khaleda_adalot

বৃহস্পতিবার আদালতে যাবেন খালেদা জিয়া

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থনে অসমাপ্ত বক্তব্য এবং জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাক্ষীকে পুনরায় জেরা করার জন্য আগামীকাল বৃহস্পতিবার বিশেষ আদালতে যাবেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।

বুধবার খালেদা জিয়ার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে বিএনপি চেয়ারপারসন ঢাকার বকশীবাজারের আলিয়া মাদরাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার ৫নং বিশেষ জজ ড. আখতারুজ্জামানের আদালতে উপস্থিত হবেন।

উল্লেখ্য, ২০১০ সালের ৮ আগস্ট জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে টাকা লেনদেনের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় একটি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলার অপর আসামিরা হলেন খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছের তখনকার সহকারী একান্ত সচিব ও বিআইডব্লিউটিএর নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।

অপরদিকে, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার দু’বছর আগে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে রমনা থানায় আরও একটি মামলা করে দুদক। এই মামলার অন্য আসামিরা হলেন মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।

বিডিপ্রতিদিন

আ’লীগ ১০০ বছরেও বিএনপির অর্ধেক সমাবেশ করতে পারবে না: কাদের সিদ্দিকী

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপির সমাবেশে যে পরিমাণ লোক হয়েছিল, তা আওয়ামী লীগ আরও একশ’ বছর চেষ্টা করলেও অর্ধেকও পারবে না মন্তব্য করেছেন কৃষক শ্রমিক জনতালীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম।

বুধবার সন্ধ্যায় সখীপুর উপজেলা ডাকবাংলো চত্তরে স্থানীয় কৃষক শ্রমিক জনতালীগ আয়োজিত ‘ভোট ডাকাতি দিবস’ পালন উপলক্ষে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

কাদের সিদ্দিকী বলেন, ১২ নভেম্বর রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপি সমাবেশ পণ্ড করতে ঢাকায় যানবাহন প্রবেশ বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। আগের রাতে বিএনপির শত শত নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হয়েছে। সমাবেশের খবর সব টেলিভিশনে প্রচার-প্রচারণা বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। এরপরেও বিএনপির সমাবেশে যে পরিমাণ লোক হয়েছিল তা আওয়ামী লীগ ১০০ বছরে অর্ধেকও পারবে না।

নির্বাচন কমিশনারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, জিয়াউর রহমানকে বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা বলে নির্বাচন কমিশনার নির্বোধের প্রমাণ দিয়েছেন।

কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বলেন, আবার ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির মতো এ দেশে নির্বাচন হলে শেখ হাসিনাকে সবাই মহিলা স্বৈরাচারী শাসক বলবে, কিন্তু আমি তা হতে দেব না। আমি আওয়ামী লীগের রাজনীতি করি না, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতি করি। যে রাজনীতি করলে শেখ হাসিনার বদনাম হয় আমি সে রাজনীতিও করি না।

সমাবেশে উপজেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি আতাউর রহমানের সভাপতিত্বে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান খোকা বীরপ্রতীক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইকবাল সিদ্দিকী, জেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক হাসমত আলী নেতা , উপজেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক মীর জুলফিকার শামীম, কেন্দ্রিয় যুব আন্দোলনের আহ্বায়ক হাবিবুন-নবী-সোহেল প্রমুখ বক্তব্য দেন।

প্রসঙ্গত, ১৯৯৯ সালের ১৫ নভেম্বর টাঙ্গাইল-৮ (বাসাইল-সখীপুর) আসনে অনুষ্ঠিত উপ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের কাছে ধরাশায়ী হওয়ার প্রতিবাদে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ প্রতিবছর এ দিনটি ভোট ডাকাতি দিবস হিসেবে পালন করে আসছে।

উৎসঃ   যুগান্তর

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin