ১৬ ডিসেম্বর পাক হানাদার বাহিনীকে পরাস্ত করে দেশের অকুতোভয় বীর মুক্তিযোদ্ধারা বিজয়ী হয়। তাই ১৬ ডিসেম্বর আমাদের গর্বিত এবং মহিমান্বিত বিজয় দিবস। এদেশের দামাল ছেলেরা হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে ছিনিয়ে এনেছিলো স্বাধীনতার সূর্য। আজকের এ মহান দিনে আমি সেসব অকুতোভয় বীর সেনাদের সশ্রদ্ধ অভিবাদন জানাই।’

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin